মুগদায় গ্যাস লিকেজে আগুন
স্ত্রী-সন্তানের পর মারা গেলেন স্বামী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর মুগদায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধের ঘটনায় স্ত্রী-সন্তানের পর মারা গেলেন স্বামী সুধাংশু বৌদ্ধ (৩৬)। গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় তার। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুগদার আগুনের ঘটনায় সুধাংশুর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তার শাশুড়ি শেফালী রানী বাড়ৈ চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মারা যায় তার স্ত্রী প্রিয়াংকা (৩২) ও রাত ১০টার দিকে মারা যায় তারই ছেলে অরূপ বৌদ্ধ (৫)। শিশু অরূপের ৬৭ শতাংশ ও প্রিয়াংকার ৭২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদার মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর ৫তলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ জানান, তার বোন পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। বোন জামাইয়ের পেটব্যথার চিকিৎসার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর মুগদায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধের ঘটনায় স্ত্রী-সন্তানের পর মারা গেলেন স্বামী সুধাংশু বৌদ্ধ (৩৬)। গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় তার। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুগদার আগুনের ঘটনায় সুধাংশুর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তার শাশুড়ি শেফালী রানী বাড়ৈ চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মারা যায় তার স্ত্রী প্রিয়াংকা (৩২) ও রাত ১০টার দিকে মারা যায় তারই ছেলে অরূপ বৌদ্ধ (৫)। শিশু অরূপের ৬৭ শতাংশ ও প্রিয়াংকার ৭২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদার মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর ৫তলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ জানান, তার বোন পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। বোন জামাইয়ের পেটব্যথার চিকিৎসার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।