বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ
অনলাইন ডেস্ক | ২২ মে, ২০২২ ০৮:২৪
বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এ দিনটি বিশ্বজুড়ে উদ্যাপন করে। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হবে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সব প্রাণীর জন্য একটি সমন্বিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি’।
জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতেই ২২ মে দিনটি বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ থেকে অনেক বন্য প্রাণীই হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৯০০ প্রজাতির বন্য প্রাণীর মধ্যে এরই মধ্যে ১৫০ প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। স্তন্যপায়ী, উভচর ও সরীসৃপ প্রজাতির বন্য প্রাণীর বেশির ভাগ এখন অতি বিপন্ন, বিপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায়। তবে দেশে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো জরিপ বা গবেষণা না থাকায় প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’, বাংলাদেশ-এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে মোট ৯২০টি প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। যেখানে ৪৯টি প্রজাতির উভচর, ১৬৭টি সরীসৃপ, ৫৬৬টি পাখি ও ১৩৮টি স্তন্যপায়ী। তবে কোনো কোনো বন্য প্রাণী গবেষকদের মতে, এই সংখ্যা আরো কম।
তবে সরকার ২০১২ সালে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২’ নামে একটি নতুন আইন সংসদে পাস করে। তাতে অনুমতি ব্যতীত যেকোনো ধরনের বন্য প্রাণী হত্যা, বিক্রি নিষিদ্ধ করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগ কতটুকু সফলভাবে কার্যকর হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বন্য প্রাণী রক্ষার জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও আরো জোরালো হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তিতে সই করে।
এরপর ৫ জুন ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ধরিত্রী সম্মেলনে সিবিডি বিভিন্ন দেশের স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬৮টি দেশ সিবিডি চুক্তিতে সই করে এবং সিবিডি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে এ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ১৯৫টি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ মে, ২০২২ ০৮:২৪

বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এ দিনটি বিশ্বজুড়ে উদ্যাপন করে। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হবে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সব প্রাণীর জন্য একটি সমন্বিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি’।
জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতেই ২২ মে দিনটি বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ থেকে অনেক বন্য প্রাণীই হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৯০০ প্রজাতির বন্য প্রাণীর মধ্যে এরই মধ্যে ১৫০ প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। স্তন্যপায়ী, উভচর ও সরীসৃপ প্রজাতির বন্য প্রাণীর বেশির ভাগ এখন অতি বিপন্ন, বিপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায়। তবে দেশে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো জরিপ বা গবেষণা না থাকায় প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’, বাংলাদেশ-এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে মোট ৯২০টি প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। যেখানে ৪৯টি প্রজাতির উভচর, ১৬৭টি সরীসৃপ, ৫৬৬টি পাখি ও ১৩৮টি স্তন্যপায়ী। তবে কোনো কোনো বন্য প্রাণী গবেষকদের মতে, এই সংখ্যা আরো কম।
তবে সরকার ২০১২ সালে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২’ নামে একটি নতুন আইন সংসদে পাস করে। তাতে অনুমতি ব্যতীত যেকোনো ধরনের বন্য প্রাণী হত্যা, বিক্রি নিষিদ্ধ করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগ কতটুকু সফলভাবে কার্যকর হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বন্য প্রাণী রক্ষার জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও আরো জোরালো হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তিতে সই করে।
এরপর ৫ জুন ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ধরিত্রী সম্মেলনে সিবিডি বিভিন্ন দেশের স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬৮টি দেশ সিবিডি চুক্তিতে সই করে এবং সিবিডি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে এ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ১৯৫টি।