
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ঝুট গুদামে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহানগরের কোনাবাড়ীর আমবাগ বাবুর্চি মোড়ের নছর মার্কেট এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ও ডিবিএল মিনি ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরও জানান, আগুনের এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মানিক মিয়া জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। আগুনে বাবুল, মজিবুর, সানি, আকাশ, রবিউল, জালাল, শাহাদত, রাব্বি এক্সেসরিজ দোকান ও ঝুট গুদাম পুড়ে গেছে। এ ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি দোকানপাট আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেষ : ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল
বিবাহের যোগ রয়েছে। তবে অনুঢ়াদের বিবাহে বিচক্ষণতার প্রয়োজন আছে। বিবাহের পর ভ্রমণকালে বাধা-বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
বৃষ : ২১ এপ্রিল-২০ মে
রবি ও চন্দ্রের একই রাশিতে অবস্থান, ফলে জাতকের হতাশা কেটে যাবে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করবেন না। সহসা অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে।
মিথুন : ২১ মে-২০ জুন
পুরুষ-নারী মানুষের প্রিয়পাত্র। কিন্তু পরশ্রীকাতর বা অধীস্থ ব্যক্তিদের শত্রুতা সম্পর্কে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। সতীর্থের পরামর্শ নিন।
কর্কট : ২১ জুন-২০ জুলাই
অস্তমিত শুক্রগ্রহের সঙ্গে রবির মিলনের ফলে প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে মতান্তর ঘটবে। দৈবানুগ্রহে জাতক রক্ষা পাবেন। অবশ্যই ক্রোধ পরিত্যাজ্য।
সিংহ : ২১ জুলাই-২০ আগস্ট
বুধ লগ্নের দ্বাদশে মঙ্গলের অবস্থানের ফলে পারিবারিক কলহে লিপ্ত হবেন। দান সূত্রে প্রভূত ধনসম্পত্তি লাভ যোগ বিদ্যমান। দেশভ্রমণ যোগ রয়েছে।
কন্যা : ২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর
অক্ষাংশে মূল ত্রিকোণে গ্রহের প্রভাবে জাতকের এ সপ্তাহটা বেকারত্বের, ফলে দাম্পত্যজীবনে অশান্তির কালো ছায়া নামতে পারে। ভ্রমণ শুভ।
তুলা : ২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর
জাতক দানকর্মাদির দ্বারা বন্ধু-বান্ধবের সন্তোষ বিধানকারী। রোগাক্রান্ত হতে পারেন।
বৃশ্চিক : ২৩ অক্টোবর-২০ নভেম্বর
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এ সপ্তাহে ইন্দ্রিয় তাড়নায় অবৈধ কর্মে লিপ্ত হতে পারেন। তবে অর্থোপার্জনে আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা লাভ করবেন।
ধনু : ২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর
পঞ্চমে মঙ্গল ও নবমে ক্ষীণ চন্দ্রের অবস্থানের ফলে, জাতকের অর্থের কারণে অনেক বন্ধু জুটবে, কিন্তু প্রকৃত বন্ধুর সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত হবে।
মকর : ২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি
জাতকের জন্মকুন্ডুলীতে শনি কেন্দ্রস্থ হওয়ার ফলে, অর্থোপার্জনের ক্ষেত্রে অপর কারও থেকে সাহায্য পাবেন না। টাকা লগ্নির বিষয়ে সাবধান হোন।
কুম্ভ : ২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি
লগ্নের চতুর্থে রাহুর উচ্চস্থ অবস্থানের ফলে, ব্যবসায়ে লাভ করবেন। অবিশ^াসের কারণে সহজে কোনো টাকা লগ্নি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে।
মীন : ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ
ভ্রাতৃপতি জাতকের তৃতীয়স্থানে অবস্থানের ফলে, জাতকের সংসারে অশান্তিদেখা দেবে। তবে নিজগুণ ও বুদ্ধি নৈপুণ্যে অর্থোপার্জন সুগম হবে।
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় এলাকায় গত পাঁচ বছর ধরে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। লাল বালু, নুড়িপাথর তোলার মচ্ছব চলছে। মাটি খুঁড়ে পাথর তোলার কারণে পাহাড়ি এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর শালবাগান ধ্বংস হয়েছে। ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ কাজে জড়িত রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাওন ও পাহাড়ের স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী এবং অসাধু বন কর্মকর্তা মোকরুল ইসলাম আকন্দ। ঘটনা আড়াল করতে বন বিভাগ শতাধিক নিরীহ সীমান্তবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করার তাল করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের দায়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর অডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় হয়। বন বিভাগ বলেছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ওই পাহাড়গুলো ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। গজনি, হালচাটি, বাঁকাকুড়া, গান্ধীগাঁও প্রভৃতি স্থানে গজারিবাগানের পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ি নদী-ঝরনা থেকে অনেক দিন অবাধে পাথর ও বালু তুলছে প্রভাবশালী মহল। প্রধান সড়কের কাছাকাছি এলাকায় উত্তোলনের কাজ চলে গভীর রাতে। গহিন অরণ্যে দিনের বেলাতেই পাথর ও বালু তোলা হয়। আর রাতের আঁধারে ট্রলি ও পিকআপ করে সেসব পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতি রাতে কয়েক লাখ টাকার পাথর ও বালু লুট করে প্রভাবশালীরা। বন বিভাগের ওপর গাড়িপ্রতি কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফজলুল হক চাঁনের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খান শাওন ও রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকরুল ইসলাম আকন্দ বালু ও পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত। এই অপকর্ম ঢাকতে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রান করেছে সংশ্লিষ্টরা।
গ্রামবাসীরা জানায়, প্রতি রাতে শতাধিক বালু ও পাথরের গাড়ি বের হয় পাহাড় থেকে। প্রতি রাতে পাচার করা সম্পদের আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা। এইসব বালু ও পাথর নিতে রাতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের পাহাড়ে আনাগোনা করতে দেখা যায়।
গান্ধীগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, ‘আমি পাথর বালু তুলি না; দিনমজুরের কাজ করি। তারপরও বন বিভাগ আমার নামে মামলা দিছে। যারা পাথর-বালু তোলে তারা প্রভাবশালী। নেতা হওয়ায় তাদের নামে মামলা হয় না।’ গান্ধীগাঁও গ্রামের আরেক বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘পাহাড় কাটতে আমরা নিষেধ করি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনে না। ঝিনাইগাতী ছাত্রলীগের নেতা শাউন পাথর তোলে।’
বাঁকা কুড়া গ্রামের আমিনুল জানান, ‘পাথর তোলার মূল হোতা নুর জালাল, মুসা মেম্বার ও তালেব। রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকরুল ইসলাম আকন্দ তাদের সহযোগিতা করে। আমি এক ব্যবসায়ীর মাল্টার বাগানে কাজ করি। সেখানেই থাকি। আমার নামেও বালু তোলার মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।’ ঝিনাইগাতী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান শাওন বলেন, ‘আমি বালু-পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নই। নুর জালালের নেতৃত্বেই সব হয়। ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকরুল ইসলাম আকন্দ বালি-পাথর তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাথর উত্তোলনের বিষয়টি জানেন।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ‘শাওনের সঙ্গে আমার দেড় বছর কথা হয় না। সে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক চাঁনের মদদপুষ্ট নেতা। পাহাড় থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে আমি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে একাধিকবার তাগাদা দিয়েছি। তবু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘আমাদের কোনো পাথর-মহাল নেই বা সরকারিভাবে কোনো ডাক (ইজারা) নেই। পাহাড় থেকে পাথর উত্তোলন অবৈধ। আমরা কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাথর উত্তোলন বন্ধে বিজিবি, থানা এবং বন বিভাগের যৌথ টহলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বন বিভাগ বলেছিল, পাহাড় থেকে পাথর-বালি তোলা হয় না।’
শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, ‘পাহাড় ধ্বংস নয় বরং রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাথর উত্তোলনের সঙ্গে বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক চাঁন বলেন, ‘শাওন কে? তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাকে শেল্টার দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বালু ও পাথর উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে মুখ, কানসহ মুখম-ল দৃশ্যমান রাখা নিয়ে নোটিসের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। আবেদনের পক্ষে তিনি শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্থগিতাদেশের পাশাপাশি ছাত্রীদের মুখম-ল দৃশ্যমান রাখতে গত বছরের ১১ ডিসেম্বরের ওই নোটিস কেন অসাংবিধানিক ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত এক নোটিসে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখম-ল দৃশ্যমান রাখতে হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলের ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বাপ্পী ও নাফিজ মোস্তফা আনছারী হত্যার ঘটনায় দুই সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলে হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান কাজী ওরফে রিমন ও হাসিবুল ইসলাম ওরফে হৃদয়।
র্যাব জানিয়েছে, রায়হান নিয়মিত ফ্রি-ফায়ার এবং পাবজি গেমসে আসক্ত ছিল। এসব গেমসে সে মারামারি দেখে এ ধরনের নৃশংস কাজে উৎসাহিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে কমান্ডার মঈন বলনে, গত ২২ মার্চ ক্লাসের বিরতির সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈকত ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই মধ্যে নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রায়হান এগিয়ে এসে সৈকতের পক্ষ নিয়ে মারুফ ও তার সহপাঠী নাফিজ, সিয়ামসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুপুরে টিফিনের বিরতিতে আসামি রায়হান দশম শ্রেণির মারুফসহ কয়েকজনকে হুমকি দেয়। এ ঘটনার চার দিন আগে (১৯ মার্চ) সকালে মারুফের বন্ধু সিয়াম এবং রায়হানের মধ্যে তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ছিল। পরে আগের ঘটনার জের ধরে রায়হান ও তার সহপাঠীরা প্রতিশোধের প্রস্তুতি নেয়। দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পরপর রায়হান তার দলবল নিয়ে সহপাঠীদের পিছু নিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, পাংগাশিয়া সেতুর কাছাকাছি গিয়ে মারুফ, নাফিজ, সিয়ামসহ অন্যদের গতিরোধ করে। মারুফ, সিয়াম, নাফিজসহ অন্যরা সেতুর কাছাকাছি গেলে রায়হানের নেতৃত্বে সেতুর ওপর আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাইদুর ওরফে সৈকত, হাসিব ওরফে হৃদয়, নাঈম হোসেন, সিফাত এবং মশিউর মিলে মারুফ, নাফিজসহ অন্যদের মারধর শুরু করে। এরপর রায়হান ছুরি নিয়ে সিয়াম, মারুফ ও নাফিজকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। ছুরিকাঘাতে তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সিয়াম, নাফিজ ও মারুফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মারুফ ও নাফিজকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক মারুফ ও নাফিজকে মৃত ঘোষণা করে।
গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ জাল রুপি ও জাল টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার হাতড়াপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম ওরফে সবুজ (২৫), কুড়িগ্রাম রাজারহাট থানার সুকদেব গ্রামের ছামিউল ইসলাম (৩০), একই থানার দোলপকুঠি গ্রামের ছালেক (২৭) ও সুনামগঞ্জ বিশ্বরপুর থানার গনগাঁও জিনারপুর বাজার এলাকার খোরশেদ আলম ওরফে গিট্টু (৩২)।
উপকমিশনার জানান, গোপনসংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় সদর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় সন্দেহজনকভাবে মাজহারুল ইসলাম সবুজের হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি এবং অপর বাংলাদেশি টাকার মোট দুই লাখ বিশ হাজার জাল টাকা এবং অপর আসামি মো. ছামিউল ইসলামের লুঙ্গির পেছনের অংশে গোঁজা অবস্থায় ২টি বান্ডিলে মোট জাল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তী সময়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে এই জাল টাকা ও জাল রুপি প্রধানত ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় জনৈক আলাউদ্দিন তৈরি করে এবং তার সহযোগী খোরশেদ আলম গিট্টু বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম নগরীর বাহাদুরপুর শিকদারবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিট্টুর সঙ্গে সালেক নামে আরেক জনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের মূল হোতা আলাউদ্দিন প্রধানত এসব টাকা প্রস্তুত করে এবং তাদের মাধ্যমে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে উক্ত চক্রটি সারা দেশে জাল নোট তৈরি ও সরবরাহ করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য একাধিক মামলা রয়েছে। জড়িত অন্যান্য আসামিসহ মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংএ উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আবু তোরাব মো. সামছুর রহমান, অতিরিক্ত উপকমিশনার রেজওয়ান আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম সেট ২৫ মিনিট, দ্বিতীয়টি ২৮ মিনিটে জিতলেন কার্লোস আলকারাজ। মনে হচ্ছিল কোয়ালিফায়ার ফ্যাভিও কোবোলিকে বুঝি উড়িয়েই দিচ্ছেন শীর্ষ বাছাই।
না, তৃতীয় সেটতে প্রতিরোধ গড়লেন ইতালিয়ান। সময় গড়ালো ঘন্টায়। শেষপর্যন্ত জয় এসেছে ৬৬ মিনিটে। ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে রাফায়েল নাদালের উত্তরসুরি ক্লে কোর্টের সর্বোচ্চ আসর শুরু করলেন।
নাদালের চোটজনিত অনুপস্থিতিতে শীর্ষবাছাই আলকারাজ। ২০২১ এ তৃতীয় রাউন্ড, গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবার আরো এগোলে সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচের সংগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা।
সে দেখা যাবে। আপাতত দ্বিতীয় রাউন্ডে আলকারাজকে টপকাতে হবে জাপানের টি. দানিয়লেকে।
আইপিএলের পঞ্চম শিরোপা জিততে চেন্নাই সুপার কিংসের চাই ১৫ ওভারে ১৭১ রান। আহমেদাবাদে রাত ১২.৪০ মিনিটে শুরু হবে খেলা। গুজরাট টাইট্যান্সের ২১৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩ বলে ৪ রান করার পর বৃ্স্টিতে বন্ধ হয় ফাইনাল। অর্থাৎ বাকি ১৪.৩ ওভারে আরো ১৬৭ রান চাই ধোনীর দলের।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।