হলি আর্টিজান হামলার ছয় বছর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০২২ ০৯:৩০
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে রেস্তোরাঁয় অস্ত্রের মুখে জঙ্গিরা দেশি–বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। সেদিন তাদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ দেশি–বিদেশি ২০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় ছিলেন। এর বাইরে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রথম দফায় জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। হামলার ভয়াবহতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, নেভি কমান্ডো ও সেনাবাহিনী যুক্ত হয়।
রাতভর জঙ্গিরা গুলি করে ও কুপিয়ে রেস্তোরাঁয় আসা গর্ভবতী নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উন্নয়ন সহযোগী বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে পরদিন সকালে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশার। অভিযানে সরাসরি হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। তারা হলেন রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।
ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে। এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তবে সরকার আইএসের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।
হলি আর্টিজানে হামলার ছয় বছর পূর্তি সামনে রেখে নিহত ও আহতদের স্মরণে আজ গুলশানের দীপ্ত শপথ ভাষ্কর্য এলাকায় র্যাব, পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান এবং তৎপরতার কারণে জঙ্গি কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এসেছে। এখন কোনো ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জুলাই, ২০২২ ০৯:৩০

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে রেস্তোরাঁয় অস্ত্রের মুখে জঙ্গিরা দেশি–বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। সেদিন তাদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ দেশি–বিদেশি ২০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় ছিলেন। এর বাইরে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রথম দফায় জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। হামলার ভয়াবহতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, নেভি কমান্ডো ও সেনাবাহিনী যুক্ত হয়।
রাতভর জঙ্গিরা গুলি করে ও কুপিয়ে রেস্তোরাঁয় আসা গর্ভবতী নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উন্নয়ন সহযোগী বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে পরদিন সকালে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশার। অভিযানে সরাসরি হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। তারা হলেন রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।
ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে। এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তবে সরকার আইএসের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।
হলি আর্টিজানে হামলার ছয় বছর পূর্তি সামনে রেখে নিহত ও আহতদের স্মরণে আজ গুলশানের দীপ্ত শপথ ভাষ্কর্য এলাকায় র্যাব, পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান এবং তৎপরতার কারণে জঙ্গি কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এসেছে। এখন কোনো ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই।