বুলগেরিয়ায় ৪৫ হাজার বছর আগের দেহাবশেষ শনাক্ত
অনলাইন ডেস্ক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৩
বুলগেরিয়ার একটি গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের তিনজন পুরুষের দেহাবশেষ পেয়েছেন গবেষকেরা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এগুলো ইউরোপের হোমো স্যাপিয়েন্সের সবচেয়ে পুরোনো নমুনার উদাহরণ হতে পারে।
একই সাইটে একজন নারীর নমুনা পাওয়া গেছে, তিনি ৩৫ হাজার বছর আগে বেঁচে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোমো স্যাপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় আসে আনুমানিক ৩ লাখ বছর আগে। পরে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
এখন পৃথিবীতে জীবিত প্রাণীদের মধ্যে প্রাচীন হোমো স্যাপিয়েন্সদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ স্বজন হচ্ছে শিম্পাঞ্জি ও বোনোবো। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, ৬০ লাখ বছরের বেশি সময় আগে আধুনিক মানুষ ও এদের এক অভিন্ন পূর্বপুরুষ ছিল। ওই অভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষেরা বিভিন্ন প্রজাতিতে বিকশিত হন। তাদের বলা হতো হোমিনিন।
লাখ লাখ বছর ধরে হোমিনিনরা অনেকটাই বানরের মতো থেকে যায়। তারা ছিল খাটো, মস্তিষ্কের আকার ছিল ছোট এবং সাধারণ পাথরের অস্ত্র-সরঞ্জামই কেবল তৈরি করতে পারত তারা।
এর আগে মরক্কোতে পাওয়া যায় প্রায় তিন লাখ বছর আগের নমুনা। এর মধ্যে একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, গোড়ার দিকের হোমো স্যাপিয়েন্সদের মুখাবয়ব অনেকটাই ছিল আমাদের এখনকার মতো। তবে মস্তিষ্কের গড়নে ছিল মৌলিক পার্থক্য।
নতুন পাওয়া নমুনার ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর মধ্যে ৩ থেকে ৩.৮ শতাংশ নিয়ান্ডারথাল (Neanderthal) ডিএনএ মিলেছে।
লন্ডনের গবেষক মাতেজা হাজডিনজাক বলছেন, ‘নিয়ান্ডারথালের সঙ্গে যে হোমো স্যাপিয়েন্সদের মিশ্রণ হয়েছিল, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ওই দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ।’
৬০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের কিছু পূর্বসূরি আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে ইউরোপ, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসতি গড়েন। তারা প্রস্তর যুগের বিশেষ প্রজাতির মানুষের (Neanderthal) সঙ্গে মিশে যান। তাদের ডিএনএ আমাদের জিন পুলে প্রবেশ করে। এরপর সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।
নিয়ান্ডারথাল ডিএনএ’র কপি বাংলাদেশের মানুষের বেশি। অন্তত একটি করে কপি আছে এ দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৩

বুলগেরিয়ার একটি গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের তিনজন পুরুষের দেহাবশেষ পেয়েছেন গবেষকেরা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এগুলো ইউরোপের হোমো স্যাপিয়েন্সের সবচেয়ে পুরোনো নমুনার উদাহরণ হতে পারে।
একই সাইটে একজন নারীর নমুনা পাওয়া গেছে, তিনি ৩৫ হাজার বছর আগে বেঁচে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোমো স্যাপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় আসে আনুমানিক ৩ লাখ বছর আগে। পরে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
এখন পৃথিবীতে জীবিত প্রাণীদের মধ্যে প্রাচীন হোমো স্যাপিয়েন্সদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ স্বজন হচ্ছে শিম্পাঞ্জি ও বোনোবো। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, ৬০ লাখ বছরের বেশি সময় আগে আধুনিক মানুষ ও এদের এক অভিন্ন পূর্বপুরুষ ছিল। ওই অভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষেরা বিভিন্ন প্রজাতিতে বিকশিত হন। তাদের বলা হতো হোমিনিন।
লাখ লাখ বছর ধরে হোমিনিনরা অনেকটাই বানরের মতো থেকে যায়। তারা ছিল খাটো, মস্তিষ্কের আকার ছিল ছোট এবং সাধারণ পাথরের অস্ত্র-সরঞ্জামই কেবল তৈরি করতে পারত তারা।
এর আগে মরক্কোতে পাওয়া যায় প্রায় তিন লাখ বছর আগের নমুনা। এর মধ্যে একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, গোড়ার দিকের হোমো স্যাপিয়েন্সদের মুখাবয়ব অনেকটাই ছিল আমাদের এখনকার মতো। তবে মস্তিষ্কের গড়নে ছিল মৌলিক পার্থক্য।
নতুন পাওয়া নমুনার ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর মধ্যে ৩ থেকে ৩.৮ শতাংশ নিয়ান্ডারথাল (Neanderthal) ডিএনএ মিলেছে।
লন্ডনের গবেষক মাতেজা হাজডিনজাক বলছেন, ‘নিয়ান্ডারথালের সঙ্গে যে হোমো স্যাপিয়েন্সদের মিশ্রণ হয়েছিল, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ওই দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ।’
৬০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের কিছু পূর্বসূরি আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে ইউরোপ, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসতি গড়েন। তারা প্রস্তর যুগের বিশেষ প্রজাতির মানুষের (Neanderthal) সঙ্গে মিশে যান। তাদের ডিএনএ আমাদের জিন পুলে প্রবেশ করে। এরপর সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।
নিয়ান্ডারথাল ডিএনএ’র কপি বাংলাদেশের মানুষের বেশি। অন্তত একটি করে কপি আছে এ দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের।