তিন জেলায় ৬ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৩২
বরগুনা, রাজশাহীর বাগমারা ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বিএনপির ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, তাদের বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সদ্যবিদায়ী সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশ, রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহ আলম গোলাপ, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আউয়াল ভুইয়া।
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া গ্রামের নিজস্ব বাসভবনের সামনে থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সদ্যবিদায়ী সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বরগুনা সদর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আসাদ জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বিধায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মাহমুদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর জনকিতাপাড়ার নিজ বাড়ি বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাগমারা থানায় জেএমবির তালিকায় আকরামের নাম রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওসি নাছিম আহমেদ জানান, নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাদিকারা গ্রাম থেকে লাখাই উপজেলা বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহ আলম গোলাপ, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আউয়াল ভুইয়া।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভাদিকারা গ্রামে অসুস্থ শাহজাহান মিয়াকে দেখে ফেরার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি ইমরান জানান, গত ২৭ নভেম্বর স্বজনগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন খুন হন। এসময় পুলিশের ওপর হামলাও চালানো হয়। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষে কাদির মিয়া নামে একজন খুন হয়। গ্রেপ্তার ৪জন স্বজনগ্রামের বাসিন্দা নন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৩২

বরগুনা, রাজশাহীর বাগমারা ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বিএনপির ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, তাদের বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সদ্যবিদায়ী সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশ, রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহ আলম গোলাপ, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আউয়াল ভুইয়া।
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া গ্রামের নিজস্ব বাসভবনের সামনে থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সদ্যবিদায়ী সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বরগুনা সদর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আসাদ জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বিধায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মাহমুদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর জনকিতাপাড়ার নিজ বাড়ি বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাগমারা থানায় জেএমবির তালিকায় আকরামের নাম রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওসি নাছিম আহমেদ জানান, নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাদিকারা গ্রাম থেকে লাখাই উপজেলা বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহ আলম গোলাপ, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আউয়াল ভুইয়া।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভাদিকারা গ্রামে অসুস্থ শাহজাহান মিয়াকে দেখে ফেরার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি ইমরান জানান, গত ২৭ নভেম্বর স্বজনগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন খুন হন। এসময় পুলিশের ওপর হামলাও চালানো হয়। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষে কাদির মিয়া নামে একজন খুন হয়। গ্রেপ্তার ৪জন স্বজনগ্রামের বাসিন্দা নন।