কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে বিদেশিদের বক্তব্য শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘মুশতাকের মৃত্যুতে আমিও ব্যথিত। এই মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা উদ্‌ঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কিছু বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিবৃতি দিলেন, তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিবৃতিটি জাতিসংঘ থেকে দেওয়া নয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অনেকজন কমিশনারের একজন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি একসময় চিলির প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেসময়ও অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত  হয়, বছরের পর বছর বাচ্চাদের বাবা-মা থেকে আলাদা করে রাখা হয়, ফ্রান্সে যখন গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হয়, গুয়ানতানামো বে’তে নির্যাতন হয়, তখন কি তারা বিবৃতি দিয়েছিলেন! সুতরাং এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এতে কারো নাক গলানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করোনার টিকা নিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেও টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন, এই টিকা কাজ করবে না বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তিনিই এখন টিকা নিয়েছেন। জলঘোলা করে পানি খাওয়ার মতো অহেতুক সরকারের সমালোচনা করে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তাদের যাতে না পড়তে হয় সে জন্য তাদের সমালোচনার সময় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাই।’

এর আগে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ২য় বর্ষপূর্তিতে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় পত্রিকাটির সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করে তথ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সময়ের আলোর মাতৃপ্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এম এনামুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমজানুল হক, রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট শামসুল আলামিন কাজল প্রমুখ।