তেলাপোকার এসব উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৫৫
তেলাপোকা নেই এমন কোনো বাসস্থান হয়ত পৃথিবীতে নেই। ঘর থেকে একে দূর করার চেষ্টাও প্রতিদিনই, প্রতি দেশে করে যাচ্ছেন কেউ না কেউ। তবে অনেকের কাছে বিরক্তিকর ও ঘিনঘিনে এই পোকার উপকারিতার বিষয়টি অজানা।
চীনে তেলাপোকা অন্যতম উপকারী একটি প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। কারণ তারা প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যাওয়া গ্যালন গ্যালন খাবার ও অন্যান্য পণ্য সাবাড় করে দিচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয়। তেলাপোকার কাছ থেকে সবটুকু উপকারিতা নিংড়ে নিতে চীন নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
দেশটির সানডং প্রদেশে গড়ে তোলা হয়েছে তেলাপোকার খামার। সেখানে আবদ্ধ ঘরে চাষ করা হচ্ছে তেলাপোকা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্ট খবরটি প্রকাশ করে।
প্রতিদিন ভোরে একটি বড় পাইপের মাধ্যমে তেলাপোকার সেই কক্ষে সরবরাহ করা হয় খাবার, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য পণ্য। যা খেয়ে পরিবেশ রক্ষা করে তেলাপোকা।
দিনে অন্তত ৫০ টন নষ্ট খাবার সাবাড় করে এসব তেলাপোকা। দেশটির কৃষি প্রযুক্তি বিভাগ এই বুদ্ধি বের করেছে।
এরপর তেলাপোকার বাহ্যি বা মল দিয়ে তৈরি করা হয় সার। তোলাপোকার মৃতদেহ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এ গবেষণায় যুক্ত স্যানডং বলেন, 'এটা হলো আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করা।'
চীনের প্রতিষ্ঠানটি এ রকম আরো তিনটি খামার গড়ে তুলতে চায়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৫৫

তেলাপোকা নেই এমন কোনো বাসস্থান হয়ত পৃথিবীতে নেই। ঘর থেকে একে দূর করার চেষ্টাও প্রতিদিনই, প্রতি দেশে করে যাচ্ছেন কেউ না কেউ। তবে অনেকের কাছে বিরক্তিকর ও ঘিনঘিনে এই পোকার উপকারিতার বিষয়টি অজানা।
চীনে তেলাপোকা অন্যতম উপকারী একটি প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। কারণ তারা প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যাওয়া গ্যালন গ্যালন খাবার ও অন্যান্য পণ্য সাবাড় করে দিচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয়। তেলাপোকার কাছ থেকে সবটুকু উপকারিতা নিংড়ে নিতে চীন নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
দেশটির সানডং প্রদেশে গড়ে তোলা হয়েছে তেলাপোকার খামার। সেখানে আবদ্ধ ঘরে চাষ করা হচ্ছে তেলাপোকা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্ট খবরটি প্রকাশ করে।
প্রতিদিন ভোরে একটি বড় পাইপের মাধ্যমে তেলাপোকার সেই কক্ষে সরবরাহ করা হয় খাবার, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য পণ্য। যা খেয়ে পরিবেশ রক্ষা করে তেলাপোকা।
দিনে অন্তত ৫০ টন নষ্ট খাবার সাবাড় করে এসব তেলাপোকা। দেশটির কৃষি প্রযুক্তি বিভাগ এই বুদ্ধি বের করেছে।
এরপর তেলাপোকার বাহ্যি বা মল দিয়ে তৈরি করা হয় সার। তোলাপোকার মৃতদেহ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এ গবেষণায় যুক্ত স্যানডং বলেন, 'এটা হলো আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করা।'
চীনের প্রতিষ্ঠানটি এ রকম আরো তিনটি খামার গড়ে তুলতে চায়।