একজন ইসরায়েলি বছরে ৬০ কেজি চিনি খায়!
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:১৫
একজন ইসরায়েলি ২০১৮ সালে গড়ে ৬০ কেজি করে চিনি খেয়েছেন, প্রতিদিনের হিসেবে যার পরিমাণ ১৬৫ গ্রাম। আন্তর্জাতিক চিনি সংস্থার (আইএসও) হিসেবে এটি বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিসি জানায়, চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যান্সেটে ১৯৫টি দেশের ওপর একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ইসরায়েলের ডায়াবেটিক জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান ও এই রোগের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইতামার রায বলেন, “ইসরায়েলে গড়ে একেকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন চা চামচের আকারের ৩০ চামচের বেশি চিনি খেয়ে থাকে- যা আসলে ভয়াবহ একটা ব্যাপার।”
এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, বার্বাডোজ, ফিজি ও ব্রাজিল। সবচেয়ে কম চিনি গ্রহণকারী দেশ হলো উত্তর কোরিয়া, যেখানে চিনি খাওয়ার হার ২০১৮ সালে ছিল ৩.৫ কেজি। তাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় যা প্রায় ৯ গুণ বেশি, অর্থাৎ ৩০.৬ কেজি।
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য সংক্রান্ত রোগের অনেক সমস্যা থাকার পরেও, দেশটির নাগরিকেরা গড়ে ৩১.১ কেজি চিনি খেয়েছে।
মোট পরিমাণের হিসেবে বেশি চিনি ব্যবহার করেছে ভারত। ২০১৮ সালে আড়াই কোটি মেট্রিকটনের বেশি। পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর চেয়ে কম চিনি ব্যবহার করে। জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, ভারতে মানুষের খাওয়া খাদ্যের মধ্যে চিনি একটি অপরিহার্য উপাদান এবং গরিব মানুষের শক্তি সঞ্চয়ের সবচেয়ে সস্তা উৎস।
এ দিকে আইএসও’র তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যে পাওয়া উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি যোগ করলে ২০০১ সালের চিনি খাওয়ার হার ছিল ১২ কোটি ৩৪ লাখ টন। যা গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ২৪ লাখ টন। যার মানে হলো, বিশ্বে গড়ে জনপ্রতি ২২.৬ কেজি চিনি খাওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে বিশ্বে স্থূলতার সমস্যা মহামারি আকারে বেড়ে যাচ্ছে। এই কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৫ সালে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চিনি খাওয়ার মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
সংস্থাটি বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৬ চা চামচ বা ২৫ গ্রাম চিনিতে স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত তরল পানীয়ের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর। সামনের বছর থেকে সেটি কার্যকর হবে।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:১৫

একজন ইসরায়েলি ২০১৮ সালে গড়ে ৬০ কেজি করে চিনি খেয়েছেন, প্রতিদিনের হিসেবে যার পরিমাণ ১৬৫ গ্রাম। আন্তর্জাতিক চিনি সংস্থার (আইএসও) হিসেবে এটি বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিসি জানায়, চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যান্সেটে ১৯৫টি দেশের ওপর একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ইসরায়েলের ডায়াবেটিক জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান ও এই রোগের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইতামার রায বলেন, “ইসরায়েলে গড়ে একেকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন চা চামচের আকারের ৩০ চামচের বেশি চিনি খেয়ে থাকে- যা আসলে ভয়াবহ একটা ব্যাপার।”
এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, বার্বাডোজ, ফিজি ও ব্রাজিল। সবচেয়ে কম চিনি গ্রহণকারী দেশ হলো উত্তর কোরিয়া, যেখানে চিনি খাওয়ার হার ২০১৮ সালে ছিল ৩.৫ কেজি। তাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় যা প্রায় ৯ গুণ বেশি, অর্থাৎ ৩০.৬ কেজি।
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য সংক্রান্ত রোগের অনেক সমস্যা থাকার পরেও, দেশটির নাগরিকেরা গড়ে ৩১.১ কেজি চিনি খেয়েছে।
মোট পরিমাণের হিসেবে বেশি চিনি ব্যবহার করেছে ভারত। ২০১৮ সালে আড়াই কোটি মেট্রিকটনের বেশি। পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর চেয়ে কম চিনি ব্যবহার করে। জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, ভারতে মানুষের খাওয়া খাদ্যের মধ্যে চিনি একটি অপরিহার্য উপাদান এবং গরিব মানুষের শক্তি সঞ্চয়ের সবচেয়ে সস্তা উৎস।
এ দিকে আইএসও’র তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যে পাওয়া উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি যোগ করলে ২০০১ সালের চিনি খাওয়ার হার ছিল ১২ কোটি ৩৪ লাখ টন। যা গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ২৪ লাখ টন। যার মানে হলো, বিশ্বে গড়ে জনপ্রতি ২২.৬ কেজি চিনি খাওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে বিশ্বে স্থূলতার সমস্যা মহামারি আকারে বেড়ে যাচ্ছে। এই কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৫ সালে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চিনি খাওয়ার মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
সংস্থাটি বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৬ চা চামচ বা ২৫ গ্রাম চিনিতে স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত তরল পানীয়ের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর। সামনের বছর থেকে সেটি কার্যকর হবে।