১০ হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি বৃদ্ধের
ইমন রহমান | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
মাথায় জখম নিয়ে রাজধানীর অন্তত ১০টি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি মোছাদবর আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তারা জানান, করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলেও গতকাল শুক্রবার রাজধানীর অন্তত ১০টি হাসপাতালে গেলেও মোছাদবরকে ভর্তি করা হয়নি। ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যাও রয়েছে মোছাদবরের।
স্বজনরা জানান, রাজধানীর মালিবাগের ৪১২/বি চৌধুরীপাড়ায় বাসায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সাহরির সময় হঠাৎ চেতনা হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান মোছাদবর আলী। এ সময় তার মাথা ফেটে গেলে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মাথায় ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। পরে ভোরে বাসায় নিয়ে আসা হয় মোছাদবরকে। এরপর গতকাল তার অবস্থার অবনতি হয়। এ পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা মোছাদবরকে নিয়ে দিনভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও কোনো চিকিৎসা পাননি।
মোছাদবর আলীর স্ত্রী পারভীন আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে সাহরি খাওয়ার জন্য ওঠে মোছাদবর। এ সময় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে মাথায় ৬টি সেলাই দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। মোছাদবর আলীর ডায়াবেটিস রয়েছে। এছাড়া তার হার্টে রিং পরানো আছে। ফলে গতকাল সকালে তার অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় প্রথমে খিলগাঁও খিদমা হাসপাতালে নিলে সেখানে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। তার করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলেও ভর্তি নেয়নি। পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও ল্যাবএইড হাসপাতালসহ অন্তত ১০টি হাসপাতালে গেলেও কেউ ভর্তি করেনি। দিনভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ভর্তি করাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বিকেলে মোছাদবরকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন স্বজনরা।
পারভীন আলী দেশ রূপান্তরকে আরও বলেন, ‘মোছাদবর আলীর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তারপরও কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। এমন অবস্থা হলে আমরা কোথায় যাব? বিনা চিকিৎসায় মারা যাব?’
শেয়ার করুন
ইমন রহমান | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

মাথায় জখম নিয়ে রাজধানীর অন্তত ১০টি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি মোছাদবর আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তারা জানান, করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলেও গতকাল শুক্রবার রাজধানীর অন্তত ১০টি হাসপাতালে গেলেও মোছাদবরকে ভর্তি করা হয়নি। ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যাও রয়েছে মোছাদবরের।
স্বজনরা জানান, রাজধানীর মালিবাগের ৪১২/বি চৌধুরীপাড়ায় বাসায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সাহরির সময় হঠাৎ চেতনা হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান মোছাদবর আলী। এ সময় তার মাথা ফেটে গেলে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মাথায় ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। পরে ভোরে বাসায় নিয়ে আসা হয় মোছাদবরকে। এরপর গতকাল তার অবস্থার অবনতি হয়। এ পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা মোছাদবরকে নিয়ে দিনভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও কোনো চিকিৎসা পাননি।
মোছাদবর আলীর স্ত্রী পারভীন আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে সাহরি খাওয়ার জন্য ওঠে মোছাদবর। এ সময় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে মাথায় ৬টি সেলাই দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। মোছাদবর আলীর ডায়াবেটিস রয়েছে। এছাড়া তার হার্টে রিং পরানো আছে। ফলে গতকাল সকালে তার অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় প্রথমে খিলগাঁও খিদমা হাসপাতালে নিলে সেখানে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। তার করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলেও ভর্তি নেয়নি। পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও ল্যাবএইড হাসপাতালসহ অন্তত ১০টি হাসপাতালে গেলেও কেউ ভর্তি করেনি। দিনভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ভর্তি করাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বিকেলে মোছাদবরকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন স্বজনরা।
পারভীন আলী দেশ রূপান্তরকে আরও বলেন, ‘মোছাদবর আলীর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তারপরও কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। এমন অবস্থা হলে আমরা কোথায় যাব? বিনা চিকিৎসায় মারা যাব?’