মেকং নদীতে মিলেছে স্বাদু পানির সবচেয়ে বড় মাছ
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জুন, ২০২২ ১১:৪০
প্রায় এক ডজন মানুষ স্টিংরে মাছটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে
বিজ্ঞানীদের মতে, এ যাবৎকালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির মাছটি ধরা পড়েছে কম্বোডিয়ায়। মেকং নদীতে মিলেছে ৩০০ কেজি ওজনের এই স্টিংরে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
২০০৫ সালে থাইল্যান্ডে ধরা পড়া ২৯৩ কেজি ওজনের দানবীয় ক্যাটফিশের অতীত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে মাছটি।
অবশ্য স্বাদু পানির সবচেয়ে বড় মাছ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ডেটাবেজ রেকর্ড নেই।
প্রায় এক ডজন মানুষ স্টিংরে মাছটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে। এরপর এর গতিবিধি ও আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য গায়ে একটি বৈদ্যুতিক ট্যাগ লাগিয়ে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ জুন কোহ প্রিয়া দ্বীপের এক স্থানীয় জেলে বিরাটাকার এই স্টিং রে মাছ পাওয়ার কথা গবেষকদের জানান। মাছটি ছিল ৩ দশমিক ৯৮ মিটার লম্বা এবং ২ দশমিক ২ মিটার চওড়া।
ইউএসএইড পরিচালিত ‘ওয়ান্ডারস অব দ্য মেকং’ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রধান জীববিজ্ঞানী জেব হোগান এই মাছের সন্ধান পাওয়াকে ‘দারুণ খবর’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘কারণ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছ।’
তিনি বলেন, ‘ছয়টি মহাদেশের নদী, হ্রদে দানবীয় মাছ নিয়ে ২০ বছরের গবেষণায় পাওয়া এটিই বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির মাছ।’
আরও বলেন, ‘এই মাছ এখানে পাওয়ার মানে হচ্ছে, মেকং নদীর এই অংশ এখনও জীব বৈচিত্র্যের জন্য উপযোগী রয়েছে। এত বড় মাছটি এখনও এখানে বাস করতে পারছে এ এক আশার লক্ষণ।’
গত মে মাস থেকে এ নিয়ে দুটি স্টিংরে মাছ পরীক্ষা করে দেখলেন গবেষকেরা। আগেরটির ওজন ছিল ১৮১ কেজি।
এই স্ট্রিংরে একটি বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতির মাছ। স্থানীয় খেমার ভাষায় মাছটিকে বলা হচ্ছে ‘বোরামি’, যার অর্থ হচ্ছে পূর্ণ চাঁদ।
জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মেকং তিব্বত মালভূমি থেকে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম হয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত মাছ ধরা, বাধ এবং দূষণ এর ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জুন, ২০২২ ১১:৪০

বিজ্ঞানীদের মতে, এ যাবৎকালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির মাছটি ধরা পড়েছে কম্বোডিয়ায়। মেকং নদীতে মিলেছে ৩০০ কেজি ওজনের এই স্টিংরে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
২০০৫ সালে থাইল্যান্ডে ধরা পড়া ২৯৩ কেজি ওজনের দানবীয় ক্যাটফিশের অতীত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে মাছটি।
অবশ্য স্বাদু পানির সবচেয়ে বড় মাছ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ডেটাবেজ রেকর্ড নেই।
প্রায় এক ডজন মানুষ স্টিংরে মাছটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে। এরপর এর গতিবিধি ও আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য গায়ে একটি বৈদ্যুতিক ট্যাগ লাগিয়ে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ জুন কোহ প্রিয়া দ্বীপের এক স্থানীয় জেলে বিরাটাকার এই স্টিং রে মাছ পাওয়ার কথা গবেষকদের জানান। মাছটি ছিল ৩ দশমিক ৯৮ মিটার লম্বা এবং ২ দশমিক ২ মিটার চওড়া।
ইউএসএইড পরিচালিত ‘ওয়ান্ডারস অব দ্য মেকং’ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রধান জীববিজ্ঞানী জেব হোগান এই মাছের সন্ধান পাওয়াকে ‘দারুণ খবর’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘কারণ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছ।’
তিনি বলেন, ‘ছয়টি মহাদেশের নদী, হ্রদে দানবীয় মাছ নিয়ে ২০ বছরের গবেষণায় পাওয়া এটিই বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় স্বাদু পানির মাছ।’
আরও বলেন, ‘এই মাছ এখানে পাওয়ার মানে হচ্ছে, মেকং নদীর এই অংশ এখনও জীব বৈচিত্র্যের জন্য উপযোগী রয়েছে। এত বড় মাছটি এখনও এখানে বাস করতে পারছে এ এক আশার লক্ষণ।’
গত মে মাস থেকে এ নিয়ে দুটি স্টিংরে মাছ পরীক্ষা করে দেখলেন গবেষকেরা। আগেরটির ওজন ছিল ১৮১ কেজি।
এই স্ট্রিংরে একটি বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতির মাছ। স্থানীয় খেমার ভাষায় মাছটিকে বলা হচ্ছে ‘বোরামি’, যার অর্থ হচ্ছে পূর্ণ চাঁদ।
জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মেকং তিব্বত মালভূমি থেকে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম হয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত মাছ ধরা, বাধ এবং দূষণ এর ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলেছে।