সেগুনবাগিচায় দুদকের অভিযান
সাত ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ ব্যবহার করে ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুপুরে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হচ্ছেন ইমান আলী, সুদেব সেন, তন্ময় আহমেদ, মোক্তার হোসেন, মো. কাওছার, রহমত আলী ও মাসুদ পারভেজ।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চীনের তাইশান মেডিকেলের এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভুয়া ১২ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, কুমিল্লার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন।
দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আসামিদের মধ্যে মাহমুদুল হক নামে একজন উচ্চ আদালতে আগাম জামিন চাইতে গেলে জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এ ব্যাপারে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। ১২ জন এমবিবিএস ডিগ্রিধারীর সনদ ভুয়া। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ ব্যবহার করে ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুপুরে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হচ্ছেন ইমান আলী, সুদেব সেন, তন্ময় আহমেদ, মোক্তার হোসেন, মো. কাওছার, রহমত আলী ও মাসুদ পারভেজ।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চীনের তাইশান মেডিকেলের এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভুয়া ১২ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, কুমিল্লার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন।
দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আসামিদের মধ্যে মাহমুদুল হক নামে একজন উচ্চ আদালতে আগাম জামিন চাইতে গেলে জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এ ব্যাপারে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। ১২ জন এমবিবিএস ডিগ্রিধারীর সনদ ভুয়া। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি।