৪৮৮৬ ভোটকক্ষে ১১ হাজার ইভিএম
সুবল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
দুয়ারে কড়া নাড়ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত করা এ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এসব ভোটকেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব ভোটকক্ষে থাকবে ১১ হাজার ইভিএম মেশিন। এসব ইভিএম মেশিন ইতিমধ্যে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে আনা হয়েছে। সেখান থেকে নগরীর চারটি স্থানে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে এসব ইভিএম মেশিন রাখা হবে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব ভোটকক্ষের জন্য কমিশন থেকে ইতিমধ্যে ১১ হাজার ইভিএম পাঠানো হয়েছে। এসব ইভিএম সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবে। আগামী ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোটিং হবে। ভোটের আগের দিন এসব ইভিএম কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন ৭৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার। এছাড়াও অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি বা সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে দুটি কক্ষের বিপরীতে একটি করে ইভিএম মেশিন অতিরিক্ত রিজার্ভ রাখা হবে। এছাড়াও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্বে আরও বেশকিছু ইভিএম মেশিন মজুদ রাখা হবে। চসিকের এবারের নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়ার আগের তফসিল অনুযায়ী চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (এম রেজাউল করিম চৌধুরী) ও বিএনপি (ডা. শাহাদাত হোসেন) মনোনীত একক প্রার্থীসহ মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬১ ও ১৪টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
শেয়ার করুন
সুবল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

দুয়ারে কড়া নাড়ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত করা এ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এসব ভোটকেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব ভোটকক্ষে থাকবে ১১ হাজার ইভিএম মেশিন। এসব ইভিএম মেশিন ইতিমধ্যে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে আনা হয়েছে। সেখান থেকে নগরীর চারটি স্থানে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে এসব ইভিএম মেশিন রাখা হবে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব ভোটকক্ষের জন্য কমিশন থেকে ইতিমধ্যে ১১ হাজার ইভিএম পাঠানো হয়েছে। এসব ইভিএম সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবে। আগামী ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোটিং হবে। ভোটের আগের দিন এসব ইভিএম কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন ৭৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার। এছাড়াও অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি বা সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে দুটি কক্ষের বিপরীতে একটি করে ইভিএম মেশিন অতিরিক্ত রিজার্ভ রাখা হবে। এছাড়াও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্বে আরও বেশকিছু ইভিএম মেশিন মজুদ রাখা হবে। চসিকের এবারের নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়ার আগের তফসিল অনুযায়ী চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (এম রেজাউল করিম চৌধুরী) ও বিএনপি (ডা. শাহাদাত হোসেন) মনোনীত একক প্রার্থীসহ মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬১ ও ১৪টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।