লবিস্ট ফার্মের পিছনে বিএনপি দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫০
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাব রয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি লবিস্ট ফার্মের পিছনে বিএনপি দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ দাবি জানান। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তবারের ওপর আলোচনা শুরু হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আইনের চোখে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে এখনও কীভাবে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান!
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে একটা কলাম লিখেছিলেন। যেটা এখনো অস্বীকার করেন। সেটার জন্য এখন তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন।
সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাব রয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত গত পাঁচ বছরে কতগুলো লবিস্ট ফার্মে টাকা দিয়েছে তার চুক্তি, টাকা-পয়সার হিসাব আছে- এটা প্রকাশ করা হবে। কে, কোন অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন সব কিছু আছে।
এসব ঘটনার তদন্ত দাবি করে শাহরিয়ার বলেন, ২০১৫ সালে অ্যাকিন গর্ভমেন্ট অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে বিএনপির নয়াপল্টনের ঠিকানা দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে। সেটা তিনবছর অব্যাহত ছিল। বছরে আসে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। এরকম আমার কাছে ১০টি ডুকুমেন্ট রয়েছে।
সংসদে কিছু নথি দেখিয়ে প্রতিমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল বছর শেষে তাদের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করে। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করতে হবে, এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গেছে কি-না? তা না হলে এতিমের টাকা খেয়ে যে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই টাকার ব্যবহার এখানে করা হয়েছে কিনা সেই তদন্ত চাই। এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই।
শাহরিয়ার বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রবিবার আমরা সব বিদেশি কূটনৈতিকদের বলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনেক উদার। যে ব্যক্তি তাকে এতবার হত্যা করতে চেয়েছিল। তার সাজা স্থগিত রেখে কারাবাস থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তারপরও তাদের হয় না। তারা বলে বিদেশে চিকিৎসা করতে নিবেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি কূটনীতিকদেরকে বলে দিয়েছি, এটা নিয়ে আন্দোলন ও কথা বলার সুযোগ বাংলাদেশের আইনের মধ্যে নেই। বিএনপি যদি পারে ক্ষমতায় আসবে। এসে আইন সংশোধন করে তারপর জেল থেকে মুক্ত বিদেশ পাঠাবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫০
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাব রয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি লবিস্ট ফার্মের পিছনে বিএনপি দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ দাবি জানান। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তবারের ওপর আলোচনা শুরু হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আইনের চোখে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে এখনও কীভাবে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান!
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে একটা কলাম লিখেছিলেন। যেটা এখনো অস্বীকার করেন। সেটার জন্য এখন তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন।
সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাব রয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত গত পাঁচ বছরে কতগুলো লবিস্ট ফার্মে টাকা দিয়েছে তার চুক্তি, টাকা-পয়সার হিসাব আছে- এটা প্রকাশ করা হবে। কে, কোন অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন সব কিছু আছে।
এসব ঘটনার তদন্ত দাবি করে শাহরিয়ার বলেন, ২০১৫ সালে অ্যাকিন গর্ভমেন্ট অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে বিএনপির নয়াপল্টনের ঠিকানা দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে। সেটা তিনবছর অব্যাহত ছিল। বছরে আসে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। এরকম আমার কাছে ১০টি ডুকুমেন্ট রয়েছে।
সংসদে কিছু নথি দেখিয়ে প্রতিমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল বছর শেষে তাদের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করে। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করতে হবে, এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গেছে কি-না? তা না হলে এতিমের টাকা খেয়ে যে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই টাকার ব্যবহার এখানে করা হয়েছে কিনা সেই তদন্ত চাই। এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই।
শাহরিয়ার বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রবিবার আমরা সব বিদেশি কূটনৈতিকদের বলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনেক উদার। যে ব্যক্তি তাকে এতবার হত্যা করতে চেয়েছিল। তার সাজা স্থগিত রেখে কারাবাস থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তারপরও তাদের হয় না। তারা বলে বিদেশে চিকিৎসা করতে নিবেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি কূটনীতিকদেরকে বলে দিয়েছি, এটা নিয়ে আন্দোলন ও কথা বলার সুযোগ বাংলাদেশের আইনের মধ্যে নেই। বিএনপি যদি পারে ক্ষমতায় আসবে। এসে আইন সংশোধন করে তারপর জেল থেকে মুক্ত বিদেশ পাঠাবে।