
মেষ : ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল
জাতক যেকোনো কাজ যাতে আর্থিক লেনদেন আছে তাতে সাফল্য লাভ করবেন। তবে চালাকি করবেন না।
বৃষ : ২১ এপ্রিল-২০ মে
এ সপ্তাহটা কাউন্ট ড্র্যাকুলা বা ক্রীস্টোফারের চ্যালদিন সংখ্যাতত্ত্বের প্রণালি অনুসারে আপনি চলার পথে একা হয়ে পড়বেন। মনোবল হারাবেন না।
মিথুন : ২১ মে-২০ জুন
আপনার এ সপ্তাহে অর্থ ভাগ্য ভালো। আপনার মঙ্গল লগ্ন আপনাকে কোনো শৈল্পিক জীবিকায় প্রলুব্ধ করবে। যেমন, অনলাইনে বস্ত্র ব্যবসা ইত্যাদি।
কর্কট : ২১ জুন-২০ জুলাই
নিষ্ক্রিয় মঙ্গলের ঘরে বুধের অবস্থানের ফলে আপনার কোনো নিকটজন আদিরসে প্রলুব্ধ করে অর্থ আত্মসাৎ করবে। প্রতারক হতে সাবধান।
সিংহ : ২১ জুলাই-২০ আগস্ট
বৈশ্য মুনির মতে বৃহস্পতির সপ্তম পূর্ণ দৃষ্টির ফলে জাতক রক্ষণশীল গোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙুল প্রদর্শন করে আধুনিক পদ্ধতিতে জীবনযাপনে লাভবান হবেন।
কন্যা : ২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর
রাহু এবং কেতুর গতি দক্ষিণাবর্তে হওয়ায় কন্যার এ সপ্তাহে জাগতিক কোনো সম্পত্তি লাভের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বড়দের সমীহ করাই উত্তম।
তুলা : ২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর
আপনি রাহুর ত্রিপাদদৃষ্টি গোচর হয়েছেন, শারীরিক কোন সমস্যায় ভুগতে পারেন। এবার স্নেহ জাতীয় খাদ্য পরিহারের চেষ্টা করুন। লাভ হবে।
বৃশ্চিক : ২৩ অক্টোবর-২০ নভেম্বর
দশমে রবির অবস্থান ফলে অপ্রত্যাশিত অর্থলাভের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কাছের আত্মীয়ের বা বন্ধু-বান্ধবের প্ররোচণায় অর্থ বিফলে যেতে পারে।
ধনু : ২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর
জন্মকুণ্ডলী বিচারে চন্দ্র ও মঙ্গলের শুভ দৃষ্টির কারণে রাষ্ট্রীয় সম্মান বা রাজকীয় অনুগ্রহ দ্বারা লাভবান হবেন। তবে বিবেককে প্রতারণা নয়।
মকর : ২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি
কারক কু-লীর বিচারে জাতক হঠাৎ এমন কোনো ঝামেলায় জড়াবেন যে, আপনার অর্জিত কোনো বৈষয়িক সম্পদ হাত ছাড়া হতে পারে। সাবধান হোন।
কুম্ভ : ২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি
সপ্তশূন্য চক্রানুযায়ী এ সপ্তাহে জাতকের বেহাত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ পরামর্শ গ্রহণ করুন।
মীন : ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ
এ সপ্তাহে নিচে গ্রহের প্রভাবে মানসিক চাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হয়। জাতক জাতিকা নির্বিশেষে রিপুর তাড়নায় তাড়িত হবেন। কামাবেগ সংবরণ করুন।
উত্তরবঙ্গের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার বাইরে। তাদের মেসে বা বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়। ফলে খাওয়া খরচের পাশাপাশি থাকা খরচও তাদের নিজেদের বহন করতে হয়। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে এই ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, দেশের প্রায় সব জেলা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এসে পড়ালেখা করছে। তবে দেশের উত্তরবঙ্গের নিম্ন আয়ের জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারীসহ অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থী বেশি আর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। যার ফলে জিনিসপত্রের এমন লাগামহীন দামে তাদের সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এইদিকে বাড়িওয়ালা, মেসমালিকও ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি। আগে মেসে প্রতিবেলা খাবার খরচ গড়ে ২৫-৩০ টাকা হলেই পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এ খরচ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০ টাকায়। অনেক মেসেই ভাড়া বাড়িয়েছে গত বছরের চেয়ে ২৫-৫০ শতাংশের বেশি। আর বাড়িভাড়া বাড়িয়েছে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির ফলে মেসের শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ সময়ে মাছ-মাংসের চেয়ে ডাল, ভর্তা কিংবা সবজি দিয়েই খাবার চালাচ্ছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবার থেকে আসা। যাদের বেশির ভাগই টিউশন, খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা বাসা থেকে টাকা নিয়ে এসব খরচ জোগায়। রংপুরে খুব বেশি টিউশন কিংবা খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ না থাকায় মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত হলেও তাদের বাসা থেকেই টাকা নিয়ে খরচ করতে হয়। আবার যাদের টিউশনি আছে তাদের যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস কিংবা অটো ভাড়া করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সরকারি ছুটির দিনগুলো বন্ধ থাকা ছাড়াও সপ্তাহে ৩ দিন বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের অন্য পন্থা অবলম্বন করে চলতে হয়। যার ফলে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন দামে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন যাচ্ছে। আলু-ভর্তা, ভাজি করেই খাবার খেতে হচ্ছে নিয়মিত। মাছ-মাংস খাওয়া যেন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেলা খাবার খেতেই ৫০ টাকার ওপরে খরচ হচ্ছে আবার সকালের নাশতা করতে গেলে (পরোট-ভাজি/ডাল) ৩০ টাকা যাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেই ২০ টাকায় পাওয়া যেত।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোর খাবারের মানও আগের তুলনায় কমেছে বলে জানা গেছে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু হলের খাবারের মূল্য বাড়েনি বলে মান কমাতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ বিজন মোহন চাকী দেশ রূপান্তরকে বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগামীর প্রভাব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এসে পড়েছে। ফলে খাবারের দাম ও মানে একটু ওঠা-নামা হচ্ছে। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলের অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা, সহ্য করতে হচ্ছে মেস মালিক কিংবা বাড়িওয়ালার বাজে আচরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধাসহ বাস সুবিধা সঠিকভাবে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০০ সিট বিশিষ্ট শেখ হাসিনা ছাত্রী হল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলে ৬ বছরেও শেষ হয়নি। যার ফলে ছাত্রীদের থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন মেসে, বাসা ভাড়া করে।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ারকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর সার্কের মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সার্কের বর্তমান মহাসচিব শ্রীলঙ্কার ইসালা রুয়ান ভিরাকন এর দায়িত্ব শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইংরেজি অক্ষর ক্রমানুসারে আফগানিস্তান থেকে মহাসচিব নিয়োগের কথা ছিল। তবে আফগানিস্তানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সার্কের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে মহাসচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকেই মহাসচিব হচ্ছেন।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১০ ব্যাচের কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার ১৯৯০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ৩৩ বছরের কূটনৈতিক জীবনে তিনি ইয়াঙ্গুন, কাঠমান্ডু, ওয়াশিংটন ডিসি ও জেদ্দায় বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি সুইডেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী গোলাম সারওয়ার জার্মানিতে ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়ার ইস্ট-সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কোর্স করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) হুমকি দিয়ে চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীর এমন বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট বলেছে, ‘আমরা দিন দিন যেন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি।’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত নজিবুল বশর মাইজভা-ারীর এমন বক্তব্য গতকাল বৃহস্পতিবার নজরে আনলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নজিবুল বশরের দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দুদকের কঠোর সমালোচনা করে নজিবুল বশর বলেন, ‘দুদক নজিবুল বশরকে এখনো চেনে নাই। যা-তা কমেন্ট করেছেন সহকারী পরিচালক। চামড়া সব ছিঁড়ে ফেলব। মাইজভা-ারীর গায়ে হাত!’
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। নজিবুল বশরের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে হাইকোর্টে আরজি জানান দুদক আইনজীবী। তার উদ্দেশে হাইকোর্ট বলে, ‘যেহেতু আপনাদের মামলা আপনারাই বিষয়টি দেখবেন।’ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আরজির বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি।’
আগামী ৫ মার্চ ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৯ এর লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি আংশিক সংশোধিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন হতে জারিকৃত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের ৮০,০০,০০০০,২০০,৬০.০৬৬.২২-১৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হলো। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের ৮০,০০,০০০০,২০০.৬০.০৬৬.২২-৫৭ নম্বর বিজ্ঞপ্তিটি অনুসরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের [www.bpsc.gov.bd] ওয়েবসাইটে অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে [http:// bpsc.teletalk.com.bd] পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে। বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) বর্জনের মধ্যেই ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত বুথে দুদিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। গণনা শেষে আগামীকাল শনিবার ফলাফল জানা যাবে বলে জানান এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, বারের ১৯ হাজার ৬২৯ জন তালিকাভুক্ত আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ২৪৩ জন ভোট দিয়েছেন। তবে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যসংখ্যা ২৭ হাজার ৯২৪ জন।
এদিকে নীল প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের ফলে আইনজীবীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ অনেকটাই কম দেখা গেছে। প্রথম দিনের তুলনায় গতকাল দ্বিতীয় দিনে ভোটারদের জটলা দেখা যায়নি। বুথের মধ্যে ও বাইরে নীল প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটের প্রচারণা চালিয়ে যান।
গত বুধবার ভোট দিয়েছিলেন ৫ হাজার ২৮ জন। নীল প্যানেল অনিয়ম ও ভোটের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে ওইদিন রাতেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। তাদের অভিযোগ, প্রথম দিন ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়। এ সময় ১৪টি কাউন্টারে হিসাব করে দেখা যায়, ৪ হাজার ২৩টি ভোট পড়েছে। এরপর নির্বাচন কমিশনার আবদুল্লাহ আবু ৫ হাজার ২৮টি ভোট পড়ার কথা জানান।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।