মেয়েকে পুড়িয়ে ছাই ফেলল নদীতে
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১৭
মা-বাবার হাতেই এমন নির্মমতার শিকার হয়েছেন ২০ বছরের তরুণী। ‘অপরাধ’ নিম্ন বর্ণের এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে নৃশংস এই ঘটনা ঘটে বলে রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, হায়দারাবাদ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরের মঞ্চেরিয়াল জেলার কালামদুগু গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ জানায়, পি অনুরাধাকে কয়েকজন আত্মীয়র সহযোগিতায় পুড়িয়ে হত্যা করে বাবা-মা। পরে লাশের ছাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
নিম্ন বর্ণের ছেলেকে বিয়ে করায় অনুরাধার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তার বাবা সত্যেন্না এবং মা লক্ষ্মী। তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অনুরাধাকে শনিবার রাতেই হত্যা করা হয়। তবে তার স্বামী লক্ষণের অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করলে রোববার নৃশংস এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ জানায়, লক্ষণ ও অনুরাধা একই গ্রামের বাসিন্দা। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্কে বাধ সাধে অনুরাধার পরিবার। পরে হায়দারাবাদ পালিয়ে গিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরে গত ৩ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের ২০ দিন পর গত শনিবার গ্রামে আসেন নবদম্পতি। খবর পেয়ে লক্ষণদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অনুরাধাকে ছিনিয়ে নেয় তার বাবা-মা ও স্বজনরা।
তদন্তে ওঠে আসে, অনুরাধাকে নিরমল জেলার মাল্লাপুর গ্রামের কাছে একটি জায়গায় নিয়ে যায় বাবা-মা। সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে হত্যার পর প্রমাণ গায়েব করে দিতে লাশের ছাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
গত সেপ্টেম্বরে নলগন্দা শহরে প্রণয় কুমার নামে দলিত এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরিবারের অমতে অমরুথাকে বিয়ে করায় তার শ্বশুর মারুতি রাও তাকে হত্যার জন্য ঘাতককে ভাড়া করে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১৭

মা-বাবার হাতেই এমন নির্মমতার শিকার হয়েছেন ২০ বছরের তরুণী। ‘অপরাধ’ নিম্ন বর্ণের এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে নৃশংস এই ঘটনা ঘটে বলে রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, হায়দারাবাদ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরের মঞ্চেরিয়াল জেলার কালামদুগু গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ জানায়, পি অনুরাধাকে কয়েকজন আত্মীয়র সহযোগিতায় পুড়িয়ে হত্যা করে বাবা-মা। পরে লাশের ছাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
নিম্ন বর্ণের ছেলেকে বিয়ে করায় অনুরাধার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তার বাবা সত্যেন্না এবং মা লক্ষ্মী। তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অনুরাধাকে শনিবার রাতেই হত্যা করা হয়। তবে তার স্বামী লক্ষণের অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করলে রোববার নৃশংস এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ জানায়, লক্ষণ ও অনুরাধা একই গ্রামের বাসিন্দা। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্কে বাধ সাধে অনুরাধার পরিবার। পরে হায়দারাবাদ পালিয়ে গিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরে গত ৩ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের ২০ দিন পর গত শনিবার গ্রামে আসেন নবদম্পতি। খবর পেয়ে লক্ষণদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অনুরাধাকে ছিনিয়ে নেয় তার বাবা-মা ও স্বজনরা।
তদন্তে ওঠে আসে, অনুরাধাকে নিরমল জেলার মাল্লাপুর গ্রামের কাছে একটি জায়গায় নিয়ে যায় বাবা-মা। সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে হত্যার পর প্রমাণ গায়েব করে দিতে লাশের ছাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
গত সেপ্টেম্বরে নলগন্দা শহরে প্রণয় কুমার নামে দলিত এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরিবারের অমতে অমরুথাকে বিয়ে করায় তার শ্বশুর মারুতি রাও তাকে হত্যার জন্য ঘাতককে ভাড়া করে।