
সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য স্থাপিত ক্যামেরাগুলোর মধ্যে আটটি ক্যামেরা নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। বন বিভাগ জানিয়েছে, ক্যামেরাগুলো সুন্দরবনের নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে এগুলো স্থাপন করা হয়েছিল।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের অফিসার-এসও নুরুল আলম, জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ, যা এখনো চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত আটটি ক্যামেরা নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। তিনি বলেন, সুন্দরবনে মাছ ধরতে আসা জেলে এ কাজ করে থাকতে পারে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক-এসিএফ এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য স্থাপিত আটটি ক্যামেরার কিছু কয়েকটি ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো চুরি হয়েছে না অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মৃত বাঘ ও বাঘের চামড়া উদ্ধারের ঘটনার পর সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কয়েকটি এলাকায় জেলেদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের মধ্যে কোবাদক ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন দিয়ে যথারীতি জেলেদের সুন্দরবনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সড়কপথে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড়ের বাইপাস গোলচত্বর। সেখানে ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে মহাসড়কের বিভাজক। যে মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের নান্দনিক ফুলের বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কয়েক বছর আগে গোলচত্বরের মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন করে সড়ক বিভাগ। কিন্তু এলাকাবাসীর অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে গোলচত্বরটি ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকত। এর পাশাপাশি অনুমতির তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানারে ঢেকে থাকত পুরো এলাকাটি। ফলে যাত্রীদের চলাচলে অসুবিধার পাশাপাশি চালকরা বিপরীত দিকের যানবাহন দেখতে না পাওয়ায় প্রায়ই ঘটত সড়ক দুর্ঘটনা। দফায় দফায় চেষ্টা ও এলাকাবাসীদের অনুরোধ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিলেন না সওজের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে পাবনা সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমীরণ রায়ের পরিকল্পনায় সেখানে দেশি-বিদেশি নানা ফুলের সমারোহে ফুলের বাগান গড়ে তোলেন সড়ক বিভাগের কর্মীরা। বাগানের নান্দনিক সৌন্দর্যে পথচারী ও দূর-দূরান্তের যাত্রীরা যেমন মুগ্ধ হচ্ছেন, তেমনি কমেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।
সম্প্রতি পাবনা-রাজশাহী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দাশুড়িয়া বাইপাস গোলচত্বরের কাছাকাছি যেতেই নাকে ভেসে আসে নানা রঙের ফুলের মিষ্টি সুগন্ধ। গাঁদা, গোলাপ, পিটুনিয়া, লিলিসহ নানান ফুলের বর্ণিল সমারোহে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য দেখে মনে হয়, যেন শিল্পীর নিপুণ তুলিতে আঁকা বর্ণিল ক্যানভাস।
এলাকাবাসী জানায়, মোড় এলাকার বিরাট অংশজুড়ে ছিল ময়লার স্তূপ। এতে মূল সড়কই সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল। ফুটপাতে ছিল গ্যারেজ। লোকজন হাঁটার জায়গা পেত না। বাতাসে মিশে থাকত দুর্গন্ধ। ছিল জলাবদ্ধতাও। এসব কারণে নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকত। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ ছিল না পথচারী ও সাধারণ মানুষের। কিন্তু সওজের ‘জাদুকরী’ উদ্যোগ বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট।
এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরদীর মিরকামারী গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এক সময় এই জায়গায় ছিল জলাবদ্ধতা, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট, ময়লা-আবর্জনায় চারপাশ ছিল ভরপুর। কিন্তু আজ সেখানে ফুটেছে নজরকাড়া সৌন্দর্য। গোলচত্বরকে আধুনিকায়ন করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের চারপাশে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। দুর্ভোগের স্থানে এখন অন্যরকম ভালোলাগা।’
দাশুড়িয়া ডিগ্রিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, ‘আগে এই সড়ক দিয়ে যেতে খারাপ লাগত। কেমন যেন রুক্ষ পরিবেশ ছিল। কিন্তু এখন খুব ভালো লাগে। ফুলের সৌন্দর্য মনটা কেড়ে নেয়। বিকেলে এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসেন অনেকেই।’
কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘টেলিভিশন কিংবা ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখেছি বিদেশে সড়কের পাশে নানা রঙের ফুলে সাজানো থাকে। এখন তেমন দৃশ্য আমাদের নিজেদের এলাকায় দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। খুব কাছেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। সেখানে হাজার হাজার বিদেশি কাজ করে। তারাও এখন এই বাগানের প্রশংসা করছে, ছবি তুলছে। এটি আমাদের সম্মানও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি নির্দেশনা ছিল জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সুসজ্জিত করা। তখন থেকেই আমরা এ কাজ শুরু করি। গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সাড়া পাওয়ায় এ বছর পরিসর আরও বাড়ানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে যাত্রী ও চালকদের মনে শান্তি আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বিলবোর্ড সরিয়ে দেওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনাও অনেক কমে এসেছে। ভবিষ্যতেও জেলার অন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এভাবে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
তুরস্কে ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে আরও ১০ হাজার তাঁবু পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে দুই হাজার তাঁবু এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীসহ উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। তুরস্ক চাইলে প্রয়োজনে নির্মাণশ্রমিকও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুকে টেলিফোনে ড. মোমেন বলেন, আপনাদের প্রয়োজন হলে আমরা নির্মাণশ্রমিক পাঠাতে পারি। আপনাদের যা প্রয়োজন আমাদের জানান, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আছে। সুতরাং আমাদের যদি কিছুর প্রয়োজন হয় তবে আমরা বিনা দ্বিধায় আপনাদের জানাব।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকারের আন্তরিক শোক-সংহতি বার্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ভূমিকম্পে আহত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তাদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।
ড. মোমেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ভূমিকম্পে মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই। মেভলুত কাভুসোগলু ফোন করার জন্য মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
কারিগরি শিক্ষা বিভাগে শিক্ষক সংকট নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে গত ৪ বছরে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। তার আগের ১০ বছরে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব সময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। কাজেই কিছু কিছু পদ সব সময় শূন্য হয়। আবার সেই শূন্য পদগুলোর চাহিদা দিয়ে আমরা পূরণ করি এবং এ নিয়োগ যে সহজ প্রক্রিয়া তা নয়, পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হতে হয়। কাজেই সে প্রক্রিয়াটা চলমান আছে। তবুও কোথায়ও পদ শূন্য থাকলে সেগুলো পূরণ হয়ে হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে পাঁচ দিন হবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। এটা একবারে নতুন শিক্ষাক্রমে অনুমোদিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার বিচারকাজ ২০ বছর পর শুরু হয়েছে। মামলার বাদী, নিহতের বড় ভাই সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ বিচারকাজ শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাম্মী আখতারের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান, নাজির হোসেন ও মোক্তার হোসেনকে আদালতে তোলা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নিহতের বড় মেয়ে খন্দকার ফাতেমা-তুজ জোহরা শবনম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) ২০ বছর পর আমার বাবার হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। সাক্ষ্যটা সম্পূর্ণ হয়নি। আগামী ৯ মার্চ ফের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। আমি বিশ্বাস করি আমার বাবার হত্যার বিচার অবশ্যই হবে।’
আদালতে সাক্ষ্যের বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি জাকির খানসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আমার ভাই সাব্বির হত্যার বিষয়ে অভিযুক্ত করে সাক্ষী দিয়েছি। কীভাবে, কেন জাকির খান ও সহযোগীরা এ হত্যায় জড়িত তা বিস্তরভাবে বলার চেষ্টা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির হত্যাকাণ্ডের ২০তম বার্ষিকী। প্রতি বছরের মতো এবারও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, ‘সাব্বির আলম হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে আজকে (গতকাল) প্রথম সাক্ষী আসছেন। এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রহিম জানান, মামলাটির আরও ২৭-২৮ জন সাক্ষী রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন সাব্বির। এ ঘটনায় তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের তৎকালীন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। এতে প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় বাদী তৈমূর আলম খন্দকার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি আবেদন দেন। পরে ২০১১ সালের অক্টোবরে তৈমূর আলম খন্দকার না-রাজি আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন। সিআইডি যে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করেই মামলার বিচার পরিচালিত হচ্ছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। দেশের সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য ইউনিটের প্রধানরা এ ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, একুশের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিবিড় মনিটরিং করার পাশাপাশি যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেশের বড় বড় শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দেন আইজিপি। পুলিশ সদর দপ্তর প্রান্তে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মো. মাজহারুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।