চট্টগ্রামে আইসিইউর ৬৭% করোনা রোগীই মারা গেছেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
চট্টগ্রামে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করোনা রোগীদের মাত্র ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ রোগী।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ গবেষণা দল চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউর ২৩৪ করোনা রোগীর ওপর গবেষণা চালায়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল এসব রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত রক্তের বিভিন্ন উপাদানের তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন বিশ্লেষণ।
গতকাল সিভাসুতে গবেষণার ফলাফল বর্ণনা করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৫৬ জন (৬৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ) মারা গেছেন এবং ৭৮ জন (৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। মারা যাওয়া রোগীদের ৭৩ শতাংশের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব।
গবেষণায় দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর রক্তে শ্বেতকণিকার মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার ঘনমিলিমিটার হলেও মৃতদের রক্তে এটি ছিল ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘনমিলিমিটার, যাকে রক্তে শ্বেতকণিকার সংকটপূর্ণ মাত্রা বলা হয়েছে।
সিভাসুর সংবাদ সম্মেলেনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ।
শেয়ার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

চট্টগ্রামে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করোনা রোগীদের মাত্র ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ রোগী।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ গবেষণা দল চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউর ২৩৪ করোনা রোগীর ওপর গবেষণা চালায়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল এসব রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত রক্তের বিভিন্ন উপাদানের তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন বিশ্লেষণ।
গতকাল সিভাসুতে গবেষণার ফলাফল বর্ণনা করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৫৬ জন (৬৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ) মারা গেছেন এবং ৭৮ জন (৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। মারা যাওয়া রোগীদের ৭৩ শতাংশের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব।
গবেষণায় দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর রক্তে শ্বেতকণিকার মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার ঘনমিলিমিটার হলেও মৃতদের রক্তে এটি ছিল ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘনমিলিমিটার, যাকে রক্তে শ্বেতকণিকার সংকটপূর্ণ মাত্রা বলা হয়েছে।
সিভাসুর সংবাদ সম্মেলেনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ।