তারা জেনেশুনে বিষ করেছেন পান: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:২০
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ ছেড়ে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া নেতারা জেনেশুনে বিষ পান করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তারা তো আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ থাকবে। তারা তো জেনেশুনে বিষ পান করেছেন।”
বিএনপিপ্রধান জাতীয় এক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড, কামালসহ, সুলতান মনসুর একসময় ছিলেন আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা। এরপর গোলাম মওলা রনিসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছেন।
এই নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, এটা তাদের দীর্ঘদিন তাড়িত করবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি। আমরা মানুষের মাঝে আছি। তাই ক্ষমতায় না থাকলেও পালিয়ে যাব না। এ দেশেই জন্ম, এদেশেই আমরা মরব।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কেউ জানত না। বঙ্গবন্ধু জেলখানায় কুয়াশা ভেজা সকালে এক খণ্ড মাটি কপালে ছুঁয়ে বলেছিলেন- ‘এই দেশে জন্ম আমার যেন এই দেশেই মরি’। আমরাও এই মাটির সঙ্গে আছি। বঙ্গবন্ধুও ছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনাও আছেন।”
তিনি বলেন, “ক্ষমতা আল্লাহর হাতে, জনগণের হাতে। ক্ষমতার দাপট আমরা কোনদিন দেখাইনি।”
মনোনয়ন পর্ব শেষে ইশতেহার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউটে ইশতেহার ঘোষণা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এবার দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। সাবেক ছাত্রনেতা যারা তৃণমূল থেকে এসেছে, তাদের মনোনয়ন দিয়েছি।
মোট আসন সংখ্যার ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী, ৪০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত তরুণদের বয়স ৫০ এর কম-বেশি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না- কে বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী হলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি বলেন, “কিছু ক্ষোভ তো থাকতে পারে। এত বড় মহাজোট। সেই ক্ষোভ প্রশমিতও আমরা করব।”
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:২০

আওয়ামী লীগ ছেড়ে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া নেতারা জেনেশুনে বিষ পান করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তারা তো আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ থাকবে। তারা তো জেনেশুনে বিষ পান করেছেন।”
বিএনপিপ্রধান জাতীয় এক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড, কামালসহ, সুলতান মনসুর একসময় ছিলেন আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা। এরপর গোলাম মওলা রনিসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছেন।
এই নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, এটা তাদের দীর্ঘদিন তাড়িত করবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি। আমরা মানুষের মাঝে আছি। তাই ক্ষমতায় না থাকলেও পালিয়ে যাব না। এ দেশেই জন্ম, এদেশেই আমরা মরব।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কেউ জানত না। বঙ্গবন্ধু জেলখানায় কুয়াশা ভেজা সকালে এক খণ্ড মাটি কপালে ছুঁয়ে বলেছিলেন- ‘এই দেশে জন্ম আমার যেন এই দেশেই মরি’। আমরাও এই মাটির সঙ্গে আছি। বঙ্গবন্ধুও ছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনাও আছেন।”
তিনি বলেন, “ক্ষমতা আল্লাহর হাতে, জনগণের হাতে। ক্ষমতার দাপট আমরা কোনদিন দেখাইনি।”
মনোনয়ন পর্ব শেষে ইশতেহার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউটে ইশতেহার ঘোষণা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এবার দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। সাবেক ছাত্রনেতা যারা তৃণমূল থেকে এসেছে, তাদের মনোনয়ন দিয়েছি।
মোট আসন সংখ্যার ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী, ৪০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত তরুণদের বয়স ৫০ এর কম-বেশি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না- কে বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী হলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি বলেন, “কিছু ক্ষোভ তো থাকতে পারে। এত বড় মহাজোট। সেই ক্ষোভ প্রশমিতও আমরা করব।”
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।