এই দিনে
জহুর আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০২২ ০৭:৪৭
রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জহুর আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই তিনি মারা যান। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভায় শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জহুর আহমদ চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামে ১৯১৬ সালে। তার বাবার নাম আবদুল আজিজ চৌধুরী এবং মা জরিনা বেগম। তিনি কাট্টলী নূরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও পাহাড়তলী রেলওয়ে হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
১৯৪০ সালে তিনি মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন প্রক্রিয়ায় আরমানিটোলায় অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে তিনি চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি পাকিস্তান ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
ছয় দফার আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম সদর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন।
মুজিবনগর সরকার কর্তৃক গঠিত আঞ্চলিক কাউন্সিল পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চল-২-এর তিনি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০২২ ০৭:৪৭

রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জহুর আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই তিনি মারা যান। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভায় শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জহুর আহমদ চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামে ১৯১৬ সালে। তার বাবার নাম আবদুল আজিজ চৌধুরী এবং মা জরিনা বেগম। তিনি কাট্টলী নূরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও পাহাড়তলী রেলওয়ে হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
১৯৪০ সালে তিনি মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন প্রক্রিয়ায় আরমানিটোলায় অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে তিনি চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি পাকিস্তান ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
ছয় দফার আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম সদর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন।
মুজিবনগর সরকার কর্তৃক গঠিত আঞ্চলিক কাউন্সিল পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চল-২-এর তিনি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।