বাড়ির ওপর দিয়ে স্যুয়ারেজ লাইন
সাভার প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
সাভারে অন্যের জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক কারখানার স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টো হত্যাচেষ্টা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন আশুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার হাজি মোতালেব নামের ওই প্রভাবশালী। হাজি মোতালেবের অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের তিনজনকে।
সরেজমিন গৌরীপুর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, হাজি মোতালেব কয়েক দিন ধরেই জোরপূর্বক তার ভাড়া দেওয়া কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইনের পানি অন্যের জমির ওপর দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত মঙ্গলবার সকালেও প্রতিবেশী কাশেম আলী, আকবর হোসেন ও মজিবুরের জমির ওপর দিয়ে পাইপ ফেলে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ সময় জমির মালিকরা বাধা দিলে উল্টো পুলিশ এসে তাদের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গত বুধবার ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, স্যুয়ারেজ লাইন নেওয়ার সময় বাধা দিলে উল্টো জমির মালিকের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক কোনো তদন্ত না করেই প্রভাবশালী হাজি মোতালেবের কথা শুনেছে।
এক ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্য একটি জমি নিয়ে মোতালেবের প্রায় ৩০ বছর ধরে মামলা চলছে। সম্প্রতি তারা আমাদের জমির পাশ দিয়ে খাসজমিসহ ৬ শতাংশ রেকর্ড করেছে। আমরা মিলের মাধ্যমে তাদের জমি বুঝিয়ে দিতে চাইলেও তারা জোরপূর্বক আমাদের বসতবাড়ির মাঝখান দিয়ে তাদের ভাড়া দেওয়া কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইন নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। আমরা পুলিশে খবর দিই। কিন্তু পুলিশ এসে তাদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের লোকজনকে ধরে নিয়ে গেছে।’ থানা পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মোতালেবের ছেলে সোহেল এবং মাসুদের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সেলিনা আক্তারদের দেয়াল ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছে। এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে সোহেল বলতে থাকেন, ‘জোর করেই লাইন নির্মাণ করব, পারলে আটকা।’
তবে এ বিষয়ে সোহেল বলেন, ‘আমাদের জমির ওপর দিয়ে আমরা প্রায় ২০টি বাড়ি এবং কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইনের পানি ইউনিয়ন পরিষদের ড্রেনে সংযোগ দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। তখন আমি কারখানা থেকে লোক ডেকে আনি প্রতিহত করার জন্য। তারা আমাকে দা দিয়ে কোপ দিয়েছে, আমি হাত দিয়ে ঠেকানোয় তিনটি আঙুল কেটে গেছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ‘কোনো জমিসংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে আটক করা হয়নি। আমরা মারামারি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
সাভার প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

সাভারে অন্যের জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক কারখানার স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টো হত্যাচেষ্টা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন আশুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার হাজি মোতালেব নামের ওই প্রভাবশালী। হাজি মোতালেবের অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের তিনজনকে।
সরেজমিন গৌরীপুর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, হাজি মোতালেব কয়েক দিন ধরেই জোরপূর্বক তার ভাড়া দেওয়া কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইনের পানি অন্যের জমির ওপর দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত মঙ্গলবার সকালেও প্রতিবেশী কাশেম আলী, আকবর হোসেন ও মজিবুরের জমির ওপর দিয়ে পাইপ ফেলে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ সময় জমির মালিকরা বাধা দিলে উল্টো পুলিশ এসে তাদের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গত বুধবার ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, স্যুয়ারেজ লাইন নেওয়ার সময় বাধা দিলে উল্টো জমির মালিকের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক কোনো তদন্ত না করেই প্রভাবশালী হাজি মোতালেবের কথা শুনেছে।
এক ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্য একটি জমি নিয়ে মোতালেবের প্রায় ৩০ বছর ধরে মামলা চলছে। সম্প্রতি তারা আমাদের জমির পাশ দিয়ে খাসজমিসহ ৬ শতাংশ রেকর্ড করেছে। আমরা মিলের মাধ্যমে তাদের জমি বুঝিয়ে দিতে চাইলেও তারা জোরপূর্বক আমাদের বসতবাড়ির মাঝখান দিয়ে তাদের ভাড়া দেওয়া কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইন নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। আমরা পুলিশে খবর দিই। কিন্তু পুলিশ এসে তাদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের লোকজনকে ধরে নিয়ে গেছে।’ থানা পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মোতালেবের ছেলে সোহেল এবং মাসুদের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সেলিনা আক্তারদের দেয়াল ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছে। এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে সোহেল বলতে থাকেন, ‘জোর করেই লাইন নির্মাণ করব, পারলে আটকা।’
তবে এ বিষয়ে সোহেল বলেন, ‘আমাদের জমির ওপর দিয়ে আমরা প্রায় ২০টি বাড়ি এবং কয়েকটি কারখানার স্যুয়ারেজ লাইনের পানি ইউনিয়ন পরিষদের ড্রেনে সংযোগ দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। তখন আমি কারখানা থেকে লোক ডেকে আনি প্রতিহত করার জন্য। তারা আমাকে দা দিয়ে কোপ দিয়েছে, আমি হাত দিয়ে ঠেকানোয় তিনটি আঙুল কেটে গেছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ‘কোনো জমিসংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে আটক করা হয়নি। আমরা মারামারি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।