ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
রূপান্তর ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, বাগেরহাট ও কুড়িগ্রামে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের চিন রাজ্যের রাজধানী হাখা শহরের ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ও আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম জানায়, গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। ভারতের মিজোরামের সাইহা থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটারের মতো।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের প্লেট বাউন্ডারি লাইনে একটি মাইক্রোপ্লেটের কাছাকাছি বার্মা ‘সেগিং ফল্টে’ এ ভূমিকম্প হয়েছে। ওই অঞ্চল বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। কিছুদিন আগেও এ জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছিল। এ ফল্ট লাইনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভোরে বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে ঢাকার উঁচু ভবনগুলো দুলে উঠলে অনেকেই ঘুম ভেঙে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। কেউ কেউ ঘরের জিনিসপত্র কাঁপতে থাকার ভিডিও শেয়ার করেছেন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, বাগেরহাট ও কুড়িগ্রামে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের চিন রাজ্যের রাজধানী হাখা শহরের ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ও আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম জানায়, গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। ভারতের মিজোরামের সাইহা থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটারের মতো।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের প্লেট বাউন্ডারি লাইনে একটি মাইক্রোপ্লেটের কাছাকাছি বার্মা ‘সেগিং ফল্টে’ এ ভূমিকম্প হয়েছে। ওই অঞ্চল বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। কিছুদিন আগেও এ জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছিল। এ ফল্ট লাইনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভোরে বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে ঢাকার উঁচু ভবনগুলো দুলে উঠলে অনেকেই ঘুম ভেঙে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। কেউ কেউ ঘরের জিনিসপত্র কাঁপতে থাকার ভিডিও শেয়ার করেছেন।