বাজেট: প্রাক-আনুষ্ঠানিকতার পর ফলাফলের অপেক্ষা
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান | ৮ জুন, ২০২২ ২১:৪৯
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) পেশ হতে যাচ্ছে দেশের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ অংকের বাজেট প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন, নেটওয়ার্ক, জোট, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন, ব্যবসায়িক সমিতি, পেশাজিবি সংগঠন যার যার দাবি-দাওয়া পেশ করেছে। সরকার বাজেট প্রনয়ণের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি-২০২২ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ নানা পর্যায়ের জনগণের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেছে। এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেছেন, শুনেছেন তাদের চাহিদা এবং বাজেট নিয়ে তাদের ভাবনা।
ফলফল কী হবে তা বিশ্লেষণ থেকে অনুমেয়। তবে অনেকের মতে আলোচনা যে হচ্ছে সেটাই কম কীসের। বিভিন্ন মিডিয়ায় বাজেট সম্পর্কিত নানা শিরোনামে বাজেটের খুঁটিনাটি বিষয়ে বিভিন্ন লেখালেখি এবং আলোচনা হয়েছে। বাজেট আলোচনা এখন শুধু অর্থনীতিবিদদের মধ্যে সীমবদ্ধ নেই, বিভিন্ন পেশাজীবী এখন বাজেট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করছে। নানামুখী জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল?
সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান পর্যালোচনার মাধ্যমে অর্ন্তভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়নের ওপর ইদানিং বেশ জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, যা খুবই যৌক্তিক। গণমাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার স্থানীয়ভাবে তাদের চাহিদা তুলে ধরেছে। ২৩ মে দৈনিক আমাদের সময়, হেলভেটাস ও উন্নয়ন সংগঠন ড্রপ যৌথভাবে আয়োজন করে “জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাজেট ও পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রেক্ষিত”।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র অর্জনে বাজেটের প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়-ক্ষতির অবস্থা বিবেচনায় রেখে পানি স্যানিটেশন খাতকে জনগুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করে সকল বক্তারা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ৩০ মে ওয়াটারএইডের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশের সকল পানীয় জল বিষয়ক সংগঠনের অংশগ্রহণে ন্যায্যতা ভিত্তিক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ওয়াশ বাজেট বরাদ্দ ছিল প্রায় ১২০০০ কোটি টাকা, যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের তুলনায় অপ্রতুল। জনপ্রতি বরাদ্দে জোর দিয়ে আলোচনায় গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূরীকরণেও বিশেষ গুরুত্বরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২২ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ ৫০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে, যা সরকার ঘোষিত আসছে বাজেটের প্রায় ৩ গুণ। সমিতি উল্লেখ করে বাজেট তৈরি হয় মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে, যা অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত করে। এ ব্যবস্থায় সৃজনশীল চিন্তার সুযোগ কম। এতে সমস্যা চিহিন্ত করে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছানো যায় না।
দেশে ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অন্যতম দুর্ভাবনার বিষয় মাথায় রেখে আসছে বাজেট প্রস্তাব করা হবে। দরিদ্র মানুষের ৮২ শতাংশ গ্রামে বাস করে। গ্রামে ভূমিহীন ৪০ ভাগ খানায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ৬০ ভাগ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত।
এ অবস্থা নিরসনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি রাজস্ব কমিশন গঠনের প্রস্তাব ওঠে। ১৭ মে ২০২২ কেম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর পক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় “তামাক কর” বাড়ানোর জোর দাবি জানানো হয়। ৩১ মে ওয়টারএইড বাংলাদেশ বাজেটের নানা কলা-কৌশল নিয়ে বিভিন্ন জোট ও নেটওয়ার্কের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে বাজেট বরাদ্দ ও ব্যয়ের পঞ্জিকাসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তনে আঘাতের শিকার দেশ, সেখানে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও বিশেষ সচেতনতা করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য বাজেটের বরাদ্দ গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। যেটি চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ। কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষাখাতের বাজেট বিষয়ে কোন জোরালো দাবি উঠে আসেনি। কৃষি খাতের বাজেট বিষয়ে প্রতিবছরই সরকারের জোরালো দৃষ্টি কামনা করা হয়।
সুতরাং গত প্রায় ৫-৬ মাস ধরেই এই অর্থবছরের বাজেটকে জনবান্ধব ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রাক বাজেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আমরা আশা করছি মহামারীর চাপ কমে এই বছরে উন্নয়ন বাজেটে বা এডিপিতে এবারের বিষয়গুলো পর্যাপ্ত গুরুত্ব পাবে। বাজেট আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনে জনগণের বিশেষ সুপারিশ নিয়ে জনবান্ধব বাজেট ২০২২-২৩ ঘোষিত হবে। গত অর্থবছরের বাজেট ছিল “করনাকালীন বাজেট” এবং অগ্রাধিকার বিবেচনায় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনে পর্যাপ্ত জনপ্রতি বাজেট বরাদ্দ হয়নি। আমাাদর জোর দাবি এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের বিনিয়োগ কৌশল অনুযায়ী বরাদ্দ হোক।
লেখক: গবেষণা পরিচালক, ড্রপ, ইমেইল: [email protected]
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান | ৮ জুন, ২০২২ ২১:৪৯

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) পেশ হতে যাচ্ছে দেশের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ অংকের বাজেট প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন, নেটওয়ার্ক, জোট, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন, ব্যবসায়িক সমিতি, পেশাজিবি সংগঠন যার যার দাবি-দাওয়া পেশ করেছে। সরকার বাজেট প্রনয়ণের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি-২০২২ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ নানা পর্যায়ের জনগণের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেছে। এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেছেন, শুনেছেন তাদের চাহিদা এবং বাজেট নিয়ে তাদের ভাবনা।
ফলফল কী হবে তা বিশ্লেষণ থেকে অনুমেয়। তবে অনেকের মতে আলোচনা যে হচ্ছে সেটাই কম কীসের। বিভিন্ন মিডিয়ায় বাজেট সম্পর্কিত নানা শিরোনামে বাজেটের খুঁটিনাটি বিষয়ে বিভিন্ন লেখালেখি এবং আলোচনা হয়েছে। বাজেট আলোচনা এখন শুধু অর্থনীতিবিদদের মধ্যে সীমবদ্ধ নেই, বিভিন্ন পেশাজীবী এখন বাজেট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করছে। নানামুখী জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল?
সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান পর্যালোচনার মাধ্যমে অর্ন্তভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়নের ওপর ইদানিং বেশ জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, যা খুবই যৌক্তিক। গণমাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার স্থানীয়ভাবে তাদের চাহিদা তুলে ধরেছে। ২৩ মে দৈনিক আমাদের সময়, হেলভেটাস ও উন্নয়ন সংগঠন ড্রপ যৌথভাবে আয়োজন করে “জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাজেট ও পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রেক্ষিত”।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র অর্জনে বাজেটের প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়-ক্ষতির অবস্থা বিবেচনায় রেখে পানি স্যানিটেশন খাতকে জনগুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করে সকল বক্তারা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ৩০ মে ওয়াটারএইডের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশের সকল পানীয় জল বিষয়ক সংগঠনের অংশগ্রহণে ন্যায্যতা ভিত্তিক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ওয়াশ বাজেট বরাদ্দ ছিল প্রায় ১২০০০ কোটি টাকা, যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের তুলনায় অপ্রতুল। জনপ্রতি বরাদ্দে জোর দিয়ে আলোচনায় গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূরীকরণেও বিশেষ গুরুত্বরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২২ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ ৫০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে, যা সরকার ঘোষিত আসছে বাজেটের প্রায় ৩ গুণ। সমিতি উল্লেখ করে বাজেট তৈরি হয় মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে, যা অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত করে। এ ব্যবস্থায় সৃজনশীল চিন্তার সুযোগ কম। এতে সমস্যা চিহিন্ত করে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছানো যায় না।
দেশে ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অন্যতম দুর্ভাবনার বিষয় মাথায় রেখে আসছে বাজেট প্রস্তাব করা হবে। দরিদ্র মানুষের ৮২ শতাংশ গ্রামে বাস করে। গ্রামে ভূমিহীন ৪০ ভাগ খানায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ৬০ ভাগ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত।
এ অবস্থা নিরসনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি রাজস্ব কমিশন গঠনের প্রস্তাব ওঠে। ১৭ মে ২০২২ কেম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর পক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় “তামাক কর” বাড়ানোর জোর দাবি জানানো হয়। ৩১ মে ওয়টারএইড বাংলাদেশ বাজেটের নানা কলা-কৌশল নিয়ে বিভিন্ন জোট ও নেটওয়ার্কের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে বাজেট বরাদ্দ ও ব্যয়ের পঞ্জিকাসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তনে আঘাতের শিকার দেশ, সেখানে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও বিশেষ সচেতনতা করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য বাজেটের বরাদ্দ গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। যেটি চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ। কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষাখাতের বাজেট বিষয়ে কোন জোরালো দাবি উঠে আসেনি। কৃষি খাতের বাজেট বিষয়ে প্রতিবছরই সরকারের জোরালো দৃষ্টি কামনা করা হয়।
সুতরাং গত প্রায় ৫-৬ মাস ধরেই এই অর্থবছরের বাজেটকে জনবান্ধব ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রাক বাজেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আমরা আশা করছি মহামারীর চাপ কমে এই বছরে উন্নয়ন বাজেটে বা এডিপিতে এবারের বিষয়গুলো পর্যাপ্ত গুরুত্ব পাবে। বাজেট আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনে জনগণের বিশেষ সুপারিশ নিয়ে জনবান্ধব বাজেট ২০২২-২৩ ঘোষিত হবে। গত অর্থবছরের বাজেট ছিল “করনাকালীন বাজেট” এবং অগ্রাধিকার বিবেচনায় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনে পর্যাপ্ত জনপ্রতি বাজেট বরাদ্দ হয়নি। আমাাদর জোর দাবি এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের বিনিয়োগ কৌশল অনুযায়ী বরাদ্দ হোক।
লেখক: গবেষণা পরিচালক, ড্রপ, ইমেইল: [email protected]