বিমানবন্দরে জব্দ ব্রাহামা গরু
মালিকানার আবেদন ১৫ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ করা ব্রাহমা জাতের সেই ১৭টি গরুর মালিকানা ফিরে পেতে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের করা আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা কাস্টমসকে নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে আদেশে। আদালতে ভার্চুয়ালি রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বিপুল বাগমার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিপুল বাগমার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তারা (সাদেক অ্যাগ্রো) গরুর মালিকানা ফিরে পেতে ঢাকা কাস্টমসে একটি আবেদন করেছিল। রিট আবেদনের ওপর বক্তব্য শুনে আদালত ওই আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে ১৫ দিনের সময় দিয়েছে। তবে হাইকোর্ট বলেছে, আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা এই নয় যে, এটি অ্যালাউ (গরু আমদানি) হয়ে যাবে। এর আইনগত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে আদালত।’
গত ঈদুল আজহার আগে ৫ জুলাই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু (একটি গরু মারা গেছে) জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। গরুগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরু আমদানিকারককে না পাওয়ায় গরুগুলো জব্দ করা হয়। এগুলোর বয়স ১৩ থেকে ৬০ মাস এবং আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর নাম রয়েছে। পরে গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় ঢাকার অদূরে সাভারের একটি ডেইরি ফার্মে রাখা হয় এবং কোনো দাবিদার না থাকায় নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ করা ব্রাহমা জাতের সেই ১৭টি গরুর মালিকানা ফিরে পেতে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের করা আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা কাস্টমসকে নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে আদেশে। আদালতে ভার্চুয়ালি রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বিপুল বাগমার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিপুল বাগমার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তারা (সাদেক অ্যাগ্রো) গরুর মালিকানা ফিরে পেতে ঢাকা কাস্টমসে একটি আবেদন করেছিল। রিট আবেদনের ওপর বক্তব্য শুনে আদালত ওই আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে ১৫ দিনের সময় দিয়েছে। তবে হাইকোর্ট বলেছে, আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা এই নয় যে, এটি অ্যালাউ (গরু আমদানি) হয়ে যাবে। এর আইনগত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে আদালত।’
গত ঈদুল আজহার আগে ৫ জুলাই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু (একটি গরু মারা গেছে) জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। গরুগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরু আমদানিকারককে না পাওয়ায় গরুগুলো জব্দ করা হয়। এগুলোর বয়স ১৩ থেকে ৬০ মাস এবং আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর নাম রয়েছে। পরে গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় ঢাকার অদূরে সাভারের একটি ডেইরি ফার্মে রাখা হয় এবং কোনো দাবিদার না থাকায় নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।