রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়েছেন ড. কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:৩৯
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার পরদিনই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চাইলের ড. কামাল হোসেন। ছবি: দেশ রূপান্তর
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েছেন বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বসতে চান।
সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের এক জ্যেষ্ঠ নেতা।
তিনি বলেন, ওই দিন ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশেরও কথা রয়েছে। দিনের কোনো এক সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বসতে পারেন।
ওই নেতা আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাধা-হামলা, প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের অব্যাহত গ্রেপ্তার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের হতাশাজনক ভূমিকার বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরা হবে।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা রাষ্ট্রপতির অধীন। নির্বাচনে তারা যাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেটা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানো হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠকে বসার বিষয়টি তখনই আসলো, একদিন আগে যখন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গাড়িবহর। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর ঐক্যফ্রন্টের প্রচারকাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রার্থীসহ সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে, যাদের অধিকাংশই বিএনপি এবং জামায়াতের।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ড. কামালের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বৃহত্তম জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করে। এই জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি। নির্বাচনে দলটির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:৩৯

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েছেন বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বসতে চান।
সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের এক জ্যেষ্ঠ নেতা।
তিনি বলেন, ওই দিন ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশেরও কথা রয়েছে। দিনের কোনো এক সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বসতে পারেন।
ওই নেতা আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাধা-হামলা, প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের অব্যাহত গ্রেপ্তার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের হতাশাজনক ভূমিকার বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরা হবে।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা রাষ্ট্রপতির অধীন। নির্বাচনে তারা যাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেটা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানো হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠকে বসার বিষয়টি তখনই আসলো, একদিন আগে যখন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গাড়িবহর। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর ঐক্যফ্রন্টের প্রচারকাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রার্থীসহ সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে, যাদের অধিকাংশই বিএনপি এবং জামায়াতের।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ড. কামালের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বৃহত্তম জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করে। এই জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি। নির্বাচনে দলটির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা।