নির্বাচনী সহিংসতায় ১ মাসে নিহত ৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভাকেন্দ্রিক নির্বাচনী সহিংসতায় গত নভেম্বর মাসে ৪৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ)।
নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৭৮ জন। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছে ৫০০-এর বেশি মানুষ। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায়। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নরসিংদী জেলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারীতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এ সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার। তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। নভেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘কথিত ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়জন নিহত হয়েছে বলেও এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভাকেন্দ্রিক নির্বাচনী সহিংসতায় গত নভেম্বর মাসে ৪৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ)।
নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৭৮ জন। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছে ৫০০-এর বেশি মানুষ। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায়। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নরসিংদী জেলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারীতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এ সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার। তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। নভেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘কথিত ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়জন নিহত হয়েছে বলেও এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়।