বাগেরহাটে টিকা না পাওয়ায় স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর হামলা
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০
বাগেরহাটে করোনার টিকা নিতে এসে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করার অভিযোগে দুই বাস শ্রমিককে এক মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম এই বাস শ্রমিকদের দ-াদেশ দেন। তারা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের আলী হোসেন (৩৩) এবং একই গ্রামের মো. একরাম ফরাজী (৩৫)।
এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে লাইনের শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা না পাওয়ায় এই দুই বাস শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে টিকা কেন্দ্রের রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক রাতুল কুমার শীল ও জিলানী শেখের ওপর হামলা চালায়। এতে রাতুল রক্তাক্ত জখম হন এবং জিলানী কিলঘুষিতে আহত হন। এসময় টিকাকেন্দ্রে আসা সাধারণ টিকা প্রার্থীরা ওই দুই বাস শ্রমিককে আটকে রাখে। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পর বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার বেলা এগারোটার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে আসেন দুই বাস শ্রমিক আলী হোসেন ও একরাম ফরাজী। তারা কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর লাইনের শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা নেওয়ার চেষ্টা করলে ওই কেন্দ্রে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করা দুই স্বেচ্ছাসেবক রাতুল ও জিলানী তাদের বাধা দেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাতুল ও জিলানীকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, টিকাকেন্দ্রে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান শরীফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে রেডক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক বিনা পারিশ্রমিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেই থেকে আমাদের ৫০-৬০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে টিকাগ্রহীতারা যাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকা নিতে পারেন তার জন্য আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। শনিবার দুই বাস শ্রমিক লাইনে না দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা নিতে না পারায় আমার দুই কর্মীকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিচার করায় আমরা দারুণ খুশি হয়েছি।
শেয়ার করুন
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

বাগেরহাটে করোনার টিকা নিতে এসে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করার অভিযোগে দুই বাস শ্রমিককে এক মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম এই বাস শ্রমিকদের দ-াদেশ দেন। তারা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের আলী হোসেন (৩৩) এবং একই গ্রামের মো. একরাম ফরাজী (৩৫)।
এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে লাইনের শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা না পাওয়ায় এই দুই বাস শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে টিকা কেন্দ্রের রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক রাতুল কুমার শীল ও জিলানী শেখের ওপর হামলা চালায়। এতে রাতুল রক্তাক্ত জখম হন এবং জিলানী কিলঘুষিতে আহত হন। এসময় টিকাকেন্দ্রে আসা সাধারণ টিকা প্রার্থীরা ওই দুই বাস শ্রমিককে আটকে রাখে। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পর বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার বেলা এগারোটার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে আসেন দুই বাস শ্রমিক আলী হোসেন ও একরাম ফরাজী। তারা কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর লাইনের শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা নেওয়ার চেষ্টা করলে ওই কেন্দ্রে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করা দুই স্বেচ্ছাসেবক রাতুল ও জিলানী তাদের বাধা দেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাতুল ও জিলানীকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, টিকাকেন্দ্রে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান শরীফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে রেডক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক বিনা পারিশ্রমিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেই থেকে আমাদের ৫০-৬০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে টিকাগ্রহীতারা যাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকা নিতে পারেন তার জন্য আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। শনিবার দুই বাস শ্রমিক লাইনে না দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা ভেঙে আগে টিকা নিতে না পারায় আমার দুই কর্মীকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিচার করায় আমরা দারুণ খুশি হয়েছি।