যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস
উদীচীর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০
যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলার ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের ব্যাপারে সরকার সীমাহীন অবহেলা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বাউল গানের অনুষ্ঠানে দুই দফা বোমা হামলায় এক ভয়ানক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন শিল্পী-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। আহত হন দেড় শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই এখনো পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে জীবনযাপন করছেন। দিনটিকে যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস হিসেবে পালন করে আসছে উদীচী।
গতকাল সংগঠনটির প্রতিবাদ সমাবেশে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোক প্রজ্বলন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সঙ্গীতা ইমাম, ইকবালুল হক খান, কোষাধ্যক্ষ পারভেজ মাহমুদ, সম্পাদক রহমান মুফিজ, উদীচী যশোর জেলা সংসদের সদস্য একরামুল কবির খানসহ অনেকে। সঞ্চালনা করেন আরিফ নূর।
বক্তারা বলেন, যশোর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারের ব্যাপারে সরকার সীমাহীন অবহেলা দেখিয়েছে। বাইশ বছর পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া থেমে আছে। উদীচীর ওপর বোমা হামলার সুষ্ঠু বিচার হলে হামলাকারীরা পরবর্তী সময়ে সংঘটিত একের পর এক বোমা হামলার সুযোগ পেত না। যশোর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান পরবর্তী সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তার সূত্র ধরে দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের পর মামলাটির তদন্তের ভার সিআইডির হাতে ন্যস্ত হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি আমরা তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
যশোর হত্যামামলার পুনঃতদন্ত ও দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আলোচনাসভা ছাড়াও দলীয় ও একক সংগীত, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনে গ্রেপ্তারকৃত সব বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০

যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলার ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের ব্যাপারে সরকার সীমাহীন অবহেলা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বাউল গানের অনুষ্ঠানে দুই দফা বোমা হামলায় এক ভয়ানক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন শিল্পী-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। আহত হন দেড় শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই এখনো পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে জীবনযাপন করছেন। দিনটিকে যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস হিসেবে পালন করে আসছে উদীচী।
গতকাল সংগঠনটির প্রতিবাদ সমাবেশে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোক প্রজ্বলন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সঙ্গীতা ইমাম, ইকবালুল হক খান, কোষাধ্যক্ষ পারভেজ মাহমুদ, সম্পাদক রহমান মুফিজ, উদীচী যশোর জেলা সংসদের সদস্য একরামুল কবির খানসহ অনেকে। সঞ্চালনা করেন আরিফ নূর।
বক্তারা বলেন, যশোর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারের ব্যাপারে সরকার সীমাহীন অবহেলা দেখিয়েছে। বাইশ বছর পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া থেমে আছে। উদীচীর ওপর বোমা হামলার সুষ্ঠু বিচার হলে হামলাকারীরা পরবর্তী সময়ে সংঘটিত একের পর এক বোমা হামলার সুযোগ পেত না। যশোর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান পরবর্তী সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তার সূত্র ধরে দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের পর মামলাটির তদন্তের ভার সিআইডির হাতে ন্যস্ত হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি আমরা তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
যশোর হত্যামামলার পুনঃতদন্ত ও দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আলোচনাসভা ছাড়াও দলীয় ও একক সংগীত, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনে গ্রেপ্তারকৃত সব বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।