১০০ বিপণন কেন্দ্র করবে ঐতিহ্য
পাঠকের দরজায় পৌঁছাবে বই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
সারা দেশে অন্তত ১০০টি বই বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে দেশের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’। এরই মধ্যে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও যশোরে ‘নির্বাচিত’ নামে ছয়টি বই বিপণন কেন্দ্র চালু করেছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরে কুমিল্লায় চালু হবে নির্বাচিতর সপ্তম আউটলেট। ২০০০ সালে ঐতিহ্যের পথচলা শুরুর পর থেকেই সারা দেশে বই বিপণন নিয়ে ‘বইমেলা’সহ নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঐহিত্যের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুর রহমান নাঈম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বই বিপণনের বাজার তৈরি করাও জরুরি। অনেক জেলা, উপজেলা শহরে গিয়ে দেখেছি বইয়ের দোকান নেই। যে দোকানগুলো আছে সেখানে সৃজনশীল বই তেমন রাখা হয় না। এখন পাঠক হাতের কাছে বই না পেলে বই সংগ্রহ করবে কীভাবে? আমরা স্বপ্ন দেখছি দেশে অন্তত ১০০টি স্থানে বই বিপণন কেন্দ্র গড়ে তুলব। সেখানে বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থার নির্বাচিত সৃজনশীল বইগুলো থাকবে। এজন্য নামকরণ করা হয়েছে “নির্বাচিত”। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ৩৫টি প্রকাশনা সংস্থা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
এ বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ‘নির্বাচিত’ নামের এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়। মার্চে করোনার লকডাউনের জন্য কিছুদিন বন্ধ থাকলেও জুন মাস থেকে পুনরায় কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। আগামী বছরই আরও নতুন কয়েকটি আউটলেট করার কথা জানিয়েছেন ঐহিত্যের কর্ণধার। ইতিমধ্যে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, অনন্যা, সাহিত্য প্রকাশ, আদর্শ, গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস, ইত্যাদি, ঐতিহ্য, শব্দশৈলী, ভাষাচিত্র, রোদেলা, স্বরে-অ, গদ্য-পদ্য, অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি, কথা প্রকাশ, পাঞ্জেরী, দ্যু, কবি, মূর্ধন্যসহ বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘নির্বাচিত’। ভারতে প্রকাশিত বাংলা বইও পাওয়া যাচ্ছে এতে।
আরিফুর রহমান নাঈম বলেন, ‘বিদেশি বাঙালি লেখকদের বইও আমরা বিক্রি করব। তবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের লেখকদের বইকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। জন্মদিন কিংবা পারিবারিক কোনো আয়োজনে কেউ যদি বই উপহার দিতে চান, তারা যেন সহজেই সৃজনশীল বই কেনার সুযোগ পান।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

সারা দেশে অন্তত ১০০টি বই বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে দেশের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’। এরই মধ্যে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও যশোরে ‘নির্বাচিত’ নামে ছয়টি বই বিপণন কেন্দ্র চালু করেছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরে কুমিল্লায় চালু হবে নির্বাচিতর সপ্তম আউটলেট। ২০০০ সালে ঐতিহ্যের পথচলা শুরুর পর থেকেই সারা দেশে বই বিপণন নিয়ে ‘বইমেলা’সহ নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঐহিত্যের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুর রহমান নাঈম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বই বিপণনের বাজার তৈরি করাও জরুরি। অনেক জেলা, উপজেলা শহরে গিয়ে দেখেছি বইয়ের দোকান নেই। যে দোকানগুলো আছে সেখানে সৃজনশীল বই তেমন রাখা হয় না। এখন পাঠক হাতের কাছে বই না পেলে বই সংগ্রহ করবে কীভাবে? আমরা স্বপ্ন দেখছি দেশে অন্তত ১০০টি স্থানে বই বিপণন কেন্দ্র গড়ে তুলব। সেখানে বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থার নির্বাচিত সৃজনশীল বইগুলো থাকবে। এজন্য নামকরণ করা হয়েছে “নির্বাচিত”। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ৩৫টি প্রকাশনা সংস্থা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
এ বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ‘নির্বাচিত’ নামের এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়। মার্চে করোনার লকডাউনের জন্য কিছুদিন বন্ধ থাকলেও জুন মাস থেকে পুনরায় কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। আগামী বছরই আরও নতুন কয়েকটি আউটলেট করার কথা জানিয়েছেন ঐহিত্যের কর্ণধার। ইতিমধ্যে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, অনন্যা, সাহিত্য প্রকাশ, আদর্শ, গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস, ইত্যাদি, ঐতিহ্য, শব্দশৈলী, ভাষাচিত্র, রোদেলা, স্বরে-অ, গদ্য-পদ্য, অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি, কথা প্রকাশ, পাঞ্জেরী, দ্যু, কবি, মূর্ধন্যসহ বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘নির্বাচিত’। ভারতে প্রকাশিত বাংলা বইও পাওয়া যাচ্ছে এতে।
আরিফুর রহমান নাঈম বলেন, ‘বিদেশি বাঙালি লেখকদের বইও আমরা বিক্রি করব। তবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের লেখকদের বইকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। জন্মদিন কিংবা পারিবারিক কোনো আয়োজনে কেউ যদি বই উপহার দিতে চান, তারা যেন সহজেই সৃজনশীল বই কেনার সুযোগ পান।’