সূর্যের চারদিকে ‘বিরল’ এ বলয়ের রহস্য কী!
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ মার্চ, ২০২০ ২০:৪৬
বৃহস্পতিবারের আকাশে দেখা গেছে অপরিচিত এক সূর্যকে। এর চারপাশে দেখা গেছে একটি সুন্দর বলয়। অনেকে একে বিরল ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
অনেকেই ছবি তুলে প্রকাশ করেছেন ফেইসবুকে। তবে সূর্যের এমন দৃশ্যের ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে আবহাওয়া সংক্রান্ত একটি ফেইসবুক পেজ থেকে। তারা ব্যাখ্যা করে বলেছেন-
‘সূর্যের এই বর্ণ বলয় তৈরি হতে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ও উপাদানের সুষম উপস্থিতি বিদ্যমান থাকতে হয়।
প্রথমত, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ১০ কিলোমিটার ওপরে মেঘ থাকতে হয়।
দ্বিতীয়ত, সেই মেঘ কেটে গেলে আকাশে ষড় ভুজাকৃতির লাখ লাখ স্ফটিক বরফ কণা ভেসে বেড়াতে হয়। এবং সেই সব স্ফটিক বরফ কণা আকাশে নির্দিষ্টভাবে সজ্জিত থাকে।
তৃতীয়ত, সূর্যের সঠিক অবস্থান থেকে সেই সব স্ফটিক বরফ কণার ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো যেতে হয়।
স্ফটিক বরফ কণা তখন প্রিজমের কাজ করে, সূর্যের আলোর প্রতিসরণ ঘটে। ফলে সূর্যকিরণের সাদা আলো সাতটি রঙে ভেঙে যায়। আর সেই ভেঙে যাওয়া সাতটি রংকে আমরা পৃথিবী থেকে ২২ ডিগ্রি ব্যাসার্ধের একটি বর্ণময় সৌর বলয় হিসেবে দেখতে পাই। যেভাবে জলকণার ভেতর দিয়ে সূর্যের সাদা আলো ভেঙে গিয়ে সাত রঙের রংধনু তৈরি করে এটিও অনেকটা একই রকম বিষয়।
ওপরের কারণগুলোর কথা বিবেচনা করলে মনে হতে পারে এটা খুবই দুর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রি সৌর বর্ণ বলয় বছরে প্রায় ১০০ বার দেখতে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশি দেখা যায় এই ২২ ডিগ্রি সৌর বর্ণ বলয়’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ মার্চ, ২০২০ ২০:৪৬

বৃহস্পতিবারের আকাশে দেখা গেছে অপরিচিত এক সূর্যকে। এর চারপাশে দেখা গেছে একটি সুন্দর বলয়। অনেকে একে বিরল ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
অনেকেই ছবি তুলে প্রকাশ করেছেন ফেইসবুকে। তবে সূর্যের এমন দৃশ্যের ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে আবহাওয়া সংক্রান্ত একটি ফেইসবুক পেজ থেকে। তারা ব্যাখ্যা করে বলেছেন-
‘সূর্যের এই বর্ণ বলয় তৈরি হতে কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ও উপাদানের সুষম উপস্থিতি বিদ্যমান থাকতে হয়।
প্রথমত, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ১০ কিলোমিটার ওপরে মেঘ থাকতে হয়।
দ্বিতীয়ত, সেই মেঘ কেটে গেলে আকাশে ষড় ভুজাকৃতির লাখ লাখ স্ফটিক বরফ কণা ভেসে বেড়াতে হয়। এবং সেই সব স্ফটিক বরফ কণা আকাশে নির্দিষ্টভাবে সজ্জিত থাকে।
তৃতীয়ত, সূর্যের সঠিক অবস্থান থেকে সেই সব স্ফটিক বরফ কণার ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো যেতে হয়।
স্ফটিক বরফ কণা তখন প্রিজমের কাজ করে, সূর্যের আলোর প্রতিসরণ ঘটে। ফলে সূর্যকিরণের সাদা আলো সাতটি রঙে ভেঙে যায়। আর সেই ভেঙে যাওয়া সাতটি রংকে আমরা পৃথিবী থেকে ২২ ডিগ্রি ব্যাসার্ধের একটি বর্ণময় সৌর বলয় হিসেবে দেখতে পাই। যেভাবে জলকণার ভেতর দিয়ে সূর্যের সাদা আলো ভেঙে গিয়ে সাত রঙের রংধনু তৈরি করে এটিও অনেকটা একই রকম বিষয়।
ওপরের কারণগুলোর কথা বিবেচনা করলে মনে হতে পারে এটা খুবই দুর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রি সৌর বর্ণ বলয় বছরে প্রায় ১০০ বার দেখতে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশি দেখা যায় এই ২২ ডিগ্রি সৌর বর্ণ বলয়’।