
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং দেশ রূপান্তরের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শামসুল ইসলামের মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টা-১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে থেকে তার মোটরসাইকেলটি চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা (নম্বর : ৪৩, তারিখ: ১৬.৩.২৩) করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। চোরচক্রকে ধরতে মাঠে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেলটি পার্কিং করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনে যান সাংবাদিক শামসুল ইসলাম। রাত ১২টা ১০ মিনিটে ভবনের নিচে নেমে দেখেন তার লাল-কালো রঙের হিরো গ্ল্যামার মডেলের মোটরসাইকেলটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা-মেট্রো-হ-৫৭-৩৬৮৩) নেই।
এদিকে সাংবাদিক শামসুল ইসলামের মোটরসাইকেল চুরির একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ঘুরছে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেস ক্লাব ভবনের নিচে জামালখান সড়কের ফুটপাত ধরে কিছু পথচারীও আসা-যাওয়া করছিলেন। একপর্যায়ে কালো প্যান্ট আর সাদা শার্ট পরা যুবকটি শামসুল ইসলামের মোটরসাইকেলের গা-ঘেঁষে দাঁড়ায়। এরপর দু-এক সেকেন্ডের মধ্যে স্টার্ট দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন আগামী জুনে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু তার আগেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে। ইতিমধ্যে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গাজীপুরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, হাট-বাজার ও ব্যস্ততম স্থানগুলো। তবে মেয়র পদে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতার পক্ষে প্রার্থিতার বার্তা আসেনি।
এ ছাড়া সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীরাও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে পোস্টার ছাপিয়ে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম এবং ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। যদি অংশ নেয় সেক্ষেত্রে সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রয়াত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে এম মনজুরুল করিম রনি ও সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকারের মধ্য থেকে যেকোনো একজন প্রার্থী হতে পারেন।
নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুজন নির্বাচিত মেয়রই সাময়িক বরখাস্ত হয়ে দীর্ঘ সময় থেকেছেন দায়িত্বের বাইরে। এতে নগরীর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে নির্বাচিত মেয়রের সেবা থেকে। এসব ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় আড়াই বছরই থেকেছেন দায়িত্বের বাইরে। তিনি বিরোধী দলে থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘ সময় ছিলেন কারাগারে। আর ২০১৮ সালে সরকারি দলের প্রার্থী হিসেবে মো. জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হলেও প্রায় দেড় বছর ধরে রয়েছেন দায়িত্বের বাইরে। এবারের সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়েই কৌতূহল বেশি দলটির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের। জাহাঙ্গীর আলম সমর্থকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ দলে ফিরিয়ে নেওয়ায় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। জনপ্রিয়তায়ও তিনি এগিয়ে। অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ হিসেবে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের নামও আসছে ঘুরেফিরে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। তিনিও সাধারণ মানুষের মাঝে জনপ্রিয়। পিছিয়ে নেই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। তার পক্ষে নগরজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের পোস্টার সবার নজর কাড়ছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএম নিয়াজ উদ্দিনের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগর।
তবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ছয় প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই তাকিয়ে আছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দিকে। নির্বাচন যেহেতু দলীয় প্রতীকে হবে তাই দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই মেনে নেবেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, সিটি করপোরেশন চালানোর ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। দল ও নেত্রী যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দেবেন তাহলে সে দায়িত্ব নিতে আমি রাজি আছি।
‘দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ হারানোর শাস্তি বা ক্ষতিপূরণ সস্তা হওয়ায় দেশে দুর্ঘটনা বাড়ছে। যাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে, তারা সতর্ক হচ্ছে না। কেননা, তারা মনে করেন অল্প কিছু টাকা দিয়ে সব মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। এখানে কঠোর না হলে এ অবস্থার উত্তরণ ঘটনো সম্ভব হবে না।’
গতকাল শুক্রবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) নগরায়ণ ও উন্নয়নবিষয়ক পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আইপিডির নির্বাহী পরিচালক এবং পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘নগরেরও একটি ব্যাকরণ রয়েছে। সেটা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। অনুসরণ না করায় এই বিশৃঙ্খলার অবস্থা বিরাজ করছে নগরে। অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে শত শত প্রাণ। নগরের ব্যাকরণ হচ্ছে ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন অনুসরণ করা।’
আইপিডির পরিচালক পরিকল্পনাবিদ ড. চৌধুরী জাবের সাদেক বলেন, ‘আমাদের সমাজের সবক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো এখানে পেশাদারিত্ব গড়ে ওঠেনি। এজন্য সবক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোনো দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে এক বা দুই লাখ টাকা দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া যায়। জীবনের মূল্য সস্তা করায় ইচ্ছাকৃত বা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা বাড়ছে।’
আইপিডির পরিচালক এবং পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি কম খরচে কোনো কিছু করা। এখানে বড় সমস্যা খরচ কমালেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সেসব দিকও সঠিকভাবে ভাবতে হবে। আর গরিবরা নিজেদের জীবন নিয়ে হতাশ। তারা নিরাপত্তার সরঞ্জাম বা নিয়মকানুন মানতে চান না। নির্মাণ খাতের অনেক শ্রমিককে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির বিষয়ে বললে তারা বলেন, ‘স্যার এসব আমাদের দরকার নেই। তারা বলেন, গরিব মরবে না স্যার।’
আইপিডির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান নগর-পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের ফায়ার সেফটি ইস্যুগুলো নিশ্চিত করা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য অনুযায়ী ৩০ ফুট সড়ক না থাকলে তারা অগ্নিকাণ্ডের সময় কাজ করতে পারে না। ঢাকায় এ ধরনের সড়কের পরিমাণ পাঁচ ভাগেরও কম। ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে হলে এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে উন্মুক্ত জায়গার পরিমাণ বাড়াতে হবে।’
আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপদ জীবনদান করা। কিন্তু বাংলাদেশে তার বড়ই অনুপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ২০২২ সালের ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৫ শতাংশ, চট্টগ্রামের ৫৪, খুলনার ৪১ ও বরিশালের ৩০ শতাংশ। নগরগুলোকে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।’ অন্যদের মধ্যে আইপিডির ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াসির আরাফাত, তড়িৎ প্রকৌশল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মো. হাসান মাহমুদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিটি মুহূর্তে অনুপ্রেরণার উৎস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকে যেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে তেমনি বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা নিয়ে আগামী দিনে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হব।
গতকাল শুক্রবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, এদেশে সবাই যার যার বিশ্বাস নিয়ে ধর্ম পালন করবে ও প্রচার করবে। কারণ এদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ। ধর্মহীন বাংলাদেশ নয়। এ দেশ মানবিকতার বাংলাদেশ। সেজন্য যখন উন্নত বিশ্ব অস্ত্র হাতে একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, তখন আমরা আমাদের পাশের দেশের যারা বাস্তুচ্যুত, জীবন নিয়ে পালাচ্ছে, সেই রোহিঙ্গা তাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি মানবিকতার বাংলাদেশ। তাই শিক্ষার্থীদের মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, পরমসহিষ্ণুতার চর্চা করতে হবে এবং সৎ জীবন-যাপন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাতসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন স্মার্ট লিডার ছিলেন। তার ২৩ বছরের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো জায়গায় ভুল নেই। ৫০ থেকে ৫২ বছরে তার মতো স্মার্ট লিডার হননি। বঙ্গবন্ধু ছাড়া ১০৩ বছরে বাংলাদেশ সৃষ্টি করার কোনো নেতা পাইনি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ অফিসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম মতিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঋণের সুদের পাওনা টাকার জন্য জাকির হোসেন (২৫) নামে এক মাইক্রোচালককে আটকে মারধর করেছেন একই এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারণ করলে এক সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন তারা। পরে থানায় বিষয়টি অবগত করা হলে পুলিশ গিয়ে মারধরের শিকার জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার মেসার্স ডিএস ফিলিং স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যার একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
মারধরকারী সিরাজুল ইসলাম উপজেলার উত্তর হলদীবাড়ি গ্রামের মৃত আবদার রহমানের ছেলে। এলাকায় তিনি মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে সিরাজুল। অন্যদিকে মারধরের শিকার জাকির হোসেন উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার আবদার হোসেনের ছেলে। আর ভিডিও ধারণ করতে যাওয়া সাংবাদিক মাহমুদ হাসান কালের কণ্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় সিরাজুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন জাকির হোসেন। এর আগে ওইদিন বিকেলে সিরাজুলের বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন সাংবাদিক মাহমুদ হাসান।
ভুক্তভোগী জাকির বলেন, ‘আমি সিরাজুলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়ে দিই সাফিউল সর্দারকে। সাফিউল এখন কোথায় আছে জানি না। কিন্তু আমি সেই টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা এরই মধ্যে সিরাজুলকে দিয়েছি। আর বাকি পাঁচ হাজার টাকা ২৫ মার্চ পরিশোধ করব বলে সময় নিই। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিরাজুল আমাকে সেই টাকার জন্য আটক করে মারধর করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খবর পেয়ে সাংবাদিকরা এসে সিরাজুলকে প্রশ্ন করেনÑ টাকার জন্য কাউকে আটক করা কি ঠিক? আপনি যদি টাকা পান, আর সে যদি না দেয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনÑ এই কথা বলা মাত্র সিরাজুল ও তার লোকজন আমার ওপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও করলে তারা সাংবাদিকদের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। তারা টাকার জন্য আমাকে প্রচুর মারধর করেছে। পুলিশ আমাকে উদ্ধার না করলে তারা হয়তো আমাকে মেরে ফেলত। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘জাকিরকে মারধর করার ভিডিও করলে সিরাজুল ও তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।’
তবে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো মারধর করি নাই। তারাই আমাদের মারধর করেছে।’ তবে হামলার ঘটনার ভিডিওচিত্র থাকার কথা জানালে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।