ইসরায়েলি আগ্রাসন অবসানে সত্যিকারের প্রচেষ্টা চায় বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৫৫
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ফিলিস্তিনি সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধানসহ ইসরায়েলি আগ্রাসন অবসানে সত্যিকারের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন প্রশ্নে আয়োজিত এক প্লেনারি সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বুধবার এ কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘ইসরায়েল যাতে সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন এবং জাতিসংঘ রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জাতিসংঘ রেজুলেশন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে সম্মত হয় তা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-জাতি সমাধান কাঠামোর আওতায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, কার্যকর ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটুট ও অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক বাড়িঘর ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, দখল, বহিষ্কার, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত ঘটানোর কারণে ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এহেন কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের প্রতি সুস্পষ্ট অবজ্ঞা প্রদর্শন।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার ঘৃণ্য সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সংঘটিত নৃশংস অপরাধের অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সকল অপরাধ তদন্তের জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানান তিনি।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলমান থাকার অর্থ হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার একটি স্পষ্ট অনুস্বাক্ষর।’
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে তার ন্যায্য স্থান প্রদানসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গত, দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাপকভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিতে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৫৫

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ফিলিস্তিনি সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধানসহ ইসরায়েলি আগ্রাসন অবসানে সত্যিকারের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন প্রশ্নে আয়োজিত এক প্লেনারি সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বুধবার এ কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘ইসরায়েল যাতে সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন এবং জাতিসংঘ রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জাতিসংঘ রেজুলেশন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে সম্মত হয় তা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-জাতি সমাধান কাঠামোর আওতায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, কার্যকর ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটুট ও অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক বাড়িঘর ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, দখল, বহিষ্কার, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত ঘটানোর কারণে ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এহেন কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের প্রতি সুস্পষ্ট অবজ্ঞা প্রদর্শন।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার ঘৃণ্য সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সংঘটিত নৃশংস অপরাধের অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সকল অপরাধ তদন্তের জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানান তিনি।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলমান থাকার অর্থ হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার একটি স্পষ্ট অনুস্বাক্ষর।’
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে তার ন্যায্য স্থান প্রদানসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গত, দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাপকভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিতে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান তিনি।