নির্বাচন নিয়ে সংসদে বিরোধী এমপি-আইনমন্ত্রীর বাহাস
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ জুন, ২০২২ ২২:২৯
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা দাবি করেছেন, তাদের দল ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছেন। জবাবে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব বলেন তারা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের উপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।
তারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনী ইনস্টিটিউশনগুলো যদি শক্তিশালী না হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি যদি জনগণের আস্থা বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, সেই দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিগত দশ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করে না। নির্বাচন করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও জনপ্রশাসনের ব্যক্তিরা।
হারুন বলেন, আজকে বিএনপিকে ছাড়া কি নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য হবে? হবে না। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনবেন সেটিই বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আসতে হবে।
বিএনপি দলীয় আরেক সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনই না থাকে, মানুষ যদি তার ভোটই প্রয়োগ না করতে পারে, মানুষ যদি তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে, আগে থেকে যদি ব্যালটে বাক্স ভরা থাকে, দিনের ভোট যদি রাতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন দিয়ে হবে কী?
তিনি বলেন, নির্বাচন যে এখন একটা মল্লযুদ্ধ, তার একটা বড় প্রমাণ এই নির্বাচন কমিশন শপথ নেয়ার পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জেলনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি একটা যুদ্ধ যে জেলনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে? আর এক কমিশনার বলেছেন মেশিনে কোনো সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে গোপন কক্ষে যে ডাকাত ঢুকে থাকে। এই ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তা নয়, এর মধ্যে আছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকতদের যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বোঝা যায় ভবিষৎতে আরো ডাকাত বাড়বে।
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মাত্র একজন এমপির হুমকি-ধমকি এই নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাকে এলাকা থেকে সরানো যায়নি। নতজানু ও মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা দেখে বোঝা যায়, এই ইসির অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সমকক্ষ লোক নির্বাচনে আসলে ভোট সঠিক হবে। ইভিএম বলেন, আর ব্যালট বলেন লোক যার বেশি সেই বিজয়ী হবে।
জাতীয় পার্টির ডা. রস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ইলেকশন কমিশনের দায়িত্বই হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন সঠিক হতে হবে, ফেয়ার হতে হবে। প্রশ্ন থাকতেই পারে নানা ব্যাপারে। ভারতে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সেখানে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে ওই ধরনের পরিবেশ আসা দরকার। ডিজিটাল যুগে ইভিএমের কোনো দোষ নাই। ইভিএমে সমস্যা থাকলে সেটা পরিবর্তন করতে হবে। পেছনে যেন কেউ না থাকে, সেটা দেখতে হবে। ইভিএমে না হয়ে যদি ব্যালটে হয়, সেখানেও তো কেউ, না কেউ প্রভাব ফেলতে পারে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনে প্রভাব খাটানো বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিরোধী দলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি কি পাকিস্তানে থাকে, তাদেরনির্বাচনের জন্য হাত ধরে ডেকে আনতে হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। এখন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করছেন। কিন্তু এই প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সিইসি ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি দলীয় দুজন সংসদ সদস্য বিগত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ তারাই ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে এসেছেন। তারা এই সংসদে নিয়মিত কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমোরিকাসহ বিশ্বের কোথাও বলার সুযোগ নেই শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো সম্পর্কে বিস্তরিত তথ্য তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে হা-না ভোট দেখেছি। প্রেসিডেন্ট পদে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু কাউকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়নি। বিএনপি আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সকলেই জানেন। মাগুরার উপনির্বাচনেও কী হয়ে তা সকলের জানা আছে। তাদের সময়ে জাস্টিস আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা দেখেছি।
এ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি দাবি করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ জুন, ২০২২ ২২:২৯

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা দাবি করেছেন, তাদের দল ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছেন। জবাবে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব বলেন তারা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের উপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।
তারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনী ইনস্টিটিউশনগুলো যদি শক্তিশালী না হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি যদি জনগণের আস্থা বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, সেই দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিগত দশ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করে না। নির্বাচন করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও জনপ্রশাসনের ব্যক্তিরা।
হারুন বলেন, আজকে বিএনপিকে ছাড়া কি নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য হবে? হবে না। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনবেন সেটিই বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আসতে হবে।
বিএনপি দলীয় আরেক সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনই না থাকে, মানুষ যদি তার ভোটই প্রয়োগ না করতে পারে, মানুষ যদি তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে, আগে থেকে যদি ব্যালটে বাক্স ভরা থাকে, দিনের ভোট যদি রাতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন দিয়ে হবে কী?
তিনি বলেন, নির্বাচন যে এখন একটা মল্লযুদ্ধ, তার একটা বড় প্রমাণ এই নির্বাচন কমিশন শপথ নেয়ার পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জেলনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি একটা যুদ্ধ যে জেলনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে? আর এক কমিশনার বলেছেন মেশিনে কোনো সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে গোপন কক্ষে যে ডাকাত ঢুকে থাকে। এই ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তা নয়, এর মধ্যে আছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকতদের যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বোঝা যায় ভবিষৎতে আরো ডাকাত বাড়বে।
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মাত্র একজন এমপির হুমকি-ধমকি এই নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাকে এলাকা থেকে সরানো যায়নি। নতজানু ও মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা দেখে বোঝা যায়, এই ইসির অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সমকক্ষ লোক নির্বাচনে আসলে ভোট সঠিক হবে। ইভিএম বলেন, আর ব্যালট বলেন লোক যার বেশি সেই বিজয়ী হবে।
জাতীয় পার্টির ডা. রস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ইলেকশন কমিশনের দায়িত্বই হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন সঠিক হতে হবে, ফেয়ার হতে হবে। প্রশ্ন থাকতেই পারে নানা ব্যাপারে। ভারতে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সেখানে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে ওই ধরনের পরিবেশ আসা দরকার। ডিজিটাল যুগে ইভিএমের কোনো দোষ নাই। ইভিএমে সমস্যা থাকলে সেটা পরিবর্তন করতে হবে। পেছনে যেন কেউ না থাকে, সেটা দেখতে হবে। ইভিএমে না হয়ে যদি ব্যালটে হয়, সেখানেও তো কেউ, না কেউ প্রভাব ফেলতে পারে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনে প্রভাব খাটানো বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিরোধী দলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি কি পাকিস্তানে থাকে, তাদেরনির্বাচনের জন্য হাত ধরে ডেকে আনতে হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। এখন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করছেন। কিন্তু এই প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সিইসি ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি দলীয় দুজন সংসদ সদস্য বিগত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ তারাই ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে এসেছেন। তারা এই সংসদে নিয়মিত কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমোরিকাসহ বিশ্বের কোথাও বলার সুযোগ নেই শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো সম্পর্কে বিস্তরিত তথ্য তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে হা-না ভোট দেখেছি। প্রেসিডেন্ট পদে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু কাউকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়নি। বিএনপি আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সকলেই জানেন। মাগুরার উপনির্বাচনেও কী হয়ে তা সকলের জানা আছে। তাদের সময়ে জাস্টিস আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা দেখেছি।
এ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি দাবি করেন।