‘ক্যারিশমাটিক লিডার হতে পারতেন শেখ কামাল’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ আগস্ট, ২০২২ ২৩:০২
‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ শেখ কামাল যে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতো ক্যারিশমাটিক লিডার হতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর সকল ক্যারিশমা তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল’।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে ‘শেখ কামাল: বহুমাত্রিক প্রতিভাবান সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন প্রাণচঞ্চল মানুষ ছিলেন শেখ কামাল। বয়সে তরুণ হলেও তার মধ্যে সংগঠকের অসাধারণ নৈপুণ্য ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং ক্রীড়া অঙ্গনে শেখ কামালের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। এত কম বয়সে তিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র, স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চাইলে কলকাতায় গিয়ে হালকা সরকারি কাজ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার হতে পারে শেখ কামাল। তিনি সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ক্যারিশমাটিক লিডার হতে পারতেন তিনি।
তিনি বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ওপর কত যে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করা হয়েছে। সেই থেকে বাদ যাননি শেখ কামালও। কিন্তু সত্য প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল এবং মানুষ সেটি জানেও। বাংলার মানুষ ঘৃণাভরে সে মিথ্যাচার প্রত্যাখ্যান করেছে।
ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, শেখ কামালকে নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। যারা তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছে সে মানুষগুলোর অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা দেখতে হয়। এটি মিথ্যাচারের পরাকাষ্ঠা। তিনি নাকি ব্যাংক ডাকাতি করেছেন অথচ তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির ছেলে। প্রয়োজন হলে ব্যাংক তার কাছে আসবে। তিনি ব্যাংকে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ইতিহাস সেই মিথ্যাচারীদের বর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়।
উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বায়োপিকে নাম চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি, আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন, বিমান রায়, উৎপল সাহা, মিজানুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ আগস্ট, ২০২২ ২৩:০২

‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ শেখ কামাল যে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতো ক্যারিশমাটিক লিডার হতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর সকল ক্যারিশমা তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল’।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে ‘শেখ কামাল: বহুমাত্রিক প্রতিভাবান সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন প্রাণচঞ্চল মানুষ ছিলেন শেখ কামাল। বয়সে তরুণ হলেও তার মধ্যে সংগঠকের অসাধারণ নৈপুণ্য ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং ক্রীড়া অঙ্গনে শেখ কামালের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। এত কম বয়সে তিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র, স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চাইলে কলকাতায় গিয়ে হালকা সরকারি কাজ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার হতে পারে শেখ কামাল। তিনি সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ক্যারিশমাটিক লিডার হতে পারতেন তিনি।
তিনি বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ওপর কত যে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করা হয়েছে। সেই থেকে বাদ যাননি শেখ কামালও। কিন্তু সত্য প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল এবং মানুষ সেটি জানেও। বাংলার মানুষ ঘৃণাভরে সে মিথ্যাচার প্রত্যাখ্যান করেছে।
ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, শেখ কামালকে নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। যারা তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছে সে মানুষগুলোর অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা দেখতে হয়। এটি মিথ্যাচারের পরাকাষ্ঠা। তিনি নাকি ব্যাংক ডাকাতি করেছেন অথচ তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির ছেলে। প্রয়োজন হলে ব্যাংক তার কাছে আসবে। তিনি ব্যাংকে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ইতিহাস সেই মিথ্যাচারীদের বর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়।
উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বায়োপিকে নাম চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি, আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন, বিমান রায়, উৎপল সাহা, মিজানুর রহমান রুবেল প্রমুখ।