‘বিজিবি-র্যাবকে দেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৪১
ফাইল ছবি
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি এবং র্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই একতরফা নির্বাচন করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে মহিলা সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এই মুখপাত্রের দাবি, তারা জানতে পেরেছেন- আজ রাত (শনিবার) থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তার দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা স্থানীয় থানায় ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। সেই তালিকাগুলোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিজিবি ও র্যাবের কাছে সরবরাহ করছে। এই তালিকা ধরে ধরে আজ রাত থেকেই নাকি নেতাকর্মীদের আটক করা হবে।
রিজভীর আশঙ্কা, ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদেরকে মনোনীত করা হবে, তাদেরকে নির্বাচনের দু-একদিন আগেই গ্রেফতার করা শুরু হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) ব্যালটে সিল মারার জন্য তালিকাভুক্ত আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন রিজভী।
তবে তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনী হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। তাদের প্রতি জনগণের একটা ভরসা আছে। সেনা মোতায়েন করা হলে সন্ত্রাসীরা জাল ভোট দিতে পারবে না এবং রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স পূরণ করতে পারবে না। এটা জনগণের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটুকু সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্ষা করতে পারবেন।
বিএনপির এই মুখপাত্রের অভিযোগ, এটা জেনেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধী দলসহ সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বারবার সোচ্চার কণ্ঠে বলেছিল। কিন্তু সরকার নানা টালবাহানা করে এখন পর্যন্ত তাদের মোতায়েন করেনি।
“আমার বিশ্বাস, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, তাতে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে” যোগ করেন তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৪১

বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি এবং র্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই একতরফা নির্বাচন করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে মহিলা সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এই মুখপাত্রের দাবি, তারা জানতে পেরেছেন- আজ রাত (শনিবার) থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তার দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা স্থানীয় থানায় ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। সেই তালিকাগুলোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিজিবি ও র্যাবের কাছে সরবরাহ করছে। এই তালিকা ধরে ধরে আজ রাত থেকেই নাকি নেতাকর্মীদের আটক করা হবে।
রিজভীর আশঙ্কা, ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদেরকে মনোনীত করা হবে, তাদেরকে নির্বাচনের দু-একদিন আগেই গ্রেফতার করা শুরু হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) ব্যালটে সিল মারার জন্য তালিকাভুক্ত আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন রিজভী।
তবে তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনী হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। তাদের প্রতি জনগণের একটা ভরসা আছে। সেনা মোতায়েন করা হলে সন্ত্রাসীরা জাল ভোট দিতে পারবে না এবং রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স পূরণ করতে পারবে না। এটা জনগণের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটুকু সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্ষা করতে পারবেন।
বিএনপির এই মুখপাত্রের অভিযোগ, এটা জেনেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধী দলসহ সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বারবার সোচ্চার কণ্ঠে বলেছিল। কিন্তু সরকার নানা টালবাহানা করে এখন পর্যন্ত তাদের মোতায়েন করেনি।
“আমার বিশ্বাস, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, তাতে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে” যোগ করেন তিনি।