
শিশু-কিশোরদের পদচারণে মুখর ছিল অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিনের সকালটা। প্রতি বছরের মতো এবারও শিশুপ্রহরে ছিল নানা আয়োজন। হালুম, টুকটুকি আর ইকরিকে নিয়ে বেশ খুশি খুদে পাঠকরা। অন্যদিকে বিকেলে ভিড় ছিল বড়দের। বাবা-মায়ের হাত ধরে রাজকুমার আর রাজকন্যারা এসেছে বইয়ের রাজ্য ঘুরে দেখতে। তাই সোহরাওয়ার্দীর শিশুকর্নার প্রাঙ্গণও যেন সেজেছিল মনোরম কল্পনার রাজ্যে।
শিশুকর্নারের স্টলগুলো ছিল রাজা-রানী, রাজকুমার-রাজকন্যা, রাক্ষস, ভূত-পেত্নি নিয়ে লেখা, নানা আকর্ষণীয় বইয়ে ঠাসা। শিশুদের মন কাড়তে ছিল পরিচিত সব কার্টুন চরিত্রের রংবেরঙের উপস্থাপনা। শুধু বইয়ের পাতাই নয়, তাদের দেখা মিলেছে বাস্তবেও। দেশের জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ সিসিমপুরের সঙ্গে নাচ, গান আর আনন্দে মেতেছে শিশুরা।
কিশোর-কিশোরীরা ব্যস্ত ছিল মহাজগৎ আর পৃথিবীর নানা সমস্যা জয়ে বিজ্ঞানের ব্যবহার নিয়ে লেখা দারুণ সব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে। অভিভাবকরা জানান, অমর একুশের চেতনা আর বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন গ্রন্থমেলায়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ মাসের প্রতি শুক্র ও শনিবার এমন নানা আয়োজন থাকবে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহরে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় খুলে যায় মেলার দ্বার। বসন্ত সকালের ঝলমলে রোদে বইয়ের সন্ধানে আসা সোনামণিদের পদচারণে রূপময় হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুকর্নারটি। এখানে বই কেনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বটগাছতলার সিসিমপুর মঞ্চের আনন্দময়তা। হালুম, টুকটুকি ও ইকরির সঙ্গে দুষ্টুমি করে কেটেছে শিশুদের মজার সময়।
চার বছরের মেয়ে নিয়ে মেলায় এসেছেন রিমন রহমান। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে বইমেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। সিসিমপুরের কার্টুন দেখে মেয়ে খুব মজা পেয়েছে। এখন মেলায় ঘুরে কয়েকটি বই কিনে দেব।’
নতুন বই : গতকাল ছিল বইমেলার ১৮তম দিন। মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। নতুন বই এসেছে ১৭০টি। ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর।
শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা : সকাল ১০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ক-শাখায় প্রথম হয়েছে নীলান্তী নীলাম্বরী তিতির, দ্বিতীয় হয়েছে অন্বেষা মজুমদার এবং তৃতীয় হয়েছে সার্থক সাহা। খ-শাখায় প্রথম হয়েছে রোদোসী নূর সিদ্দিকী, দ্বিতীয় হয়েছে তানজিম বিন তাজ প্রত্যয় ও তৃতীয় হয়েছে মৈত্রেয়ী ঘোষ। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শিল্পী মাহমুদ সেলিম, সুজিত মোস্তফা ও চন্দনা মজুমদার।
আলোচনা অনুষ্ঠান : বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে হয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোলাম মুস্তাফা। আলোচনায় অংশ নেন মোহিত কামাল ও রাজীব কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুব্রত বড়ুয়া।’
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন ওবায়েদ আকাশ, রনজু রাইম, ফারুক সুমন এবং হক ফারুক আহমেদ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন জামিরুল ইসলাম শরীফ, নীপা চৌধুরী, তাহমিনা কোরাইশী, রাসেল মাহমুদ এবং হোসাইন কবীর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অ ল চৌধুরী, মছরুর হোসেন, আজিজুল বাসার, তনুশ্রী মল্লিক। আজকের সূচি : আজ রবিবার বইমেলার ১৯তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে হবে গোবিন্দচন্দ্র দেব এবং ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন গাজী আজিজুর রহমান এবং আমিনুর রহমান সুলতান। আলোচনায় অংশ নেবেন খান মাহবুব, হাসান অরিন্দম, শিহাব শাহরিয়ার, পাপড়ি রহমান, রাজীব কুমার সরকার। সভাপতিত্ব করবেন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এবং অন্যান্য কোম্পানির শিক্ষাসফরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রুট পারমিটের আবেদন যথাযথভাবে করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দাখিল করা আবেদন যথাযথ মাধ্যমে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা হয় না। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে যথাযথভাবে আবেদন করতে বলা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, আবেদনপত্র অবশ্যই পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ৩৬ শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি, ঢাকা-১০০০ বরাবর পাঠাতে হবে। আবেদনে উল্লিখিত গাড়িগুলোর নিবন্ধন সনদ ও ফিটনেস সনদের ফটোকপি অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। অস্থায়ী রুট পারমিটের আবেদনপত্র ভ্রমণের তিন দিন আগে বর্ণিত ঠিকানায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট প্যাডে করতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও আবেদনকারী/প্রতিনিধির মোবাইল ফোন নম্বর আবেদনপত্রে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। অনুমোদনপত্র ভ্রমণের সময় গাড়িচালকের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।
টেকনাফ থেকে ইয়াবা কেনেন স্বামী, এরপর সেই ইয়ারা সংরক্ষণ করেন স্ত্রী। পরে গাড়িচালক সেজে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে ভাতিজা। গতকাল শনিবার স্বামী-স্ত্রী-ভাতিজাকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে ১৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাহমুদুল হাসান (৪১), তার ভাতিজা মো. সোহাগ মিয়া (৩৭) ও স্ত্রী মীম আক্তার (২২)।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিরপুর মডেল থানার শেওড়াপাড়া আলী ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদুল তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি। তিনি মূলত ইয়াবা ব্যবসা করেন। টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী জেলায় সরবরাহ করেন তিনি। আর তার এই কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী মীম এবং ভাতিজা সোহাগ। স্ত্রী ইয়াবা সামলে রাখেন। আর ভাতিজা সোহাগ উবারে গাড়ি চালানোর ছদ্মবেশে তা বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন।
ওসি আরও বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেওড়াপাড়ায় আলী ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বিশেষ কায়দায় রাখা ১২ হাজার পিস, সোহাগের কাছ থেকে ৬০০ পিস এবং মীমের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩৯ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার মাহমুদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কেবল তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৭২ জন। সিরিয়ায় সরকার ও জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮০০ জন। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পরপরই যেসব আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দল তুরস্কে গিয়েছিল তাদের বেশির ভাগই নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছে। এখন স্থানীয় উদ্ধারকারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের ১৩তম দিনেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে জীবিত মানুষ। ভূমিকম্পের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত এবং তীব্র ঠান্ডার সত্ত্বেও এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধার হচ্ছে। যেগুলোকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন খোদ উদ্ধারকারীরা। দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রমের পর জীবিত কাউকে উদ্ধার করলে নিজেরাই খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠছেন তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কের আনতাকিয়া শহরের ধসে পড়া কানাতালি অ্যাপার্টমেন্টের নিচ থেকে গতকাল শনিবার এক শিশুসহ ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে স্ট্রেচারে তুলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের পাশে থাকা শিশুকে সেবা দিচ্ছেন এক চিকিৎসক। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১০ সালে হাইতিকে লন্ডভন্ড করে দেওয়া ভূমিকম্পের ১৫দিন পর জীবিত উদ্ধার হয়েছিল এক কিশোরী। আর তুরস্কেও প্রায় প্রতিদিনই অলৌকিকভাবে জীবিতদের উদ্ধারের ঘটনায় তাই আশা ছাড়তে নারাজ তুর্কিরা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্ক থেকে উত্তর সিরিয়ায় ১৭৮ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণ সহায়তা সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘানার ফুটবলারের মরদেহ উদ্ধার
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঘানার ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু। অবশেষে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ধ্বংসস্তূপ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হলো। ৩১ বছর বয়সী আতসু তুরস্কের হাতাই প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকতেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সেই ভবন ধসের পর থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না। গতকাল শনিবার এই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আতসুর নিথর দেহ উদ্ধারের কথা জানান তার এজেন্ট। আতসু ২০২২ সালে তুরস্কের ক্লাব হাতাইস্পোর হয়ে খেলতে দেশটিতে আসেন। ঘানার জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা আতসু ইংলিশ ক্লাব এভারটন, চেলসি এবং নিউক্যাসলের হয়েও খেলেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত গত শুক্রবার নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে বসবাসরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সুযোগ-সুবিধা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বাংলাদেশ সরকারের অনুকরণীয় মানবিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং গতকাল বিকেলে প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় ফিরে আসে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে চার দূত ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সশরীরে রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর দ্বীপ পরিদর্শন করে।
প্রতিনিধিদলে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি ড. জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিমোন পার্চমেন্ট ছিলেন।
এ ছাড়াও সফরকারী দলের সদস্য ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং পিএমওর মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী।
দ্বীপের অগ্রগতি এবং সেখানে বসবাসকারী প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সহায়তার বিষয়ে আলোচনার জন্য ভাসানচর সফরের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস টুইট করে জানান, মানবিক অর্থায়নের চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রদায়ের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করা একটি বিশেষ অগ্রাধিকার।
মাদারীপুরের শিবচরে পিকআপ ভ্যানে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় চীনের এক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আরও তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে শিবচরে আড়িয়াল খাঁ সেতুর পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার পথে চীনের নাগরিক শাউমির মৃত্যু হয়। তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাউমিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের দোভাষী রিয়াজুল ইসলাম রনি দেশ রূপান্তরকে জানান, এই প্রকল্পে তিন-চার মাস ধরে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত শাউমি ফরিদপুরের ভাঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন। সকালে তিন বাংলাদেশিসহ তিনি পিকআপ ভ্যান নিয়ে প্রজেক্টের কাজে বের হন। এ সময় আড়িয়াল খাঁ ব্রিজের পাশে একটি ড্রাম ট্রাক তাদের গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। এতে চারজনই গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে শাউমিকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।