বড়দিনের আগে ছিন্নমূল মানুষকে পথে বসাল হোটেল
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৩
যুক্তরাজ্যের হাল শহরে বড়দিন উদযাপন করতে কিছু আশ্রয়হীন লোকের স্থান হয়েছিল একটি হোটেলের রুমে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষের অবিবেচক সিদ্ধান্তের কারণে পথেই তাদেরকে বড়দিন কাটাতে হবে এবার।
বিবিসি জানায়, রেইজ ফর হোমলেস প্রজেক্ট নামে ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করা একটি সংগঠন বড়দিন উপলক্ষে এসব লোককে হালের রয়েল হোটেলে থাকা ব্যবস্থা করেছিল।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কার্ল সিম্পসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তিনি এক হাজার ৯২ পাউন্ড দিয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ১৪টি হোটেল রুম বুকিং দিয়েছিলেন। এখন রয়েল হোটেল কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। তাদের এ সিদ্ধান্তে তার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে।
সিম্পসনের এই পোস্ট কয়েকশ’ মানুষ শেয়ার করেছে। তারা হোটেল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে রোববার রয়েল হোটেলের কাছে বিবিসি জানতে চায় কী কারণে আশ্রয়হীন এসব লোকের হোটেল রুম বুকিং বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চায়নি তারা। দেশটির নামকরা ব্রিটেনিয়া হোটেলস গ্রুপেরই অঙ্গসংগঠন এটি।
এদিকে লেবার এমপি এমা হার্ডি জানান, তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।
একটি ক্যাফে রেস্টুরেন্টের মালিক সিম্পসন বলেন, ২০১৭ সালে আইবিস হোটেলে ২৮ জন আশ্রয়হীন মানুষের জন্য দুই রাত থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তারা খুব ভালোভাবে বড়দিন কাটিয়েছিল।
তিনি বলেন, “সেবার হাম্বার ব্রিজে যারা রাত কাটাতো এমনসব লোকদের নিয়ে আমরা এই আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর রয়েল হোটেলের এমন সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত।”
এখন নতুন করে হোটেল রুম বুকিং দিতে নতুন করে তাকে খরচের মুখে পড়তে হবে। বড়দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সব ধরনের হোটেল এখন বুকিং হয়ে গেছে। দামি হোটেলে রুম বুকিং করতে লাগবে অতিরিক্ত অর্থ। এদিকে অনেকেই তাকে অর্থ সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছেন বলে বিবিসি জানায়।
মূলত তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে ছিন্নমূল মানুষের জন্য এগিয়ে আসা সিম্পসনের। তিনি জানান, তিন বছর আগে তার স্ত্রী মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। মৃত্যুর আশঙ্কায় হাসপাতালেই তাকেই বিয়ে করে নিয়েছিলেন সিম্পসন। সে সময় আশপাশের মানুষ তাদের বিয়ের সব আয়োজন করেছিলেন।
পরবর্তীতে তার স্ত্রী বেঁচে গেলেও এখনো অসুস্থ হয়ে দিনযাপন করছেন। তবে সিম্পসন নেমে পড়েছেন মানবতার সেবার। ভ্যানে করে মানুষকে খাবারও বিলি করেন তিনি প্রায়শই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৩

যুক্তরাজ্যের হাল শহরে বড়দিন উদযাপন করতে কিছু আশ্রয়হীন লোকের স্থান হয়েছিল একটি হোটেলের রুমে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষের অবিবেচক সিদ্ধান্তের কারণে পথেই তাদেরকে বড়দিন কাটাতে হবে এবার।
বিবিসি জানায়, রেইজ ফর হোমলেস প্রজেক্ট নামে ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করা একটি সংগঠন বড়দিন উপলক্ষে এসব লোককে হালের রয়েল হোটেলে থাকা ব্যবস্থা করেছিল।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কার্ল সিম্পসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তিনি এক হাজার ৯২ পাউন্ড দিয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ১৪টি হোটেল রুম বুকিং দিয়েছিলেন। এখন রয়েল হোটেল কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। তাদের এ সিদ্ধান্তে তার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে।
সিম্পসনের এই পোস্ট কয়েকশ’ মানুষ শেয়ার করেছে। তারা হোটেল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে রোববার রয়েল হোটেলের কাছে বিবিসি জানতে চায় কী কারণে আশ্রয়হীন এসব লোকের হোটেল রুম বুকিং বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চায়নি তারা। দেশটির নামকরা ব্রিটেনিয়া হোটেলস গ্রুপেরই অঙ্গসংগঠন এটি।
এদিকে লেবার এমপি এমা হার্ডি জানান, তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।
একটি ক্যাফে রেস্টুরেন্টের মালিক সিম্পসন বলেন, ২০১৭ সালে আইবিস হোটেলে ২৮ জন আশ্রয়হীন মানুষের জন্য দুই রাত থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তারা খুব ভালোভাবে বড়দিন কাটিয়েছিল।
তিনি বলেন, “সেবার হাম্বার ব্রিজে যারা রাত কাটাতো এমনসব লোকদের নিয়ে আমরা এই আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর রয়েল হোটেলের এমন সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত।”
এখন নতুন করে হোটেল রুম বুকিং দিতে নতুন করে তাকে খরচের মুখে পড়তে হবে। বড়দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সব ধরনের হোটেল এখন বুকিং হয়ে গেছে। দামি হোটেলে রুম বুকিং করতে লাগবে অতিরিক্ত অর্থ। এদিকে অনেকেই তাকে অর্থ সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছেন বলে বিবিসি জানায়।
মূলত তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে ছিন্নমূল মানুষের জন্য এগিয়ে আসা সিম্পসনের। তিনি জানান, তিন বছর আগে তার স্ত্রী মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। মৃত্যুর আশঙ্কায় হাসপাতালেই তাকেই বিয়ে করে নিয়েছিলেন সিম্পসন। সে সময় আশপাশের মানুষ তাদের বিয়ের সব আয়োজন করেছিলেন।
পরবর্তীতে তার স্ত্রী বেঁচে গেলেও এখনো অসুস্থ হয়ে দিনযাপন করছেন। তবে সিম্পসন নেমে পড়েছেন মানবতার সেবার। ভ্যানে করে মানুষকে খাবারও বিলি করেন তিনি প্রায়শই।