পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ব্ল্যাঙ্কচেক দিয়েছেন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২১ মে, ২০২২ ১৮:১৫
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে পদ্মা সেতু। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের আগে আমরা পদ্মা সেতু খুলে দেব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও কঠোর নির্দেশনার কারণে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা সৎভাবে সেতুর কাজ করতে পেরেছি। পদ্মা সেতুর কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে ব্ল্যাঙ্কচেক প্রদান করেছেন।
শনিবার বিকেলে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিএমপি আয়োজনে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতার পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেষ্টা ও স্বপ্ন কাজ করেছে। এই বাংলা হাজার বছর শোষণ বঞ্চনা ও দারিদ্র্য দুষ্টচক্রের ভেতরে ছিল। শিক্ষা ছিল না, রাস্তা-ঘাট ও মানুষের কর্মসংস্থান ছিল না। মানুষের ওপর নির্যাতন অত্যাচার ছিল। সেই জায়গা থেকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তি দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের, দেশের মানুষের, রাষ্ট্রের, সমাজের, কমিউনিটি ও নাগরিকের সঙ্গে উগ্রবাদীর কোনো সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আমাদের দেশে বারবার এ বিজাতীয় সংস্কৃতি আছড়ে পড়ার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবারই আমরা এ দেশের সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তা নিয়ে এদের নির্মূল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নের বন্দরে রকেট গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই যাত্রায় শরিক হব।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ভারপ্রাপ্ত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটিটিসি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাকসুদা খাতুন, শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলট প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২১ মে, ২০২২ ১৮:১৫

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে পদ্মা সেতু। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের আগে আমরা পদ্মা সেতু খুলে দেব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও কঠোর নির্দেশনার কারণে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা সৎভাবে সেতুর কাজ করতে পেরেছি। পদ্মা সেতুর কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে ব্ল্যাঙ্কচেক প্রদান করেছেন।
শনিবার বিকেলে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিএমপি আয়োজনে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতার পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেষ্টা ও স্বপ্ন কাজ করেছে। এই বাংলা হাজার বছর শোষণ বঞ্চনা ও দারিদ্র্য দুষ্টচক্রের ভেতরে ছিল। শিক্ষা ছিল না, রাস্তা-ঘাট ও মানুষের কর্মসংস্থান ছিল না। মানুষের ওপর নির্যাতন অত্যাচার ছিল। সেই জায়গা থেকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তি দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের, দেশের মানুষের, রাষ্ট্রের, সমাজের, কমিউনিটি ও নাগরিকের সঙ্গে উগ্রবাদীর কোনো সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আমাদের দেশে বারবার এ বিজাতীয় সংস্কৃতি আছড়ে পড়ার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবারই আমরা এ দেশের সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তা নিয়ে এদের নির্মূল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নের বন্দরে রকেট গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই যাত্রায় শরিক হব।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ভারপ্রাপ্ত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটিটিসি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাকসুদা খাতুন, শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলট প্রমুখ।