‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গান নিয়ে কপিরাইট বিতর্ক!
পাভেল রহমান | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
জনপ্রিয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের একটি গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার গানটি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও পার্থ বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় ইউটিউবে প্রকাশ হয়।
পরে সরলপুর নামে একটি ব্যান্ডদল অভিযোগ করে গানটি তাদের নামে কপিরাইট নিবন্ধন করা এবং তাদের অনুমতি ছাড়া গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই ইউটিউব কর্র্তৃপক্ষ গানটি সরিয়ে নিয়েছে।
কপিরাইট অফিস বলছে, ২০১৮ সালে গানটি সরলপুর ব্যান্ডের নামে কপিরাইট করা হয়েছে। সেখানে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনকে ‘যুবতী রাধে’ গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সরলপুর ব্যান্ডের অভিযোগ, তাদের গানের কথা ও সুর হুবহু রেখে ব্যান্ডটির অনুমতি ছাড়াই আইপিডিসির ‘আমাদের গান’ শীর্ষক প্রকল্পে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে প্রকাশিত গানের কথা ও সুরকে ‘সংগৃহীত’ বলে উল্লেখ করায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যান্ডের সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাবেন বলে কানাডা থেকে ব্যান্ডের সদস্য তারিকুল ইসলাম তপন জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিডিসির ফেইসবুক পেইজ থেকে গানটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো গানটি অন্যান্য ফেইসবুক পেইজে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত গানটি অসংখ্য ফেইসবুক পেইজে শেয়ার হতে দেখা যায়। গানটির সত্যিকারের মালিকানা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে সুমি মির্জা নামে একজন অভিযোগ করেছিলেন, গানটি ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে সেই অভিযোগের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি সুমি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গানটির কপিরাইট স্বত্ব দেওয়া হয় সরলপুর ব্যান্ডের তপনকে। এদিকে স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ছাড়া গান প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের ৭১ ধারার লঙ্ঘন বলে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী জানান। এই ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কপিরাইট আইনের ৮২ ধারায় ৬ মাস থেকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘সরলপুর ব্যান্ডকে এই গানের কপিরাইট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ গানটি পরিবেশন করতে পারবে না। অনুমতি ছাড়া গান পরিবেশন করলে তা কপিরাইট আইনের স্পষ্টত লঙ্ঘন।’
শেয়ার করুন
পাভেল রহমান | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

জনপ্রিয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের একটি গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার গানটি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও পার্থ বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় ইউটিউবে প্রকাশ হয়।
পরে সরলপুর নামে একটি ব্যান্ডদল অভিযোগ করে গানটি তাদের নামে কপিরাইট নিবন্ধন করা এবং তাদের অনুমতি ছাড়া গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই ইউটিউব কর্র্তৃপক্ষ গানটি সরিয়ে নিয়েছে।
কপিরাইট অফিস বলছে, ২০১৮ সালে গানটি সরলপুর ব্যান্ডের নামে কপিরাইট করা হয়েছে। সেখানে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনকে ‘যুবতী রাধে’ গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সরলপুর ব্যান্ডের অভিযোগ, তাদের গানের কথা ও সুর হুবহু রেখে ব্যান্ডটির অনুমতি ছাড়াই আইপিডিসির ‘আমাদের গান’ শীর্ষক প্রকল্পে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে প্রকাশিত গানের কথা ও সুরকে ‘সংগৃহীত’ বলে উল্লেখ করায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যান্ডের সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাবেন বলে কানাডা থেকে ব্যান্ডের সদস্য তারিকুল ইসলাম তপন জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিডিসির ফেইসবুক পেইজ থেকে গানটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো গানটি অন্যান্য ফেইসবুক পেইজে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত গানটি অসংখ্য ফেইসবুক পেইজে শেয়ার হতে দেখা যায়। গানটির সত্যিকারের মালিকানা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে সুমি মির্জা নামে একজন অভিযোগ করেছিলেন, গানটি ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে সেই অভিযোগের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি সুমি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গানটির কপিরাইট স্বত্ব দেওয়া হয় সরলপুর ব্যান্ডের তপনকে। এদিকে স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ছাড়া গান প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের ৭১ ধারার লঙ্ঘন বলে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী জানান। এই ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কপিরাইট আইনের ৮২ ধারায় ৬ মাস থেকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘সরলপুর ব্যান্ডকে এই গানের কপিরাইট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ গানটি পরিবেশন করতে পারবে না। অনুমতি ছাড়া গান পরিবেশন করলে তা কপিরাইট আইনের স্পষ্টত লঙ্ঘন।’