সৎকার শেষে জানানো হলো নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র আর নেই
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:১০
ভারতের নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রর সৎকার শেষে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কলকাতায় বেহালার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর পর অত্যন্ত গোপনে সিরিটি শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
নাট্য কিংবদন্তি শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের যোগ্য কন্যা ছিলেন শাঁওলি মিত্র । পারিবারিক রীতি মেনে দেহ সৎকার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যু সংবাদ কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিলেন তিনি।
সৎকারের সময় সিরিটি শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ ও পরিবারের হাতে গোনা কয়েকজন। সৎকার শেষ হওয়ার পর তার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বাংলার রঙ্গমঞ্চ বছরের পর বছর মাতিয়ে রেখেছিলেন শাঁওলি মিত্র। পঞ্চম বৈদিকের একের পর এক নাটকে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন তিনি। ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্ক আর গপ্পোয়’ বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।
সিঙুর আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কৃষকদের সমর্থন করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। বিরোধিতা করেছিলেন বাম সরকারের। এর পর বাংলা অ্যাকাদেমির প্রধান হন তিনি, ২০১৮ সালে হঠাৎ সেই পদে ইস্তফা দেন।
শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকায় ২০২০ সালে একটি ইচ্ছাপত্র লেখেন শাঁওলি মিত্র। তাতে তিনি তার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ভার দিয়ে যান অর্পিতা ঘোষের ওপর। সঙ্গে জানিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন মৃতদেহ কাউকে দেখানো না হয়। মৃতদেহের ওপর যেন ফুল না দেয় কেউ। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও অস্বীকার করেন তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:১০
ভারতের নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রর সৎকার শেষে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কলকাতায় বেহালার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর পর অত্যন্ত গোপনে সিরিটি শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
নাট্য কিংবদন্তি শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের যোগ্য কন্যা ছিলেন শাঁওলি মিত্র । পারিবারিক রীতি মেনে দেহ সৎকার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যু সংবাদ কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিলেন তিনি।
সৎকারের সময় সিরিটি শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ ও পরিবারের হাতে গোনা কয়েকজন। সৎকার শেষ হওয়ার পর তার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বাংলার রঙ্গমঞ্চ বছরের পর বছর মাতিয়ে রেখেছিলেন শাঁওলি মিত্র। পঞ্চম বৈদিকের একের পর এক নাটকে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন তিনি। ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্ক আর গপ্পোয়’ বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।
সিঙুর আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কৃষকদের সমর্থন করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। বিরোধিতা করেছিলেন বাম সরকারের। এর পর বাংলা অ্যাকাদেমির প্রধান হন তিনি, ২০১৮ সালে হঠাৎ সেই পদে ইস্তফা দেন।
শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকায় ২০২০ সালে একটি ইচ্ছাপত্র লেখেন শাঁওলি মিত্র। তাতে তিনি তার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ভার দিয়ে যান অর্পিতা ঘোষের ওপর। সঙ্গে জানিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন মৃতদেহ কাউকে দেখানো না হয়। মৃতদেহের ওপর যেন ফুল না দেয় কেউ। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও অস্বীকার করেন তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।