তারুণ্যের কৃষ্ণচূড়া গোয়ালন্দে
সরোয়ার আহমেদ, রাজবাড়ী | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ শহর এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন, বিশেষ করে গোয়ালন্দ রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইনের পাশ দিয়ে শতাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘একজ জাগরণে’-এর রোপণ করা গাছগুলো এখনো মফস্বল শহরটির অন্যতম আকর্ষণ।
প্রায় ১১ বছর আগে রেললাইনের রাস্তার দুই পাশসহ গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজার এলাকায় অন্তত ১ হাজারের বেশি কৃষ্ণচূড়াগাছের চারা রোপণ করে ‘একজ জাগরণে’।
সগঠনটির সদস্যরা চারা রোপণ, পরিচর্যা ও এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা নেননি। তারা নিজেদের চাঁদার টাকায় ও পরিশ্রমে যতœ নিয়েছেন গাছগুলোর। কয়েক বছর আগে একবার গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। সে সময় তরুণরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে এর প্রতিবাদ জানান। আসেন রেল কর্মকর্তারা। রক্ষা পায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়াগাছ। এখন সেই সব চারা বড় গাছে রূপান্তর হয়ে সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে এলাকার।
গোয়ালন্দ রেলস্টেশন ও তার পাশের সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষ্ণচূড়াগাছে ব্যাপকভাবে ফুল ফুটেছে এ বছর। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, অনেকেই ঝরে পড়া ফুল কুড়িয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেন, ১০-১১ বছর আগে কয়েকজন তরুণের গাছ লাগানো দেখে তারা তেমন গুরুত্ব দেননি। ভেবেছেন, রেলের পাশে বলে গাছগুলো কাটা পড়বে। কিন্তু সেটা হতে দেননি তারা। এখন এই গাছগুলো পথচারীদের যেমন ছাঁয়া দিচ্ছে, তেমনি রক্তিম সৌন্দর্যে শোভিত করেছে পৌর এলাকা।
একজ সদস্য শামীম আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গাছগুলো যখন আমরা রেললাইনের পাশ দিয়ে রোপণ করি, তখন আমাদের উন্মাদ, পাগলসহ আরও অনেক কিছু শুনতে হয়েছে। তবে আমরা কান দিইনি। এখন অনেকেই আমাদের বাহবা দিচ্ছেন।’ একজ জাগরণের আহ্বায়ক সুজন সরওয়ার বলেন, এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিবছর গাছ রোপণ করে থাকি, এ পর্যন্ত আমরা কয়েক হাজার গাছ রোপণ করেছি।’
তিনি জানান, সংগঠনটি পাখি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে। নিজেদের রোপিত গাছে মাটির হাড়ি বেঁধে দেন তারা, যেন সেখানে পাখি বাসা বাঁধতে পারে।
শেয়ার করুন
সরোয়ার আহমেদ, রাজবাড়ী | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ শহর এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন, বিশেষ করে গোয়ালন্দ রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইনের পাশ দিয়ে শতাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘একজ জাগরণে’-এর রোপণ করা গাছগুলো এখনো মফস্বল শহরটির অন্যতম আকর্ষণ।
প্রায় ১১ বছর আগে রেললাইনের রাস্তার দুই পাশসহ গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজার এলাকায় অন্তত ১ হাজারের বেশি কৃষ্ণচূড়াগাছের চারা রোপণ করে ‘একজ জাগরণে’।
সগঠনটির সদস্যরা চারা রোপণ, পরিচর্যা ও এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা নেননি। তারা নিজেদের চাঁদার টাকায় ও পরিশ্রমে যতœ নিয়েছেন গাছগুলোর। কয়েক বছর আগে একবার গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। সে সময় তরুণরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে এর প্রতিবাদ জানান। আসেন রেল কর্মকর্তারা। রক্ষা পায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়াগাছ। এখন সেই সব চারা বড় গাছে রূপান্তর হয়ে সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে এলাকার।
গোয়ালন্দ রেলস্টেশন ও তার পাশের সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষ্ণচূড়াগাছে ব্যাপকভাবে ফুল ফুটেছে এ বছর। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, অনেকেই ঝরে পড়া ফুল কুড়িয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেন, ১০-১১ বছর আগে কয়েকজন তরুণের গাছ লাগানো দেখে তারা তেমন গুরুত্ব দেননি। ভেবেছেন, রেলের পাশে বলে গাছগুলো কাটা পড়বে। কিন্তু সেটা হতে দেননি তারা। এখন এই গাছগুলো পথচারীদের যেমন ছাঁয়া দিচ্ছে, তেমনি রক্তিম সৌন্দর্যে শোভিত করেছে পৌর এলাকা।
একজ সদস্য শামীম আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গাছগুলো যখন আমরা রেললাইনের পাশ দিয়ে রোপণ করি, তখন আমাদের উন্মাদ, পাগলসহ আরও অনেক কিছু শুনতে হয়েছে। তবে আমরা কান দিইনি। এখন অনেকেই আমাদের বাহবা দিচ্ছেন।’ একজ জাগরণের আহ্বায়ক সুজন সরওয়ার বলেন, এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিবছর গাছ রোপণ করে থাকি, এ পর্যন্ত আমরা কয়েক হাজার গাছ রোপণ করেছি।’
তিনি জানান, সংগঠনটি পাখি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে। নিজেদের রোপিত গাছে মাটির হাড়ি বেঁধে দেন তারা, যেন সেখানে পাখি বাসা বাঁধতে পারে।