
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জব্দের পর সিলগালা করে রাখা গুদাম থেকে চুরি হওয়া ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে বগুড়া-সারিয়াকান্দি প্রধান সড়কের সেতুর পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ১১৩০ বস্তা চালসহ সিলগালা করে রাখা গুদাম থেকে তা চুরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি থানার এসআই নজরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি চাল চুরির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ এবং মালিক আছাব্বর ফকিরকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে চুরির ওই ঘটনায় গত ৩০ ডিসেম্বর আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শাহাদৎ হোসেনের নির্মাণাধীন বাড়িতে অভিযানে যান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। বাড়িটি চালের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। অভিযান শেষে ১১৩০ বস্তা চাল জব্দ করে গুদামটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ এবং কৃষি বিপণন লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর ওই গুদামে উপস্থিত হয়ে সিলগালা খোলেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গুদাম পরিদর্শনকালে সেখানে মাত্র ৬ বস্তা চাল দেখতে পান তিনি। তখন গুদামটিতে থাকা ১১২৪ বস্তা চাল গায়েবের বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় পরদিন সিলগালা করে রাখা গুদামের চাল চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান।
গত ১ জানুয়ারি রূপগঞ্জের পূর্বাচলের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে উদ্বোধনের পর দিন যতই গড়াচ্ছে ততই ক্রেতা সমাগম বাড়ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায়। মেলার কয়েকশ স্টল-প্যাভিলিয়নে শোভা পাচ্ছে নানা রকমের পণ্য। যার মধ্যে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আলাদাভাবে নজর কাড়ছে কারাবন্দি কয়েদিদের হাতে তৈরি পণ্য। বাংলাদেশ জেলের প্যাভিলিয়নে থাকা এসব বাহারি পণ্য শোভা বাড়াচ্ছে বাণিজ্যমেলার। গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার চলতি বছরের আসরের ১৯তম দিনে কারাবন্দিদের তৈরি পণ্যের প্যাভিলিয়নে চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেছে।
জানা গেছে, দেশের ৬৮টি কারাগারে বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন প্রায় ৬৯ হাজার বন্দি। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হয়েছে নানা ধরনের পণ্য তৈরির কাজ। আর হাতেখড়ি শেষে তাদের দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সেসব সরঞ্জাম দিয়ে বন্দিরা নিজ হাতে তৈরি করেন নানা রকমের পণ্য। প্রতি বছরের মতো এবারও কারাবন্দিদের পণ্য বিক্রির জন্য ‘কারা পণ্য বাংলাদেশ জেল’ নামে একটি প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে। ‘গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, নারায়ণগঞ্জ কারাগার, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, ফরিদপুর জেলা কারাগার ও খুলনা জেলা কারাগারসহ ৩৮টি কারাগারের বন্দিদের হাতে তৈরি নানা পণ্য এখানে তোলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি মোড়া, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কুলা, কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকা, পাটজাত পণ্য, জামদানি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, নকশিকাঁথা, পাটের তৈরি ব্যাগসহ নানা পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘কারা পণ্য বাংলাদেশ জেল’-এর প্যাভিলিয়ন। কারাপণ্য লেখা দেখে কৌতূহল নিয়ে অনেকেই সেখানে ঢুকে দেখছেন পণ্যের মান। বাঁশ ও বেতের পণ্যতে দৃষ্টি ছিল অনেকের। পুঁতি দিয়ে তৈরি নানা সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। ঘুরে ঘুরে সব পণ্য দেখেন দর্শনার্থীরা। নজরকাড়া সব নকশায় আকৃষ্ট হচ্ছেন তারা। অনেকে কিনছেন পছন্দের জিনিসটি। তবে নকশিকাঁথা ও জামদানি শাড়ির দিকে নজর বেশি দেখা যায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের।
প্যাভিলিয়নটিতে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদেরই একজন ঢাকার উত্তরা থেকে আসা আয়েশা আক্তার ঊর্মি। তিনি বলেন, ‘মেলায় কারাবন্দিদের হাতে তৈরি পণ্যের স্টল ঘুরে দেখলাম, বেশ ভালোই লাগল। প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিসও কিনলাম। এখানকার জামদানি শাড়ি ও নকশিকাঁথাগুলো অনেক সুন্দর। তবে দাম একটু বেশি মনে হলো। একটি জামদানি শাড়ির দাম ৭ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো।’
‘কারা পণ্য বাংলাদেশ জেল’ প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেলার মো. জাকির হাসান রিয়েল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘৩৮টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৬৯ হাজার কারাবন্দিকে। বর্তমানে ১৮ হাজার কারাবন্দি সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তারা নিজ হাতে প্রায় ৩০০ আইটেমের পণ্য তৈরি করছেন। তা দিয়ে বাণিজ্যমেলায় কারাপণ্য প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে।’
মেলায় গত আসরের চেয়ে এবার ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে এ কারা কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার ৫০ শতাংশ বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করি আগামী কয়েক দিনে তা আরও বাড়বে। পণ্য বিক্রির লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ বন্দিদের দেওয়া হয়। তারা এ অর্থ নিজে খরচ বা পরিবারের কাছে পাঠাতে পারেন।’
সার্বিক বিষয়ে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মেলায় আগের দিনগুলোর চেয়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থী বেড়েছে। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় ২ জন এবং আড়াইহাজার, নড়াইল ও বড়াইগ্রামে একজন করে মারা গেছেন। এছাড়া গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অনার্স পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর হাতের পাঁচ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে পৃথক ঘটনাগুলো ঘটে। ঢাকার বাইরে নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন :
কুমিল্লা : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় গাড়িচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে লালমাই উপজেলার বড় ধর্মপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মো. ফরিদ মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেন। তারা জেলার বরুড়া উপজেলার দীঘলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় পাইপ ফিল্টারের মিস্ত্রি।
লাকসাম হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে দুজন কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে বড় ধর্মপুর এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত গাড়ি তাদের চাপা দেয়।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জিহাদ হোসেন (১৭) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল তিনটার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরিন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিহাদ কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার শিমলকান্দি এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী একটি পিকআপের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নড়াইল : নড়াইলের কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের কালিনগর মোড়ে ইট বোঝাই ট্রলিচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী সৌদিপ্রবাসী রুবেল মোল্যা (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রুবেল কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আক্কাস মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের অপর আরোহী রুবেলের শ্যালক রাসেল মোল্যা (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) : নাটোরের বড়াইগ্রামে গরু বোঝাই নসিমন উল্টে চালক জাকির হোসেন (৩২) নিহত হয়েছেন এবং ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার আইড়মাড়ি ব্রিজ এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির হোসেন উপজেলার উপলশহর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
গফরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীর হাতের ৫ আঙুল বিচ্ছিন্ন : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অটোরিকশা ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মুন্নী (২০) নামে অনার্স পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের পাঁচ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় গফরগাঁও-বরমী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মুন্নীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুন্নী উপজেলার টাংগাবর ইউনিয়নের বারইহাটি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
চট্টগ্রাম নগরে আপন দুই বোনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা আয়শার মার গলি এলাকার দুই বোনকে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, গত বুধবার রাতে ঘুমানোর আগে ঘরে ছিটিয়ে দেওয়া ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।
মৃত দুই বোন হলেন রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬)। তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। বাবার নাম ইদ্রিস আলী। দুই বোনই তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
তাদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়ে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাদিকুর রহমান জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রহিমা। ময়নাতদন্তের জন্য দুই বোনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বড় বোন নাজমা আখতারের বরাত দিয়ে ইপিজেড থানার ওসি আবদুর রহিম দেশ রূপান্তরকে জানান, বুধবার রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা মারার ওষুধ ঘরে ছিটিয়ে দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দুই বোন ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) পুনর্নির্বাচিত সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি মির্জা মেহেদী তমাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার্স-১ এ গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল। এসময় ক্র্যাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে সংগঠন ও তার সদস্যদের যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন সায়েম সোবহান আনভীর।
তিনি বলেন, আমি আশা করি অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্র্যাব সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ভূমিকা রাখবে। ক্র্যাব সদস্যরা সৎ ও সাহসী অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য তথ্য প্রকাশ করবেন। আমার অনুরোধ, এমন কোনো সংবাদ প্রতিবেদন করবেন না যাতে দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। এটা আপনাদের দায়িত্ব। আমি অতীতেও ক্র্যাব ও তার সদস্যদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবিজি টেকনোলজিসের উপদেষ্টা মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, হেড অব ফিন্যান্স (বসুন্ধরা গ্রুপ, সেক্টর বি) ট্রেজারার নুরে আলম সিদ্দিকী। বিজ্ঞপ্তি
দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় এশিয়ান টিভি ১০ বছরের পথচলা শেষে পা রাখল ১১তম বর্ষে। গত বুধবার এ উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকার নিকেতন এলাকায় এশিয়ান টিভির কার্যালয়। সেখানে ঢল নামে দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের। তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয় এশিয়ান টিভি।
এশিয়ান টিভির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বুধবার সকাল ৮টার পর থেকেই রাজনীতিক, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রতিনিধি, শিল্পী-কলাকুশলী ও সাংস্কৃতিক জগতের খ্যাতিমান ব্যক্তিরা এশিয়ান টিভি ভবনে এসে অভিনন্দন জানান। এশিয়ান টিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন তারা।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলহাজ হারুন উর রশীদ সিআইপি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। পরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে নিয়ে আলাদাভাবে কেক কাটেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি সাজ্জাদ এইচ রশীদ পারভেজ, পরিচালক মাহির আলী খাঁন রাতুল।
এর আগে রাতের প্রথম প্রহরে কেক কেটে দিনব্যাপী উৎসবের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সে সময়ও এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান আলহাজ হারুন উর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, সংসদ সদস্য শেখ নজরুল ইসলাম বাবু, নূর নবী শাওনসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।