তরুণীকে ধর্ষণের পর মানুষের মাংস খেতে বাধ্য করে জঙ্গিরা!
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জুন, ২০২২ ১৫:০৩
জঙ্গিরা তাকে দুবার অপহরণ করেছিল। অত্যাচারও চলেছে অকথ্য। তরুণীকে বারবার ধর্ষণের পাশাপাশি মানুষের মাংস রেঁধে, তা খেতেও বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠনের মুখে এই কাহিনি শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তাবড় সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে গণ প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোয়।
বুধবার, কঙ্গো-পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই কঙ্গোস্থিত একটি নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ একটি রুদ্ধশ্বাস ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, কঙ্গোর এক নারী কোডেকো জঙ্গিদের কাছে অন্য এক অপহৃতকে ছাড়াতে গিয়ে নিজেও অপহৃত হয়ে যান। জঙ্গিরা তাকে বার বার ধর্ষণ করে। চলে অকথ্য অত্যাচার। তার পর তার সামনেই এক জনের গলা কেটে ফেলে জঙ্গিরা।
এরপর গলা কাটা দেহ থেকে অন্ত্রটি খুবলে বের করে ওই নারীর দিকে এগিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এবং তাকে সেই অন্ত্র রান্না করার নির্দেশ দেয়। সেই রান্না করা অন্ত্রই খেতে হয় ওই নারীকে। এখানেই শেষ নয়। কয়েকদিন পর সেই নারীকে কোডেকো জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়।
বাড়ি ফেরার পথে আবার তাকে অপহরণ করে অন্য এক জঙ্গি গোষ্ঠী। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে তার সঙ্গে। বার বার গণধর্ষণ এবং মানুষের মাংস রেঁধে খাওয়া! কোনও রকমে সেখান থেকে পালান নারী।
জুলিয়েনের মুখে ওই নারীর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো। প্রসঙ্গত, কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে দুদশক ধরে সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন আছে। কিন্তু অশান্তি থামার নাম নেই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জুন, ২০২২ ১৫:০৩

জঙ্গিরা তাকে দুবার অপহরণ করেছিল। অত্যাচারও চলেছে অকথ্য। তরুণীকে বারবার ধর্ষণের পাশাপাশি মানুষের মাংস রেঁধে, তা খেতেও বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠনের মুখে এই কাহিনি শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তাবড় সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে গণ প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোয়।
বুধবার, কঙ্গো-পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই কঙ্গোস্থিত একটি নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ একটি রুদ্ধশ্বাস ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, কঙ্গোর এক নারী কোডেকো জঙ্গিদের কাছে অন্য এক অপহৃতকে ছাড়াতে গিয়ে নিজেও অপহৃত হয়ে যান। জঙ্গিরা তাকে বার বার ধর্ষণ করে। চলে অকথ্য অত্যাচার। তার পর তার সামনেই এক জনের গলা কেটে ফেলে জঙ্গিরা।
এরপর গলা কাটা দেহ থেকে অন্ত্রটি খুবলে বের করে ওই নারীর দিকে এগিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এবং তাকে সেই অন্ত্র রান্না করার নির্দেশ দেয়। সেই রান্না করা অন্ত্রই খেতে হয় ওই নারীকে। এখানেই শেষ নয়। কয়েকদিন পর সেই নারীকে কোডেকো জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়।
বাড়ি ফেরার পথে আবার তাকে অপহরণ করে অন্য এক জঙ্গি গোষ্ঠী। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে তার সঙ্গে। বার বার গণধর্ষণ এবং মানুষের মাংস রেঁধে খাওয়া! কোনও রকমে সেখান থেকে পালান নারী।
জুলিয়েনের মুখে ওই নারীর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো। প্রসঙ্গত, কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে দুদশক ধরে সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন আছে। কিন্তু অশান্তি থামার নাম নেই।