পার্ক উদ্বোধনে মেয়র আতিক
অন্তর্ভুক্তিমূলক শহরই লক্ষ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে দশটি ক্রিকেট খেলার মাঠ আমরা করে দিচ্ছি। কিছু কিছু মাঠ আন্তর্জাতিক মানের হবে। মাঠে ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলাও করা যাবে। এসব মাঠে বর্ষায় যাতে খেলাধুলা করা যায়, এজন্য পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে; ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর করাই আমাদের লক্ষ্য।’
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে উদয়াচল পার্ক ও খেলার মাঠ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি বনাম বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার সাথী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। খেলাপাগল তার পরিবার। তাদের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মাঠ ও পার্ক উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এই পার্কটি তারই ধারাবাহিকতা।’
মেয়র শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, ক্রিকেট খেলার জন্য আশপাশের ঘরে-ঘরে গিয়ে চাঁদা তুলে ব্যাট কিনেছি, প্যাড কিনেছি। তখন আমাদের জন্য একটি ব্যাট, একটি প্যাড অনেক টাকা, অনেক দাম ছিল। তবে তখন এক ধরনের সামাজিক বন্ধন ছিল। এই সামাজিক বন্ধন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন একটি অ্যাপার্টমেন্টে, চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি হয়ে গিয়েছি। আমাদের সামাজিকতা কমে যাচ্ছে। ভালোবাসার বন্ধন কমে যাচ্ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে। আমরা যেন পাড়া উৎসব করতে পারি, খেলাধুলা করতে পারি। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। এজন্য আমি এই মাঠটি এই এলাকার জনগণকে দিতে চাই।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি বনাম ভারতীয় হাইকমিশনের মধ্যে উদয়াচল মাঠে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি এই ম্যাচে ডিএনসিসি ১৭২ রানে ভারতীয় হাইকমিশনকে হারায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডিএনসিসি ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করে। ডিএনসিসি দলের ইমন ১০৫ রান এবং আল আমিন ১০১ রান করে। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশন ১৩ ওভার ব্যাট করে ১২৮ রান করে অল আউট হয়ে যায়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে দশটি ক্রিকেট খেলার মাঠ আমরা করে দিচ্ছি। কিছু কিছু মাঠ আন্তর্জাতিক মানের হবে। মাঠে ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলাও করা যাবে। এসব মাঠে বর্ষায় যাতে খেলাধুলা করা যায়, এজন্য পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে; ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর করাই আমাদের লক্ষ্য।’
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে উদয়াচল পার্ক ও খেলার মাঠ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি বনাম বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার সাথী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। খেলাপাগল তার পরিবার। তাদের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মাঠ ও পার্ক উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এই পার্কটি তারই ধারাবাহিকতা।’
মেয়র শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, ক্রিকেট খেলার জন্য আশপাশের ঘরে-ঘরে গিয়ে চাঁদা তুলে ব্যাট কিনেছি, প্যাড কিনেছি। তখন আমাদের জন্য একটি ব্যাট, একটি প্যাড অনেক টাকা, অনেক দাম ছিল। তবে তখন এক ধরনের সামাজিক বন্ধন ছিল। এই সামাজিক বন্ধন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন একটি অ্যাপার্টমেন্টে, চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি হয়ে গিয়েছি। আমাদের সামাজিকতা কমে যাচ্ছে। ভালোবাসার বন্ধন কমে যাচ্ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে। আমরা যেন পাড়া উৎসব করতে পারি, খেলাধুলা করতে পারি। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। এজন্য আমি এই মাঠটি এই এলাকার জনগণকে দিতে চাই।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি বনাম ভারতীয় হাইকমিশনের মধ্যে উদয়াচল মাঠে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি এই ম্যাচে ডিএনসিসি ১৭২ রানে ভারতীয় হাইকমিশনকে হারায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডিএনসিসি ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করে। ডিএনসিসি দলের ইমন ১০৫ রান এবং আল আমিন ১০১ রান করে। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশন ১৩ ওভার ব্যাট করে ১২৮ রান করে অল আউট হয়ে যায়।