ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গাড়িতে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৪৭
হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ছবি: রুবেল রশীদ
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনে গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম রব এবং জগলুল হায়দারের গাড়িও। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তবে অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামলার বিষয়ে ড. কামাল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, “নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।”
গণফোরামের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লতিফুল বারী হামিম বলেন, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে বের হওয়ার পর প্রথমে ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এতে দুইজন আহত হন।
তিনি জানান, এরপর আ স ম রবের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে তার গাড়িচালক বেশ জখম হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কমিটির সমন্বয়ক জগলুল হায়দারের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি এই ঘটনাকে পরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বলেন, “সরকার চায় না আমরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাই।”
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বসে এনিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।”
এদিকে হামলার বিষয়টি তুলে ধরতে বিকেল ৩টায় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ড. কামালের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বৃহত্তম জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করে। এই জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি। নির্বাচনে দলটির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৪৭

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনে গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম রব এবং জগলুল হায়দারের গাড়িও। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তবে অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামলার বিষয়ে ড. কামাল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, “নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।”
গণফোরামের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লতিফুল বারী হামিম বলেন, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে বের হওয়ার পর প্রথমে ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এতে দুইজন আহত হন।
তিনি জানান, এরপর আ স ম রবের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে তার গাড়িচালক বেশ জখম হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কমিটির সমন্বয়ক জগলুল হায়দারের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি এই ঘটনাকে পরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বলেন, “সরকার চায় না আমরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাই।”
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বসে এনিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।”
এদিকে হামলার বিষয়টি তুলে ধরতে বিকেল ৩টায় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ড. কামালের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বৃহত্তম জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করে। এই জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি। নির্বাচনে দলটির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা।