ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস
৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলে ফের সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদীপক্ষের (রিট আবেদনের বিবাদী) আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। অধ্যক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শুনানিতে বলেছি, গত জুলাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ওনাকে (অধ্যক্ষ কামরুন নাহার) পদে রেখে যদি তদন্ত করা হয়, তাহলে প্রতিবেদন আসবে না। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী রিট মেইনটেনেবল নয় মন্তব্য করে বলেন, সরকার তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে। আদালত তখন বলেন, ওনাকে (কামরুন নাহার) ছাড়া কি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে না? পরে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শেষ সময় দিয়ে শুনানি মুলতবি করেন আদালত।’
গত ২৬ জুলাই দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘আমি কিন্তু বালিশের নিচে পিস্তল রেখে ঘুমাতাম’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপে অধ্যক্ষের আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। কামরুন নাহার মুকুলের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কামরুন্নাহার মুকুলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিট আবেদন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। গত ৯ আগস্ট প্রাথমিক শুনানির পর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে এক মৌখিক আদেশে তা জানতে চায় হাইকোর্ট। পরদিন ১০ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে এই বলে অবহিত করেন যে, এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর প্রতিবেদন দিতে তিনটি তারিখ ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলে ফের সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদীপক্ষের (রিট আবেদনের বিবাদী) আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। অধ্যক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শুনানিতে বলেছি, গত জুলাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ওনাকে (অধ্যক্ষ কামরুন নাহার) পদে রেখে যদি তদন্ত করা হয়, তাহলে প্রতিবেদন আসবে না। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী রিট মেইনটেনেবল নয় মন্তব্য করে বলেন, সরকার তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে। আদালত তখন বলেন, ওনাকে (কামরুন নাহার) ছাড়া কি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে না? পরে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শেষ সময় দিয়ে শুনানি মুলতবি করেন আদালত।’
গত ২৬ জুলাই দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘আমি কিন্তু বালিশের নিচে পিস্তল রেখে ঘুমাতাম’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপে অধ্যক্ষের আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। কামরুন নাহার মুকুলের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কামরুন্নাহার মুকুলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিট আবেদন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। গত ৯ আগস্ট প্রাথমিক শুনানির পর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে এক মৌখিক আদেশে তা জানতে চায় হাইকোর্ট। পরদিন ১০ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে এই বলে অবহিত করেন যে, এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর প্রতিবেদন দিতে তিনটি তারিখ ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।