ড. সনজয় চক্রবর্তী’র দুটি কবিতা
ড. সনজয় চক্রবর্তী
ড. সনজয় চক্রবর্তী বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গবেষণাধর্মী বই ‘Traffic Congestion in Dhaka City and Its Economic Impact’ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১১’ লাভ করেন তিনি। দেশে বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার ২০টির মতো গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে।
কোনো এক নভেম্বরে
[শ্রাবণীকে]
তুমি আসবে বলে মনের মধ্যে অনুরণিত হয় স্বপ্নিল সুন্দর,
প্রসবিত হয় শ্রাবণের ধারা—
প্রতিটি মুহূর্ত অজান্তে দেহ মন শিহরিত হয়,
তোমার আগমনের ক্ষণের অপেক্ষায়।
তোমাকে লিখব বলে একখানা চিঠি,
কতবার দ্বারস্থ হয়েছি আমি গীত কবিতায়—
গিয়েছি প্রকৃতির কাছে দেখেছি ঝরনার ধারা
শুনেছি নির্জনে পাখির কূজন আরও কত কী?
তোমাকে শোনাব বলে রাত জেগে আবৃত্তি করি,
পাঠ করি স্বরচিত কবিতা, শুনেছি ব্রততীর উচ্চারণ—
গভীর ঘুমের মধ্যে জেগে আবৃত্তি করি
কবিতার ছন্দ নাকি আবোল তাবোল।
তোমাকে পাবো বলে আলোকিত হয় আমার আত্মা,
চলে যাই মর্তলোকের কাছে, ফিরে পাই অনন্ত জীবন—
ক্ষরাক্লিষ্ট বৃক্ষের বর্ষণ যেমন ঢেলে দেয় সবুজের ছায়া,
তেমনি দিব্যকান্তি ফিরে পায় আমার যৌবন।
আষাঢ়ে জন্ম বলে শ্রাবণের প্লাবন ধারায় মিলে হই একাকার,
গভীর আবেশে নিসর্গ শোভার সাথে তুলনা হবে শ্রাবণী তোমার—
তোমার জলে তৃষ্ণা মিটাই জুড়াই প্রাণমন,
তোমাকে দেই আমার এই মনের সিংহাসন।
অপূর্ব তুমি
[অদ্রিকার জন্মদিনে]
এ কার আর্তচিৎকারে শুনতে পেলাম
কোনো নবজাতকের নয়তো?
একী স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা।
আটাশে আগস্ট গভীর রাত
এমনি একটি পুণ্যক্ষণে
বেজে উঠল মুঠোফোন।
শব্দ তরঙ্গে ভেসে আসলো কয়েকটি শব্দ,
কর্ণ কুহরে প্রবিষ্ট হলো তোমার আগমনী বার্তা।
নারায়ণগঞ্জ সে পুণ্যভূমি,
যে ভূমি তোমার আর্তচিৎকারে মুখরিত।
কিন্তু আমার সে অব্যক্ত কষ্ট
তোমার আগমনীর সে বরণডালা
আমি সাজাতে পারিনি।
কেননা, বাস্তবতার সে করাল গ্রাসে আমি জর্জরিত।
আদ্রিকা, তুমিই সে সুন্দর,
যার আকণ্ঠ সুধা পান করে
ধরণি আজ ধন্য।
তোমার মুখ নিঃসৃত মুক্তোর মালায়
উদ্বেলিত হয় হৃদয়,
তানপুরার সে সুর ঝংকার
যেন তোমার কণ্ঠেই মানায়।
সোনালি সে গাত্রবর্ণ সূর্যকেও হার মানায়।
কোমল পদ্ম পাপড়ি শিহরিত হয়
তোমার মুখ স্পর্শে।
বিধাতার একান্তে গড়া
কী অপূর্ব তুমি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর

ড. সনজয় চক্রবর্তী বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গবেষণাধর্মী বই ‘Traffic Congestion in Dhaka City and Its Economic Impact’ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১১’ লাভ করেন তিনি। দেশে বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার ২০টির মতো গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে।
কোনো এক নভেম্বরে
[শ্রাবণীকে]
তুমি আসবে বলে মনের মধ্যে অনুরণিত হয় স্বপ্নিল সুন্দর,
প্রসবিত হয় শ্রাবণের ধারা—
প্রতিটি মুহূর্ত অজান্তে দেহ মন শিহরিত হয়,
তোমার আগমনের ক্ষণের অপেক্ষায়।
তোমাকে লিখব বলে একখানা চিঠি,
কতবার দ্বারস্থ হয়েছি আমি গীত কবিতায়—
গিয়েছি প্রকৃতির কাছে দেখেছি ঝরনার ধারা
শুনেছি নির্জনে পাখির কূজন আরও কত কী?
তোমাকে শোনাব বলে রাত জেগে আবৃত্তি করি,
পাঠ করি স্বরচিত কবিতা, শুনেছি ব্রততীর উচ্চারণ—
গভীর ঘুমের মধ্যে জেগে আবৃত্তি করি
কবিতার ছন্দ নাকি আবোল তাবোল।
তোমাকে পাবো বলে আলোকিত হয় আমার আত্মা,
চলে যাই মর্তলোকের কাছে, ফিরে পাই অনন্ত জীবন—
ক্ষরাক্লিষ্ট বৃক্ষের বর্ষণ যেমন ঢেলে দেয় সবুজের ছায়া,
তেমনি দিব্যকান্তি ফিরে পায় আমার যৌবন।
আষাঢ়ে জন্ম বলে শ্রাবণের প্লাবন ধারায় মিলে হই একাকার,
গভীর আবেশে নিসর্গ শোভার সাথে তুলনা হবে শ্রাবণী তোমার—
তোমার জলে তৃষ্ণা মিটাই জুড়াই প্রাণমন,
তোমাকে দেই আমার এই মনের সিংহাসন।
অপূর্ব তুমি
[অদ্রিকার জন্মদিনে]
এ কার আর্তচিৎকারে শুনতে পেলাম
কোনো নবজাতকের নয়তো?
একী স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা।
আটাশে আগস্ট গভীর রাত
এমনি একটি পুণ্যক্ষণে
বেজে উঠল মুঠোফোন।
শব্দ তরঙ্গে ভেসে আসলো কয়েকটি শব্দ,
কর্ণ কুহরে প্রবিষ্ট হলো তোমার আগমনী বার্তা।
নারায়ণগঞ্জ সে পুণ্যভূমি,
যে ভূমি তোমার আর্তচিৎকারে মুখরিত।
কিন্তু আমার সে অব্যক্ত কষ্ট
তোমার আগমনীর সে বরণডালা
আমি সাজাতে পারিনি।
কেননা, বাস্তবতার সে করাল গ্রাসে আমি জর্জরিত।
আদ্রিকা, তুমিই সে সুন্দর,
যার আকণ্ঠ সুধা পান করে
ধরণি আজ ধন্য।
তোমার মুখ নিঃসৃত মুক্তোর মালায়
উদ্বেলিত হয় হৃদয়,
তানপুরার সে সুর ঝংকার
যেন তোমার কণ্ঠেই মানায়।
সোনালি সে গাত্রবর্ণ সূর্যকেও হার মানায়।
কোমল পদ্ম পাপড়ি শিহরিত হয়
তোমার মুখ স্পর্শে।
বিধাতার একান্তে গড়া
কী অপূর্ব তুমি।