আন্দোলনে বাধা দিলে বিকল্প পথ : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাজপথের আন্দোলনে বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিকল্প পথ খুঁজবেন। অস্ত্র বা পোশাকের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানো যাবে না।’
গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক পথ আছে। উন্মুক্ত রাজপথে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। সেই বিকল্প পথে যদি কর্মীরা যায়, দেশটার কী অবস্থা হবে এটা সবাইকে ভাবতে হবে। প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফেরত আসতে দিন। গণতন্ত্র এলে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনে যারা চাকরি করবেন, তারা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে নিজেদের মানুষের সামনে হাজির করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে গণতন্ত্রের জন্য, রাজতন্ত্রের জন্য নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করে যারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়, তাদের পরিণাম কী হয়, যুগে যুগে দেশে এই ইতিহাস আপনারা অনেকে জানেন।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আজকে একটা প্রতিবাদ সভা করছি। প্রতিবাদ সভা কিসের জন্য? আমরা আমাদের কথা বলার অধিকার চাই। আমাদের স্বাধিকার চাই। দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গ্যারান্টি চাই।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাজপথের আন্দোলনে বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিকল্প পথ খুঁজবেন। অস্ত্র বা পোশাকের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানো যাবে না।’
গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক পথ আছে। উন্মুক্ত রাজপথে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। সেই বিকল্প পথে যদি কর্মীরা যায়, দেশটার কী অবস্থা হবে এটা সবাইকে ভাবতে হবে। প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফেরত আসতে দিন। গণতন্ত্র এলে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনে যারা চাকরি করবেন, তারা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে নিজেদের মানুষের সামনে হাজির করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে গণতন্ত্রের জন্য, রাজতন্ত্রের জন্য নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করে যারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়, তাদের পরিণাম কী হয়, যুগে যুগে দেশে এই ইতিহাস আপনারা অনেকে জানেন।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আজকে একটা প্রতিবাদ সভা করছি। প্রতিবাদ সভা কিসের জন্য? আমরা আমাদের কথা বলার অধিকার চাই। আমাদের স্বাধিকার চাই। দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গ্যারান্টি চাই।’