মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তরুণী যখন বাসচালক
রাফসান গালিব | ১১ জুলাই, ২০১৯ ১৩:৩৩
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এক তরুণী পেশা হিসেবে নিয়েছেন বাস চালনাকে। এই নারী ভারতে বেস্ট কোম্পানির বাস সার্ভিসের একমাত্র নারী চালক।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাকে নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশ করে। এতে উঠে আসে যাত্রীবাহী বাস চালানো সাহসী এ নারীর গল্প।
সাধারণত বাস কিংবা ট্রাকের মতো ফোর-হুইলার গাড়ির চালানোর সক্ষমতা পুরুষই রাখে। কিন্তু সেই ধারণা পালটে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের মেয়ে প্রতীক্ষা দাশ।
উত্তর মুম্বাইয়ের মফস্বল শহর মালাদের ঠাকুর কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন প্রতীক্ষা।
বেস্ট কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, মুম্বাইতে তিনিই এখন একমাত্র নারী বাসচালক। বেস্ট ট্রেইনিং স্কুল থেকে তিনি গাড়ি চালনার ওপর কোর্স করেন।
প্রতীক্ষা বলেন, “একটা সময় ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা করব। কিন্তু এখন আমার প্রেম গাড়িকে ঘিরে। আগ থেকেই গাড়ির প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। শুরুতে আমি মোটরসাইকেল চালানো শুরু করি। এরপর মোটরকার, এখন বাস চালাচ্ছি। বাস এবং ট্রাক দুইটাই আমি চালাতে পারি।”
তিনি বলেন, “কলেজ পাশ করে ভেবেছিলাম রিজওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসারের চাকরির জন্য চেষ্টা করব। এ জন্য ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তখন আমি বাস চালানোর প্রশিক্ষণ নিই। তখন মনে হলো, এটাই তো দারুণ।”
বাসচালক হিসেবে একজন নারীকে মেনে নিতে চান না যাত্রীরা। অনেকে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে এমনকি নেতিবাচক মন্তব্যও করে থাকে। তবে পেশাটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
প্রতীক্ষা বলেন, “হুইলের পেছনে একজন তরুণীকে দেখে অনেকে গাড়িতে উঠতে চান না। কিন্তু লক্ষ্যকে ঠিক রেখে তাদের এসব অবজ্ঞাকে এড়িয়ে আমি এগিয়ে যাই।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রাফসান গালিব | ১১ জুলাই, ২০১৯ ১৩:৩৩

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এক তরুণী পেশা হিসেবে নিয়েছেন বাস চালনাকে। এই নারী ভারতে বেস্ট কোম্পানির বাস সার্ভিসের একমাত্র নারী চালক।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাকে নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশ করে। এতে উঠে আসে যাত্রীবাহী বাস চালানো সাহসী এ নারীর গল্প।
সাধারণত বাস কিংবা ট্রাকের মতো ফোর-হুইলার গাড়ির চালানোর সক্ষমতা পুরুষই রাখে। কিন্তু সেই ধারণা পালটে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের মেয়ে প্রতীক্ষা দাশ।
উত্তর মুম্বাইয়ের মফস্বল শহর মালাদের ঠাকুর কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন প্রতীক্ষা।
বেস্ট কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, মুম্বাইতে তিনিই এখন একমাত্র নারী বাসচালক। বেস্ট ট্রেইনিং স্কুল থেকে তিনি গাড়ি চালনার ওপর কোর্স করেন।
প্রতীক্ষা বলেন, “একটা সময় ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা করব। কিন্তু এখন আমার প্রেম গাড়িকে ঘিরে। আগ থেকেই গাড়ির প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। শুরুতে আমি মোটরসাইকেল চালানো শুরু করি। এরপর মোটরকার, এখন বাস চালাচ্ছি। বাস এবং ট্রাক দুইটাই আমি চালাতে পারি।”
তিনি বলেন, “কলেজ পাশ করে ভেবেছিলাম রিজওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসারের চাকরির জন্য চেষ্টা করব। এ জন্য ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তখন আমি বাস চালানোর প্রশিক্ষণ নিই। তখন মনে হলো, এটাই তো দারুণ।”
বাসচালক হিসেবে একজন নারীকে মেনে নিতে চান না যাত্রীরা। অনেকে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে এমনকি নেতিবাচক মন্তব্যও করে থাকে। তবে পেশাটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
প্রতীক্ষা বলেন, “হুইলের পেছনে একজন তরুণীকে দেখে অনেকে গাড়িতে উঠতে চান না। কিন্তু লক্ষ্যকে ঠিক রেখে তাদের এসব অবজ্ঞাকে এড়িয়ে আমি এগিয়ে যাই।”