সিলেটে বন্যা দেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন আগামী বর্ষার আগেই নদী খনন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ১৮ মে, ২০২২ ২০:৫৩
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছেন, বন্যার এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।
বুধবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলা ও নগরের চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটে এই মৌসুমে সব সময়ই ঢল নামে। আমাদের ছেলেবেলায়ও এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকত না। চলে যেতো। কারণ আমাদের শহরে অনেক পুকুর ও দিঘি ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘির শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরের ভেতরের সব পুকুর-দিঘি ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি। এ ছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না।
তিনি বলেন, দুর্যোগ থেকে বাঁচতে প্রকৃতিকে তার মতো থাকতে দিতে হবে। প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।
ত্রাণ বিতরণকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বন্যা মোকাবিলায় ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ১৮ মে, ২০২২ ২০:৫৩

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছেন, বন্যার এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।
বুধবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলা ও নগরের চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটে এই মৌসুমে সব সময়ই ঢল নামে। আমাদের ছেলেবেলায়ও এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকত না। চলে যেতো। কারণ আমাদের শহরে অনেক পুকুর ও দিঘি ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘির শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরের ভেতরের সব পুকুর-দিঘি ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি। এ ছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না।
তিনি বলেন, দুর্যোগ থেকে বাঁচতে প্রকৃতিকে তার মতো থাকতে দিতে হবে। প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।
ত্রাণ বিতরণকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বন্যা মোকাবিলায় ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।